ভোটের উৎসবে শামিল হতে আহ্বান জানিয়ে মানববন্ধন

এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ ভোট উৎসবে শামিল হতে আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ, মিছিল ও মানববন্ধন করে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বরছবি: সাজিদ হোসেন ভোটের অধিকার প্রয়োগ ও সরকারের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের উৎসবে শামিল হতে আহ্বান জানিয়েছেন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের ব্যানারে মানববন্ধন হয়েছে। এতে অংশ নেন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান উপাচার্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের মাথায় ‘গো ভোট’ লেখা লাল রঙের টুপি ছিল। তাঁরা লিফলেট বিতরণ ও মিছিল করেন। এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘তরুণ ভোটারদের জন্য অনেক কারণে সঠিক প্রার্থীদের ভোট দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

clipping path tech

তাদের ভোটের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে হবে।’মানববন্ধনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ কিউ এম মাহবুব, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক শামীম আরা হাসান, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহরুখ আদনানসহ প্রমুখ। মানববন্ধনে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি ও উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।পারস্পরিক সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ‘ধর্মীয় বিভেদমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ’ দেশ গড়তে জাতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আসুন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় স্নাত হয়ে, বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলি। যেখানে বৈষম্য থাকবে না, মানুষে মানুষে থাকবে না কোন ভেদাভেদ, থাকবে না ধর্মে-ধর্মে কোন বিভেদ।’ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ উপলক্ষে বুধবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এদিকে সকালে রাজধানীতে অন্য এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্মের সঙ্গে সংস্কৃতির কোন সংঘাত বা বিরোধ নেই। কিছু লোক ধর্মের সঙ্গে সংস্কৃতির বিরোধ সৃষ্টি করতে চায়।

এটা মোটেও সঠিক নয়। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’ বাঙালির বর্ষবরণ পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বারবার বাধা দেয়া এবং তিন দশক আগে (বাংলা ১৪০০ সালে) রমনা বটমূলে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা স্মরণ করে শিল্পকলা একাডেমির ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এগুলো করাই হয়েছিল যাতে আমাদের সংস্কৃতি চর্চা বন্ধ হয়ে যায়।’ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘জাগতিক নিয়মের পথ-পরিক্রমায় বছর শেষে আমাদের মধ্যে আবার এসেছে নতুন বছর- ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। সবাইকে নতুন বছরের আন্তরিক শুভেচ্ছা।

শুভ নববর্ষ।’ এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালির মুখের ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে উপজীব্য করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটেছিল। যার ওপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। কাজেই আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি এবং ঐতিহ্যকে অস্বীকার করা মানে আমাদের স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করা।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধর্মে-বর্ণে বিভক্ত হলেও ঐতিহ্য ও কৃষ্টির জায়গায় সব বাঙালি এক ও অভিন্ন। নানা ঘাত-প্রতিঘাতে অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে গেলেও পহেলা বৈশাখে নববর্ষ উদ?যাপন এখনো স্বমহিমায় টিকে আছে।’

metafore online

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত দুই বছর বর্ষবরণের আয়োজন করতে না পারার কথা উল্লেখ করে এবার সবাইকে উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তবে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। উপযুক্ত ৯০ শতংশ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে জনগণকে এই মহামারী থেকে সুরক্ষিত রাখতে সরকার সচেষ্ট জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ টিকা পাওয়ার যোগ্য মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। টিকা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের পর এখন বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারী শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মহামারীজনিত ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যের দামে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য পরিবহনেও ভাড়া ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দেশেও কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। আমরা কিন্তু চুপচাপ বসে নেই। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে স্বস্তি নিয়ে আসার।’

সম্পর্কিত খবর:

পটিয়ায় নৌকার সমর্থকের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version