আপডেট: ১৩:৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪|  অনলাইন সংস্করণ  আ.লীগ দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে না

উপজেলা নির্বাচনে আ.লীগ দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে না নানক

আ.লীগ দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে না

ঢাকা: উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করলেও আওয়ামী লীগ তা করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বা দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না হলে আইনি কোনো জটিলতা হবে না।   এছাড়া আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে নির্বাচনে প্রতীক না দিলে কারও কিছু বলারও থাকবে না বলেও জানান তিনি।

  মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।   বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক দেখানোর কৌশলগত পদক্ষেপ নেইনি। নির্বাচনকে সার্বজনীন করার জন্যই দলীয় প্রতীক থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে উপজেলা পর্যায়ে সঠিক নেতৃত্ব উঠে আসবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে নির্বাচনে প্রতীক না দিলে কারও কিছু বলারও থাকবে না বলেও জানান তিনি।   বিএনপির নির্বাচনে আসা নিয়ে নানক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলে স্বাগত জানাই। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।

বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে আসবে কিনা, এর সঙ্গে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তের কোনো সম্পর্ক নেই।   এদিকে মিশরর রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করায় অভিনন্দন ও অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে মিশর সরকার। সেইসঙ্গে আগামীতে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসা বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে।বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করলেও আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে না। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

metafore online

  জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক দেখানোর কৌশলগত পদক্ষেপ নেইনি, নির্বাচনকে সার্বজনীন করার জন্যই দলীয় প্রতীক থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ফলে উপজেলা পর্যায়ে সঠিক নেতৃত্ব উঠে আসবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে নির্বাচনে প্রতীক না দিলে কারও কিছু বলারও থাকবে না, যোগ করেন তিনি।   এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত যদি উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে তাও আওয়ামী দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে না। তাছাড়া উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বা দলীয় মনোনয়ন দেয়া না হলে আইনি কোন জটিলতা হবে না।  

আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ল কেনো, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর   মিশরের রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করায় অভিনন্দন ও অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে মিশর সরকার। সেইসঙ্গে আগামীতে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে। এবং ব্যবসা বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উন্মুক্ত রাখতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। মূলত বিএনপি নির্বাচনে থাকছে না, এমন ধারণা থেকেই নির্বাচন উৎসবমুখর ও প্রতিযোগিতামূলক করতে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার বিষয়ে আপাতত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।   একাধিক নেতা বলছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে যে বিভেদ বা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দিলে সেই দ্বন্দ্ব হবে আগুনে ঘি ঢালার মতো।

তাই দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনেও দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে।   তবে, আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন- বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে।  আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, তা সমাধান করতে তৃণমূল পর্যায়ে যাবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। দলীয় নেতাকর্মীদের একত্রিত হয়ে মিটিং-মিছিল, সভা-সমাবেশ করার নিদের্শনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এজন্য আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা তৃণমূল পর্যায়ে সফর করবেন।

তাতেও যদি তৃণমূলে দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্ব নিরসন না হয় তাহলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাদের ডেকে বিভেদ মেটাতে নির্দেশনা দেবেন।   গত সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনসহ উপজেলা নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া সভায় রাজনৈতিক বিষয় গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর পদক্ষেপের কথাও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্ট বক্তব্য, কেউ যদি পণ্যদ্রব্য মজুত করে বা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি তাদের জেলে পাঠানোর মতো ব্যবস্থাও নিতে হবে।  

স্থানীয় সরকার (উপজেলা) (সংশোধন) বিল-২০১৫ এ বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও দুটি ভাইস চেয়ারম্যান (সাধারণ ও সংরক্ষিত) পদের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীকে রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনিত অথবা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হতে হবে। আইনটি পাস হওয়ার পর ২০১৭ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হয় উপজেলায়। তারপর থেকে সব স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে। তবে ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

  নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে হবে। বাকিগুলো কয়েকটি ধাপে মে মাসে করা হবে।   আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, বড় দল হিসেবে নেতাকর্মীদের প্রতিযোগিতা থাকবেই। এবার উপজেলা নির্বাচনে উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলীয় প্রতীক দেবে না দল।   আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকা টাইমসকে বলেন, আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দলে প্রতিযোগিতা থাকবেই।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।   এদিকে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দিলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে সর্বজনীন করার জন্যই দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

clipping path tech

সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বা দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না হলে আইনি কোনো জটিলতা হবে না। কৌশলগত কারণে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠক শেষে সোমবার রাতে গণভবনের গেটে সাংবাদিকদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটির এই সিদ্ধান্ত পরবর্তী সময় দলের স্থানীয় মনোনয়ন বোর্ড ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় চূড়ান্ত করা হবে। তবে ওয়ার্কিং কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে।  

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী, দলীয় প্রার্থী সব মিলিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে মনোমালিন্য তার রেশ এখনো রয়ে গেছে। তা দূর করতে আমাদের দলের যে আটটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আছেন তারা সমাধান করবেন। প্রয়োজনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঢাকায় ডেকে এনে তা সমাধানের কথা বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর:

নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশ আজ তাঁবেদার রাষ্ট্র: রিজভী

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version