প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:১৪ | অনলাইন সংস্করণ  বগুড়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত 

বগুড়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

কয়েকদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গোৎসবের প্রধান আর্কষণ প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। বিভিন্ন স্থানে কারিগর ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কাজে।  

রবিবার (১ অক্টোবর) বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রতিমা তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা দেখা গেছে। 

বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়ায় সবিতা মন্দিরের পুরোহিত প্রতিমা কারিগর নারায়ন চন্দ্র দাসবলেন, প্রতিমা তৈরির সরঞ্জাম যেমন খড়, সুতলী, পেরেক, বাঁশ ও কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের খরচ বেড়েছে। প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে ৪-৫ হাজার টাকা। তিনি এবার ২০ টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার নিয়েছেন।  

১৭ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকায় প্রতিমা তৈরি করছেন।  বগুড়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত 

গত বছর সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার টাকায় প্রতিমা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এবার প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামের দাম বেড়ে যাওয়ায় পূজার আয়োজকরাও বেশি দামে প্রতিমা কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের শুরু। তবে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ১ অক্টোবর ষষ্ঠি পূজার মধ্য দিয়ে। ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এবছরের জন্য শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। বগুড়া জেলার ১২ টি উপজেলায় এবার ৬৯০ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫টি বেশি।

clipping path tech

বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়ায় দুর্গা প্রতিমা তৈরির কারিগর গনেশ চন্দ্র সরকার বলেন, প্রতিমা তৈরির সরঞ্জাম যেমন খড়, সুতলী, পেরেক, বাঁশ ও কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের খরচ বেড়েছে। প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে ৪-৫ হাজার টাকা। তিনি এবার ৮ টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার নিয়েছেন। ১৭ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকায় প্রতিমা তৈরি করছেন। গনেশ চন্দ্র সরকার আরো বলেন, গত বছর সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার টাকায় প্রতিমা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এবার প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামের দাম বেড়ে যাওয়ায় পূজার আয়োজকরাও বেশি দামে প্রতিমা কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। 

বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন কমিটি সাধারণ সম্পাদক নির্মল রায় বলেন, জেলাব্যাপী ৬৯০ টি মন্ডপে দুর্গা পূজা আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।  বগুড়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত 

পূজা চলাকালে মন্ডপ গুলোতে নিরাপত্তা এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ ও আনসার সদস্য ছাড়াও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও শহর কেন্দ্রিক পূজা মন্ডপ গুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। তিনি আরো বলেন শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে।সারা বছরের অপেক্ষা, শরৎ এলেই সাজ সাজ রব।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। স্বাভাবিকভাবেই এখন পূজার তোড়জোড় চরমে। সব জায়গায় প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। প্রতিমাশিল্পীদের এখন খাওয়ার ফুরসত যেন নেই। চলছে তাদের আন্তরিক নিবিড় ছোঁয়ায় দেবীকে মূর্ত করে তোলার কাজ। বগুড়া শহরের বিভিন্ন মন্দির প্রাঙ্গণে নানা আকার আর ঢংয়ে দুর্গা দেবীর মূর্তি বানানো হচ্ছে। 

জেলার ১২টি উপজেলায় ৬৯০টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। গত বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় ৫টি পূজামণ্ডপ বেড়েছে। এই উৎসবকে সামনে রেখে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি যেন পুরোদমে এগিয়ে চলছে। তবে প্রতিমা নির্মাণের প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় লাভ কম হবে বলে আশঙ্কা কারিগরদের। 

আজ বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রতিমাশিল্পীদের ব্যস্ততা দেখা গেছে। 

বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের শুরু। তবে মূল আনুষ্ঠানিকতা ১ অক্টোবর ষষ্ঠীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে। ৫ অক্টোবর বিজয় দশমীর মধ্য দিয়ে এবছরের জন্য শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্ত ঘটবে। বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় এবার ৬৯০ টি মন্ডপে দুর্গা পুজা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫টি বেশি। 

এই বছর শাজাহানপুরে ৫৬টি, নন্দীগ্রামে ৪৬টি, শিবগঞ্জে ৬৩টি, আদমদিঘীতে ৬৫টি, সারিয়াকান্দিতে ২০টি, দুপচাঁচিয়ায় ৪২টি, ধুনটে ২৯টি, সোনাতলায় ৫০টি, শেরপুরে ৯০টি, গাবতলিতে ৭৩টি, কাহালতে ৩৬টি এবং বগুড়া সদরে ১২০টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

metafore online
 প্রতিমা শিল্পী শ্রী হিরেন চন্দ্র বলেন, তাড়াতাড়ি কিভাবে কাজ নামানো যায়, তাই আমরা রাতদিন পরিশ্রম করছি। সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের লাভ হয় না। 

শহরের বকশিবাজার এলাকার দুর্গা প্রতিমা তৈরির কারিগর নিখিল চন্দ্র পাল বলেন, প্রতিমা তৈরির সরঞ্জাম যেমন খড়, সুতলি, পেরেক, বাঁশ ও কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের খরচ বেড়েছে। প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে ৪-৫ হাজার টাকা। 

এদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, তাদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এবছর দেবী দুর্গা আসছেন গজে (হাতি) চড়ে যাবেন নৌকায় চড়ে। দেবীর আগমনে বিশ্ব হবে শান্তিময়, অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে উদয় হবে শুভ শক্তির এমনটাই প্রত্যাশা করছেন তাদের। 

বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীলিপ কুমার দেব বলেন, প্রতিটা মন্দিরে আনসার বাহিনীর সদস্য সার্বক্ষণিক থাকবে। এর পাশাপাশি নিজ দায়িত্বে প্রতিটি মন্দিরে কমিটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকাসহ সম্ভব হলে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে কম আলোকসজ্জা ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে। 

নিরাপত্তার বিষয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘জেলার সব কটি উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিমা তৈরির সময়ে যাতে প্রতিমার কোনো প্রকার ক্ষতি না হয়, সেজন্য আয়োজক কমিটিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে টহল টিমও সতর্ক হয়ে মাঠে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

সম্পর্কিত খবর

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version