আপডেট:০৭:২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪ |  অনলাইন সংস্করণ

জীবননগরে নার্সকে গলা কেটে হত্যা
জীবননগরে নার্সকে গলা কেটে হত্যা

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে হাফিজা খাতুন (৩৮) নামে এক নার্সকে গলা কেটে হত্যা করে করেছে দুর্বৃত্তরা।  

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে মা নার্সিং হোম অ্যান্ড ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।    নিহত হাফিজা খাতুন একই ক্লিনিকের নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন ও উপজেলার বালিহুদা গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী।

metafore online

স্বজন ও সহকর্মীরা জানায়, হাফিজা উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামে সমশের আলীর মেয়ে। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মা নার্সিং হোম অ্যান্ড ক্লিনিকে নার্সের কাজ শুরু করেন হাফিজা। প্রথম পক্ষের দুটি সন্তান আছে। হাফিজা ক্লিনিকেই থাকতেন। কিছুদিন পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বালিহুদা গ্রামের কবির হোসেনের সঙ্গে। এরপর হাফিজার দ্বিতীয় স্বামী মাঝে মাঝে ক্লিনিকে আসা যাওয়া শুরু করেন। কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ও ঝগড়াঝাটি চলছিল।

ঘটনার দিন সকালে ক্লিনিকের ছাদে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও চিৎকার শোনা যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ক্লিনিকে অন্য স্টাফদের হাঁকডাকে এসে দেখা যায় হাফিজার গলা কাটা মরদেহ পড়ে আছে।   ক্লিনিকের এক সহকর্মী জানান, রাতে কাজ শেষ করে ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলায় হাফিজার সঙ্গে আলাপচারিতার পর তৃতীয় তলায় যান তিনি।

এর কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় তলায় এসে হাফিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে জানা নেই।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।   তিনি আরও বলেন, সকালে নিহতের স্বামী এই ক্লিনিকে এসেছিলেন। হাফিজার সঙ্গে কোনো কারণে তার বাগবিতণ্ডা হয়।

clipping path tech

এরপরই সেখান থেকে তিনি চলে যান।   জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাগবির হাসান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।   এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাসহ থানা পুলিশের কর্মকর্তারা।  

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, কি কারণে হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা এখনই নিশ্চিত নয়। তবে ওই নারীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং পেশাগত অবস্থানসহ বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে এবং প্রকৃত অপরাধী আইনের আওতায় আসবে।

সম্পর্কিত খবর:

ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ সিসিক কর্মীর মৃত্যু

Share.

Leave A Reply

Exit mobile version