আপডেট: ১৩:২৫, ২৭ নভেম্বর ২০২৩ পিএম| অনলাইন সংস্করণ  বজ্রপাতে ২০ জনের মৃত্যু

গুজরাটে বজ্রপাতে ২০ জনের মৃত্যু

ভারতের গুজরাট রাজ্যে বজ্রপাতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার গুজরাট রাজ্যে আকস্মিক বৃষ্টিপাতের মধ্যেই বজ্রপাত হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এসিইওসি) জানায়, রোববার গুজরাটের ২৫২ টি মহকুমার মধ্যে ২৩৪ টির বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এরমধ্যে সুরাট, সুরেন্দ্রনগর, খেদা, তাপি, ভরুচ এবং আমরেলি জেলাতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এসব জেলায় মাত্র ১৬ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ১১৭ মিলিমিটার পর্যন্ত ‍বৃষ্টি হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) তথ্যানুসারে, সোমবার বৃষ্টিপাত কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে বলেন, গুজরাটের বিভিন্ন শহরে খারাপ আবহাওয়া এবং বজ্রপাতের কারণে অনেক মানুষের মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত।

এই ট্র্যাজেডিতে যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে তাদের প্রতি অপূরণীয় ক্ষতির জন্য আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। এছাড়াও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণের জন্য কাজ করছেন। ভারতের গুজরাটে বজ্রপাতে ২০ জনের মৃত্যু গুজরাটে বজ্রপাতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে গুজরাটে বজ্রপাতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের গুজরাট রাজ্যের বিভিন্ন অংশে গতকাল রোববার বজ্রপাতে ২০ জন নিহত হয়েছেন। ভারতের স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের (এসইওসি) একজন কর্মকর্তা আজ সোমবার জানান, গুজরাটের বিভিন্ন অংশ থেকে এখনো পর্যন্ত বজ্রপাতে মোট ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

clipping path tech

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অসময়ের এই প্রবল বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ায় রাজ্যটিতে ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসনকে ত্রাণ কাজ পরিচালনা করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এসইওসি জানায়, গুজরাটের দাহোদ জেলায় চারজন, ভারুচে তিনজন, তাপিতে দুজন এবং আহমেদাবাদ, আমরেলি, বানাসকাথা, বোটাদ, খেদা, মেহসানা, পঞ্চমহল, সবরকাথা, সুরাট, সুরেন্দ্রনগর এবং দেবভূমি দ্বারকায় রোববারের বজ্রপাতে একজন করে মারা গেছেন।

এসইওসির তথ্য অনুসারে, গুজরাটের ২৫২টি জেলার মধ্যে ২৩৪ টিতে রোববার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সুরাট, সুরেন্দ্রনগর, খেদা, তাপি, ভরুচ এবং আমরেলি জেলায় ১৬ ঘণ্টায় ৫০-১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে- যাতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়া ছাড়াও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজকোটের কিছু অংশে শিলাবৃষ্টি হয়েছে।

ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টিতে কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হওয়ায় সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের মরবি জেলার সিরামিক শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আজ সোমবার বৃষ্টির তীব্রতা কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। কেবল দক্ষিণ গুজরাট ও সৌরাষ্ট্রের কিছু অংশে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান আইএমডির আহমেদাবাদ শাখার পরিচালক মনোরম মোহান্তি। বিশেষ বুলেটিনে তিনি বলেন, উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে।

এতে গুজরাটের বিস্তীর্ণ অংশে বজ্র সহ বৃষ্টিপাতের সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়। এর প্রভাবেই গুজরাটে বৃষ্টি হচ্ছে। বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন,

গুজরাটের বিভিন্ন শহরে খারাপ আবহাওয়া ও বজ্রপাতে বহু মানুষের মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই ট্র্যাজেডিতে যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের অপূরণীয় ক্ষতির প্রতি আমি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

metafore online
স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে।ভারতের গুজরাট রাজ্যে বজ্রপাতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজ্যটিতে অমৌসুমি বৃষ্টিপাতের মধ্যে বজ্রপাতের কারণে বেশ কয়েকটি জেলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। অসময়ের এই প্রবল বৃষ্টিপাতে রাজ্যটির মানুষও নাকাল হয়ে পড়েছেন। সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার গুজরাটে অমৌসুমি বৃষ্টিপাতের পর বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি বজ্রপাতে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এছাড়াও এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এসিইওসি) জানিয়েছে, রোববার গুজরাটের ২৫২টি অঞ্চলের মধ্যে ২৩৪টির বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সুরাট, সুরেন্দ্রনগর, খেদা, তাপি, ভরুচ এবং আমরেলি জেলাতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এসব জেলায় মাত্র ১৬ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ১১৭ মিলিমিটার পর্যন্ত ‍বৃষ্টি হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে।

এর পাশাপাশি চলমান আবহাওয়া গুজরাটের বিস্তীর্ণ অংশে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরিতে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করছে। এর প্রভাবেই গুজরাটে এই বৃষ্টি হচ্ছে। গুজরাটের কিছু অংশে সোমবারও দুর্যোগময় আবহাওয়া অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে দুর্যোগের মাত্রা কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘গুজরাটের বিভিন্ন শহরে খারাপ আবহাওয়া এবং বজ্রপাতের কারণে অনেক মানুষের মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই ট্র্যাজেডিতে যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে তাদের প্রতি অপূরণীয় ক্ষতির জন্য আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version