আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪ |  অনলাইন সংস্করণ আভিশকার ঝড়ে চট্টগ্রামের

আভিশকার ঝড়ে চট্টগ্রামের বড় সংগ্রহ

আভিশকার ঝড়ে চট্টগ্রামের

সিলেট পর্বে প্রথম দিনের দুই ম্যাচে সেভাবে রান ওঠেনি।

দ্বিতীয় দিনেই স্কোরবোর্ডে এবারের আসরে সর্বোচ্চ সংগ্রহ জমা করল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ১৯৩ রান করেছে তারা। সর্বোচ্চ ৯১ রান করে অপরাজিত থাকেন আভিশকা ফার্নান্দো শুরুতে অবশ্য মনে হয়নি চট্টগ্রামের রানের কোটা এতো দূর পৌঁছাবে।

শতরান ছুঁতেই ১৪ ওভার লাগে তাদের। কিন্তু এরপর চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছোটাতে থাকেন আভিশকা। ২১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা দলের হাল ধরেন এই লঙ্কান ওপেনার। তাইজুল ইসলামের শিকার হয়ে তানজিদ হাসান তামিম ১২ ও ইমরানউজ্জামান বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৪ রানে  শাহদাৎ হোসেন দীপুকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়েন আভিশকা। সেই জুটি ভাঙেন ইয়ানিক ক্যারিয়াহ। ২৯ বলে ৩১ রান করা দীপুকে বোল্ড করেন তিনি।

clipping path tech

আভিশকা অবশ্য থামেননি। চতুর্থ উইকেটে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে যোগ করেন ৬৯ রানের জুটি। ৪০ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর আর মাত্র ১০টি বলই খেলতে পারেন। সেই ১০ বল থেকে ১৯ রান আদায় করেন তিনি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও ৫০ বলে ৫ চার ও ৭ ছক্কায় ৯১ রানে অপরাজিত থাকতে হয় তাকে  শেষদিকে ৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ২৯ রানের দুর্দান্ত ক্যামিও ইনিংস খেলে চট্টগ্রামকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান কার্টিস ক্যাম্ফার। ১৪ ওভারে ১০১ রান করা চট্টগ্রাম শেষ ছয় ওভারেই তোলে ৯২ রান  বরিশালের হয়ে তাইজুল ছাড়া বাকি সবাই খরুচে বোলিং করেছেন। বাঁহাতি এই স্পিনার দুটি এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি, ইয়ানিক ক্যারিয়াহ নেন একটি করে উইকেট।

সিলেট পর্বে প্রথম দিনের দুই ম্যাচে সেভাবে রান ওঠেনি। দ্বিতীয় দিনেই স্কোরবোর্ডে এবারের আসরে সর্বোচ্চ সংগ্রহ জমা করল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।   টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ১৯৩ রান করেছে তারা। সর্বোচ্চ ৯১ রান করে অপরাজিত থাকেন আভিশকা ফার্নান্দো।  শুরুতে অবশ্য মনে হয়নি চট্টগ্রামের রানের কোটা এতো দূর পৌঁছাবে। শতরান ছুঁতেই ১৪ ওভার লাগে তাদের। কিন্তু এরপর চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছোটাতে থাকেন আভিশকা।

২১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা দলের হাল ধরেন এই লঙ্কান ওপেনার।

তাইজুল ইসলামের শিকার হয়ে তানজিদ হাসান তামিম ১২ ও ইমরানউজ্জামান বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৪ রানে।   রয়েসয়ে শুরুর পর হাত খোলার চেষ্টায় সুযোগ দিলেন আভিশকা ফার্নান্দো। কিন্তু দুই ক্যাচের একটিও নিতে পারলেন না ফরচুন বরিশালের ফিল্ডাররা। জীবন পেয়ে ঝড় তুললেন আভিশকা। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স পেল বড় সংগ্রহ। লক্ষ্য তাড়ায় কাছাকাছি গেলেও শেষ হাসি হাসতে পারল না বরিশাল।   সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার ১০ রানে জিতেছে চট্টগ্রাম।

১৯৪ রানের লক্ষ্যে বরিশাল থেমেছে ১৮৩ রানে।   চার ম্যাচে চট্টগ্রামের তৃতীয় জয় এটি। জয় দিয়ে আসর শুরুর পর টানা তিন ম্যাচ হারল বরিশাল।   চট্টগ্রামের বড় পুঁজির কারিগর আভিশকা। স্রেফ ৫০ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন শ্রীলঙ্কান ওপেনার। শেষ দিকে কার্টিস ক্যাম্ফার ৯ বলে ২৯ রানের ক্যামিও খেলে দলকে দুইশর কাছে নিয়ে যান।   পরে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে স্রেফ ২০ রানে ৪ উইকেট নেন ক্যাম্ফার। ফিল্ডিংয়েও ৩টি ক্যাচ নেন আইরিশ অলরাউন্ডার। সার্বিক অলরাউন্ড নৈপুণ্যে তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

  রান তাড়ায় বরিশালকে দারুণ শুরু এনে দেন আহমেদ শেহজাদ।

তার ঝড়ে প্রথম ছয় ওভারে ৬০ রান করে বরিশাল। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ছক্কার চেষ্টায় ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন আগের দিন বাংলাদেশে আসা পাকিস্তানি এই ওপেনার। ৫ চার ও ২ ছক্কায় স্রেফ ১৭ বলে ৩৯ রান করেন তিনি।    অন্যপ্রান্তে তামিম পারেননি দলের চাহিদা মিটিয়ে খেলতে। তিন নম্বরে নেমে সৌম্য সরকারও পারেননি হাত খুলে খেলতে। দুজনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২৯ বলে আসে ৩৬ রান। মন্থর এই জুটির ফলে চাপ বাড়ে বরিশালের ওপর।   রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় বড় শট খেলতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন তামিম। ৩০ বলে ৩৩ রান করেন তিনি।

ক্যাম্ফারের ওই ওভারে ফেরেন ১৬ বলে ১৭ রান করা সৌম্য। নিজের পরের ওভারে মাহমুদউল্লাহ ও ক্যারিয়াহকে ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে অনেকটাই এগিয়ে দেন ক্যাম্ফার।

  সাত নম্বরে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে যথাযথ সঙ্গ দিতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। দুজনের ২৯ বলে ৫১ রানের জুটিতে মুশফিকের অবদান ১৩ বলে ১৪ রান।   অষ্টাদশ ওভারে সীমানায় ক্যাচ দেওয়া মিরাজ খেলেন ১৬ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। ৩ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন তিনি। পরের ওভারে মুশফিক ফেরেন ২২ বলে ২৩ রান করে।

metafore online

এরপর আর সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি বরিশাল।   এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারে তাইজুল ইসলামের বলে টানা তিন চার মারেন তানজিদ হাসান। পরের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ওপেনার। তিন নম্বরে নামা ইমরানউজ্জামান হতাশ করেন আরও একবার।   তৃতীয় উইকেট জুটিতে হাল ধরেন আভিশকা ও শাহাদাত হোসেন। পাওয়ার প্লেতে চট্টগ্রাম করে ২ উইকেটে ৫০ রান।  

একাদশ ওভারে লং অফে আভিশকার সহজ ক্যাচ ছাড়েন শেহজাদ। তখন ২৫ বলে ৩০ রানে ছিলেন লঙ্কান ওপেনার। প্রথম দফায় জীবন পাওয়ার পর ৪০ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন আভিশকা। এরপর তার ক্যাচ ছাড়েন মিরাজ।    দ্বিতীয়বার বেঁচে গিয়ে ঝড় তোলেন আভিশকা। ষোড়শ ওভারে দুনিথ ওয়েলালাগের ওভারে চার হাঁকানোর পরের দুই বলে ছক্কা মারেন তিনি। এক ওভার পর ক্যারিয়াহর ওভারে তিনি ওড়ান আরও দুই ছক্কা। সম্ভাবনা জাগান সেঞ্চুরির।  

শাহাদাত ২৯ বলে ৩১ ও নাজিবউল্লাহ জাদরান ১৯ বলে ১৮ রান করেন। এরপর নেমে তাণ্ডব চালান ক্যাম্ফার। ৩ চারের সঙ্গে ২ ছক্কা মারেন আইরিশ অলরাউন্ডার। শেষ ৫ ওভার থেকে ৮৪ রান করে চট্টগ্রাম।   শেষ ওভারে স্রেফ এক বল স্ট্রাইক পাওয়া আভিশকা অপরাজিত থাকেন ৫ চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা মেরে।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর:   চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৯৩/৪ (তানজিদ ১২, আভিশকা ৯১*, ইমরানউজ্জামান ৪, শাহাদাত ৩১, নাজিবউল্লাহ ১৮, ক্যাম্ফার ২৯*; তাইজুল ৪-০-২৬-২, ওয়েলালাগে ৪-০-৪৭-০, আব্বাস ৪-০-৪৩-০, কামরুল ৪-০-৪৩-১, ক্যারিয়াহ ৪-০-৩৩-১)   ফরচুন বরিশাল: ২০ ওভারে ১৮৩/৭ (তামিম ৩৩, শেহজাদ ৩৯, সৌম্য ১৭, মুশফিক ২৩, মাহমুদউল্লাহ ৩, ক্যারাইয়াহ ৪, মিরাজ ৩৫, আফ্রিদি ১১*, ওয়েলালাগে ১০*; শুভাগত ৩-০-৩৬-০, আল আমিন ৪-০-৪৫-১, শহিদুল ৩-০-২৩-০, বিলাল ৪-০-৩৬-২, নিহাদউজ্জামান ৩-০-২৩-০, ক্যাম্ফার ৩-০-২০-৪)

সম্পর্কিত খবর:

ঢাকাকে হারিয়ে জয়ে ফিরলো রংপুর

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version