প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০৫ | অনলাইন সংস্করণ  অবরোধের ডাক বিএনপির

রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক বিএনপির

সরকার পতনের একদফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টা অবরোধ এবং ১২ ঘণ্টা হরতালের পর রোববার থেকে ‘৪৮ ঘণ্টার’ অবরোধ ডেকেছে বিএনপি। 

 আগামী রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে সর্বাত্মক এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে দলটি। 

বৃহস্পতিবার বিকালে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে বিএনপি। আগামী রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজপথ, রেলপথ, নৌপথে দলটির এই অবরোধ কর্মসূচি চলবে। 

নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ১২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচির পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  অবরোধের ডাক বিএনপির

তিনি বলেন, এক দফা দাবিতে এই অবরোধ কর্মসূচি সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য দলের ও সমমনা জোটের সব নেতা-কর্মী রাজপথে অবস্থান করবে। 

এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি দশম দফা কর্মসূচি ঘোষণা করল। সেদিন নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেলে পরদিন ডাকা হয় হরতাল। এরপর বিএনপির অধিকাংশ সিনিয়র নেতা গ্রেফতার হন, বাকিরা চলে যান নিরাপদ অবস্থানে। এ পর্যন্ত ১৬ দিন অবরোধ এবং চার দিন হরতাল করেছে বিএনপি।

clipping path tech

রিজভী বলেন, আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি চলছে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব নেতা-কর্মীকে মুক্তি দিতে হবে। এই এক দফার চলমান আন্দোলন বিজয়ের পথে ধাবিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি ও সমমনা জোটের নেতা-কর্মীরা দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে, এক অকুণ্ঠ শপথ নিয়ে রাস্তায় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন। গত বুধবার একদিনের অবরোধ কর্মসূচি এবং বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি সারা দেশে সফলভাবে পালন করায় বিএনপি ও সমমনা জোটের নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানান রিজভী। 

সরকার আইন-আদালতও নিয়ন্ত্রণ করছে : বিএনপিকে দমাতে সরকার আইন-আদালতও নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিনা কারণে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গেছে, ভাংচুর করেছে, না পেলে বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে,না হয় ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে,না হয় ছোট ভাইকে ধরে নিয়ে গেছে,না হয় শ্বশুরকে ধরে নিয়ে গেছে, না হলে স্ত্রীকে ধরে নিয়ে গেছে। 

মিনিমাম যাদের সুরুচি, সভ্যতা ও সংস্কৃতি আছে তারা কি এটা করতে পারে? রিজভী বলেন, বিএনপির ৯০ জন নেতার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে একমাসে। এসব ঘটনা ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এড়িয়ে যায় এবং আওয়ামী লীগের পুলিশ সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে। 

 গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৮০ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার এবং ১৭টি মামলায় ১ হাজার ৯১০ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

metafore online

রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে বলেছেন, শিষ্টাচার মেনে চলতে।

আপনি সমস্ত কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে অতিক্রম করে এ কথাটা কি কোনো বিদেশী রাষ্ট্রদূতকে বলতে পারেন? আপনারা কি শিষ্টাচার জনগণের সাথে করছেন? দেশের বিরোধী রাজনীতিকদের সাথে করছেন? 

‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে : রিজভী বলেন, দুই দিন আগে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে বিরোধী দল ও সমালোচকদের ওপর অব্যাহত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি অসম্ভব হয়ে উঠেছে। 

আরেকটি একতরফা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। আর এ কথাগুলো বললেই শেখ হাসিনার কাছে, ওবায়দুল কাদেরদের কাছে হয়ে যায় শিষ্টাচার বহির্ভূত। একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের রাষ্ট্রদূতকে তারা ছবক দিচ্ছেন শিষ্টাচার মেনে চলতে যারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিরোধী দলের বিরুদ্ধে খিস্তি-খেউর করে।

সম্পর্কিত খবর

প্রতিটি আসনে গড়ে ১১ প্রার্থী

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version