আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২০, ১২:১৪ ঘণ্টা,  এএম  |  অনলাইন সংস্করণ করোনায় মারা গেলেন 

করোনায় মারা গেলেন অভিনেতা নিশোর বাবা

 

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর বাবা মো. আবদুল হামিদ মিয়া ভোলা। (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)।

তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। আফরান নিশোর বাবার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসানের ব্যক্তিগত সহকারী কাজী ইমরান।কাজী ইমরান গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আফরান নিশোর বাবা। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কিডনিসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন নিশোর বাবা।

 

সম্প্রতি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানেই রাতে মৃত্যু হয় তার।পারিবারিক সূত্র জানায়, আজ বাদ আসর ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে ভূঞাপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান ছাব্বিশায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হবে। আবদুল হামিদ মিয়া ভোলা একজন মুক্তিযোদ্ধা।

 

এ ছাড়া ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হামিদ মিয়া ভোলার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম, উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

metafore online

মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হামিদ মিয়া(৭৫) টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সদস্য ও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

অভিনেতা আফরান নিশো প্রথম আলোকে জানান, হাসপাতালের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাবার মরদেহ নিয়ে এরই মধ্যে পুরো পরিবার টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা করেছেন। বাদ আসর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের কেন্দ্রীয় কবরস্থান ছাব্বিশায় বাবারই বলে যাওয়া জায়গায় তাঁকে সমাহিত করা হবে। এদিকে নিশোর সঙ্গে নিয়মিত কাজ করা নাট্যনির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান প্রথম আলোকে জানান, এক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন মো. আবদুল হামিদ মিয়া।

 

তাঁকে ২০–২২ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকেই তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। আরিয়ান আরও জানান, নিশোর বাবা ভর্তি ছিলেন হাসপাতালের নন-কোভিড ইউনিটের আইসিইউতে। তাঁর দেহে করোনা শনাক্ত হয়নি।

নিশো জানান,

বাদ আসর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের কেন্দ্রীয় কবরস্থান ছাব্বিশায় সমাহিত করা হবে তাঁর বাবাকে নিশো জানান, বাদ আসর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের কেন্দ্রীয় কবরস্থান ছাব্বিশায় সমাহিত করা হবে তাঁর বাবাকেপ্রথম আলো এ অভিনেতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন মো. আবদুল হামিদ মিয়া। সেখান থেকেই ক্যানসার একসময় পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি টাঙ্গাইল ও ঢাকা—দুই জায়গায়ই থাকতেন।

 

আফরান নিশো অভিনীত একাধিক নাটকের নির্মাতা কাজল আরেফিন জানান, ক্যানসারের পাশাপাশি নিশোর বাবার কিডনিতেও সমস্যা ছিল। এ ছাড়া তিনি লিভারের রোগেও ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version