আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:২৭ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ  শুটিংয়ে সাপের কামড় খেলেন ওমর সানী

শুটিংয়ে সাপের কামড় খেলেন ওমর সানী

শুটিং সেটে সাপের কামড় খেয়ে কাহিল অবস্থা নায়ক ও ভিলেন ওমর সানির। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে

বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় শুটিং চলাকালীন সাপের ছোবল খান। রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ‘ডেড বডি’ নামে একটি সিনেমার শুটিং সেটে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেমার পরিচালক এমডি ইকবাল। এদিন রাতে তিনি বলেন, ওইদিন দুপুর ১২টায় আমরা শুটিং করছিলাম। হঠাৎ একটি সাপ কামড়ে দেয় ওমর সানীকে। এরপর তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে  নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে সুস্থ আছেন ওমর সানী। বিশ্রাম নিয়ে শুটিং শুরু করেছেন। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ঘটনা পরবর্তী একটি ভিডিও ছড়িয়েছে। যেখানে পায়ে কাপড় বেঁধে রাখা অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গেছে ওমর সানীকে।

metafore online

উল্লেখ্য, এমডি ইকবাল পরিচালিত ‘ডেড বডি’ সিনেমাটিতে ওমর সানী ছাড়া অভিনয় করছেন, শ্যামল মাওলা, জিয়াউল হক রোশান, রাশেদ মামুন অপু, কলকাতার অভিনেত্রী অন্বেষা রায় এনি, মিষ্টি জাহানসহ অনেকে। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব চিত্রনায়ক ওমর সানী। কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনের নানা বিষয় ফেসবুকের সুবাদে তিনি শেয়ার করেন ভক্ত-দর্শকদের সঙ্গে। কথা বলেন, সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়েও। তারই ধারাবাহিকতায় এবার এই চিত্রনায়ক কথা বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে। আজ রবিবার এক ফেসবুকবার্তায় ওমর সানী বলেন, ‘সাধারণ মানুষ কী খাবে বলে দেন সরকার। খাবারের লিস্ট দিয়ে দেন, আমরা কী খাব, আর পারছি না রাষ্ট্র।’ তার এমন পোস্ট ঘিরে লাইক, শেয়ার ও মন্তব্যও ছিল চোখে পড়ার মতো। বেশির ভাগ মন্তব্যকারী তার কথায় সহমত পোষণ করেছেন।

আবার কেউ লিখেছেন, দু’চার কথাও। হঠাৎ তার এমন পোস্টের কারণ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে সানী বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মানুষ বাঁচবে কীভাবে

খাবেটা কী? এমনটা তো ছিল না। কেন এমনটা হলো। বাধ্য হয়েই লিখলাম।’ এই চিত্রনায়ক মনে করে, নিজের মনের কথাগুলো তো আর জনে জনে গিয়ে বলা সম্ভব না। আর তার জানানোর জায়গা একটাই- নিজের ফেসবুক। আর সেকারণেই নিজের মনের কথাগুলো লিখেছেন তিনি। কথায় কথায় ওমর সানী বলেন, ‘আমরা দুজন আয় করা মানুষ, সেই আমাদের যদি এত হিসাব করে চলতে হয়, তাহলে দেশের আর সাধারণ মানুষেরা কী অবস্থায় আছে! ভাবলেই যেন অস্থির লাগে

clipping path tech

দম বন্ধ হয়ে আসে। একসময় পাঙাশ মাছ ছিল গরিবের সস্তা খাবার। সেই পাঙাশের দামও এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে, কেজি ২০০ টাকার ওপরে। আর ইলিশের হালি নাকি কলকাতায় ১ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়! যে ইলিশের জন্ম আমাদের এখানে, সেটা তো আমরা পুঁটি মাছের দামে পাওয়ার কথা। কিন্তু হচ্ছেটা কী, ইলিশের দাম যেন আগুন। স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সাধারণ ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আমাদের যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়ার কথা, সেসব এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’

সবশেষে তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ভাই আমরা দল করি না, কিছুই করি না। রাষ্ট্র কে চালাইল, কীভাবে চালাইল, সেটাও আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা চাই রাষ্ট্র আমাদের ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা দিক। আমরা একেবারে সাধারণ মানুষ। এই রাষ্ট্র আমার, আমার বাপের, আমার চৌদ্দগুষ্টির। তো রাষ্ট্র কেন আমাদের পরিচালনা করতে ব্যর্থ হবে! মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের কাছে কেন জিম্মি থাকতে হবে রাষ্ট্রকে।’  

সম্পর্কিত খবর

সারিয়াকান্দিতে কৃষকের চারা উৎপাদন

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version