দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলে জানিয়েছেন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। Bd news Bangla

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

সম্পর্কিত খবর

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে মেসেজ দিয়েছি। পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের ও রিটার্নিং অফিসারদের এ বিষয়ে বলা আছে।

তিনি আরও বলেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবকে এ বিষয়ে ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে। কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে। এরপরও যদি কারও গাফিলতিতে কিছু হয়, তার বিরুদ্ধে ইসি কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

ওসি ও ইউএনওদের রদবদল সরকার চেয়েছে, নাকি আপনারা চেয়েছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশন চেয়েছে। আমাদের কমিশনার মহোদয়রা গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় এবং অঞ্চল সফর করেছেন, তাদের যে ফাইন্ডিংস, তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন বসে গত ৩০ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। Bd news Bangla

কেন এই সিদ্ধান্ত

, এমন প্রশ্নে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের কাছে মাঠ পর্যায় থেকে যে তথ্য তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন অনুভব করেছেন, এ বদলির দরকার।

কী ধরনের তথ্য, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সব তথ্য তো ওপেন বলা যায় না। নির্বাচন কমিশনাররা মাঠ পর্যায় থেকে যেসব তথ্য পেয়েছে, বিভিন্ন প্রার্থী কিংবা বিভিন্ন কোয়াটার থেকে যে তথ্য এসেছে, তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত। তারা মনে করেছে যে, বদলি করা প্রয়োজন।

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। গত ২ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটারসংখ্যা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮৫২।

metafore online

আচণবিধি নিয়ে যা বলল ইসি

আচণবিধি নিয়ে যা বলল ইসি | Bd news Bangla – 24NBN

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিধিমালা প্রয়োগে নির্লিপ্ত কাজী হাবিববুল আউয়াল কমিশন। গণমাধ্যমে বিশিষ্টজনদের দেওয়া এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাংবিধানিক এই সংস্থাটি বলছে, টকশো ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাদের এমন বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এজন্য নির্বাচন কমিশনের আইন ও বিধির প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইসির প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।

ইসি জানায়, বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের টকশোতে বা পত্রপত্রিকায় মন্তব্য করছেন, যে নির্বাচন কমিশন আচরণ বিধিমালার প্রয়োগ বিষয়ে নির্লিপ্ত। গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের এমন মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বিনয়ের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা মোটেই কাম্য নয়। এ কারণে আইন ও বিধির প্রকৃত অবস্থান প্রকাশ করা হল।

সংস্থাটি জানায়

জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনে প্রচারণা বিষয়ে আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজনৈতিক প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ নামে একটি সংবিধিবদ্ধ বিধিমালা রয়েছে। এই বিধিমালার ৫নং বিধি অনুযায়ী রাজনৈতিক দল, মনোনীত প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বিধিমালার ৬ থেকে ১৪ নং বিধিতে বর্ণিত নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে আচরণবিধির মূল বিষয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী। প্রার্থী দলের পক্ষে মনোনীত প্রার্থী হতে পারেন বা স্বতন্ত্র হতে পারেন। বিধিমালার ১২ নং বিধিতে ২১ দিন পূর্বের কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য ২১ দিনের অধিক সময় পাবেন না।

Buy Database Online – classy database

বিধিমালার বিষয়ে ইসি আরও জানায়, রিটার্নিং কর্মকর্তা মাধ্যমে প্রার্থীতা চূড়ান্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী আইন ও আচরণ বিধির অর্থে প্রার্থী নন। নির্বাচনি প্রচারণার সুযোগ হবে রিটার্নিং অফিসার বাছাই, আপিলের সিদ্ধান্ত, ইত্যাদি সম্পন্ন করে কোনো একটি নির্বাচনি এলাকার জন্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রতীক বরাদ্দ করে প্রচারণার জন্য মাঠ উন্মুক্ত করার পর। তখন উক্ত নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থীদের সকলেই সমভাবে এক একজন প্রার্থী হবেন। সে সময় থেকে তাদের ক্ষেত্রে আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য হবে।

আচরণ প্রতিপালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ১২ নং বিধিতে ২১ দিন পূর্বে কোন প্রার্থীর দ্বারা বা প্রার্থীর পক্ষে কোনো প্রকার নির্বাচনি প্রচারণা নিষিদ্ধ। প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারের সময় চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বরের আগে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। ফলে তৎপূর্বে কোনো নির্বাচনি এলাকায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনি প্রচারণারও সুযোগ নেই।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version