আপডেট: ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ ড্রোন হামলা
ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রাশিয়া থেকে শনিবার রাতে ৩৮টি হামলাকারী ড্রোন পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে কিয়েভের বিমানবাহিনী। ছয় সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই সংখ্যাটি সর্বোচ্চ। কিয়েভ এবং মস্কো—উভয়ই ২১ মাসের যুদ্ধজুড়ে ব্যাপকভাবে আক্রমণ এবং পর্যবেক্ষণকারী ড্রোন ব্যবহার করেছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, তারা রাশিয়া থেকে নিক্ষেপ করা ইরানের তৈরি ৩৮টি শাহেদ ড্রোনের মধ্যে ২৯টি গুলি করে ভূপাতিত করেছে, কামিকাজে ড্রোন নামেও পরিচিত। এগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছনোর পর বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য বিস্ফোরক দিয়ে ভর্তি অবস্থায় ছিল। ইউক্রেন বিমানবাহিনী প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, ৩০ সেপ্টেম্বরের পর এক রাতে হামলায় রাশিয়ার ছোড়া সর্বোচ্চ ড্রোনের সংখ্যা এটি।
ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবাগুলো বলেছে, দক্ষিণ ওডেসা অঞ্চলে একটি জ্বালানিক্ষেত্রে ড্রোন আঘাত হানলে অগ্নিসংযোগ হয়। তবে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রন করা গেছে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের সেনা সদস্যরা শনিবার বলেছেন, তাদের বাহিনী ‘দনিপ্রো নদীর বাম (পূর্ব) তীরে অবস্থান ধরে রেখেছে।’ গত নভেম্বরে রাশিয়া পশ্চিম তীর থেকে সেনা প্রত্যাহার করার পর ইউক্রেনীয় ও রাশিয়ান বাহিনী এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলের বিশাল জলপথের বিপরীত দিকে অবস্থান করছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত দিকে পাড়ি দেওয়ার এবং অবস্থান ধরে রাখার একাধিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত কিয়েভের কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে একটি ‘সফল’ অগ্রগতির কথা জানান। আজ শনিবার সকালে নদীর পূর্ব দিকের কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে সেনা সদস্যরা বলেছেন, ‘আমাদের সেনারা তাদের অবস্থানকে একত্রিত করছেন ও দখলদারদের ওপর গুলি চালাচ্ছেন।’ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও বলেছে, তারা ব্রায়ানস্ক সীমান্ত অঞ্চলে ইউক্রেনের একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনেদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি আশঙ্কা করছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি ব্যবস্থার ওপর আক্রমণ বাড়াবে, যাতে শীতের মাসগুলোতে দেশটির তাপ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বিকল হয়ে যায়।
গত শীতে রাশিয়ার হামলার কারণে লক্ষাধিক ইউক্রেনীয় শূন্যের নিচের তাপমাত্রায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ‘জমা করছে’ উল্লেখ করে জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, রাশিয়ার হামলা থেকে ইউক্রেনের ‘শতভাগ সুরক্ষা’ না থাকলেও কিয়েভের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গত বছরের চেয়ে এখন ভালো।র প্রেসিডেন্ট ভোলো একটি ড্রোন উড়ে যাওয়ার সময় এক ইউক্রেনীয় সেনা মেশিনগান দিয়ে সেটিকে লক্ষ্য করছেন। ছবিটি গত ১১ নভেম্বর ইউক্রেনের চেরনিগিভ অঞ্চলে ড্রোনবিধ্বংসী মহড়া চলাকালীন তোলা।
ছবি : এএফপি রাশিয়া ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে গত রাতে ৩৮টি হামলাকারী ড্রোন পাঠিয়েছে বলে কিয়েভের বিমানবাহিনী শনিবার জানিয়েছে। ছয় সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে এ সংখ্যাটি সর্বোচ্চ। কিয়েভ ও মস্কো—উভয়ই ২১ মাসের যুদ্ধজুড়ে ব্যাপকভাবে আক্রমণ ও পর্যবেক্ষণকারী ড্রোন ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, তারা রাশিয়ার ছোড়া ইরানের তৈরি ৩৮টি শাহেদ ড্রোনের মধ্যে ২৯টি গুলি করে ভূপাতিত করেছে, কামিকাজে ড্রোন নামেও পরিচিত। এগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছনোর পর বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য বিস্ফোরক দিয়ে ভর্তি ছিল।
বিমানবাহিনী প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে এক রাতের হামলায় রাশিয়ার ছোড়া ড্রোনের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি।
ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবাগুলো বলেছে, দক্ষিণ ওডেসা অঞ্চলে একটি জ্বালানিক্ষেত্রে ড্রোন আঘাত হানলে অগ্নিকাণ্ড হয়। তবে আগুন দ্রুত নিভে গেছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের সেনা সদস্যরা শনিবার বলেছেন, তাদের বাহিনী ‘দনিপ্রো নদীর বাম (পূর্ব) তীরে অবস্থান ধরে রেখেছে।
গত নভেম্বরে রাশিয়া পশ্চিম তীর থেকে সেনা প্রত্যাহার করার পর ইউক্রেনীয় ও রাশিয়ান বাহিনী এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলের বিশাল জলপথের বিপরীত দিকে অবস্থান করছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত দিকে পাড়ি দেওয়ার এবং অবস্থান ধরে রাখার একাধিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। শেষ পর্যন্ত কিয়েভের কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে একটি ‘সফল’ অগ্রগতির কথা জানান।
সূত্র : এএফপি