পটিয়ায় নৌকার সমর্থকের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ

নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর ওপর নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 1 চট্টগ্রাম-১২ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী আজ বেলা ১১টার দিকে পটিয়ার শান্তিরহাট এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন। প্রচার শুরু হওয়ার ২০ মিনিটের মাথায় তাঁর ওপর হামলা হয়। পরে ওই এলাকা থেকে মনসা চৌমুহনী এসে গণসংযোগের সময় সামশুল হক চৌধুরী ওই হামলার বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি এ হামলার জন্য নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর অনুসারীরা হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই হামলা করেছেন। মোতাহেরুলের গুন্ডা বাহিনী এ হামলা করেছেন। এতে আমার ভাইসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

clipping path tech

আমি জনগণের কাছে বিচার দিয়ে গেলাম।’

  ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সামশুলের প্রচার শুরু হওয়ার পর নৌকার স্লোগান নিয়ে ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তি ঝাড়ু ও জুতা নিয়ে শান্তিরহাটে ভিড় করেন। পরে তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেন। তবে হামলাকারীরা নৌকার কেউ নন বলে দাবি করেছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কারা হামলা করেছেন, তা জানি না।’ পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে চট্টগ্রাম-১২ আসন। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন নয়জন। তবে এই আসনের নির্বাচনে তিনবারের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ১৮ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে প্রচারণা ঘিরে দুই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে অন্তত ২০ বার হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর হয়েছে মাইক ও যানবাহন।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকের ওপর স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।  শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নে রশিদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আশরাফুল আলম সাজ্জাদের (২৫) ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তিনি গুরুতর আহত হন।তিনি শোভনদন্ডী ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মঞ্জুরা বেগমের ছেলে।  

 

আবু তারেক নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, রশিদাবাদ এলাকার একটি মিলাদ মাহফিলে যাওয়ার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী এমপির ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বত ও মুজিবুল হক চৌধুরী নবাবের নির্দেশে রাতের আধারে এলাকার চিহ্নিত তারেকুল ইসলাম ইমন, সাকিব, সামু, ইনান, শহীদুল ইসলাম সহ আরও ৭-৮ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বলতে থাকেন নৌকা প্রার্থীর পক্ষে কেন মা ছেলে কাজ করছে এ কথা বলতে বলতে কিল ঘুষি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে আহত আশরাফুল আলম সাজ্জাদ জোরে চিৎকার করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাজ্জাদ।

metafore online

পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাত ৮টার দিকে গুরতর আহত অবস্থায় এক যুবককে বেশ কিছু লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসে।

আমরা প্রাথমিকভাবে তাকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করি। তার শরীরে নিলা ফুলা জখমের চিহ্ন রয়েছে।  এদিকে, এ খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী হাসপাতালে সাজ্জাদকে দেখতে আসেন। এসময় তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন এবং সব ধরনের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীন পারভেজ, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদা বেগম, ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম লিটন,নাজমুল সাকের সিদ্দিকীসহ আরও অনেকেই।  

আহত আশরাফুল আলম সাজ্জাদের মা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও ইউপি সদস্য মঞ্জুরা বেগম বলেন, আমি ও আমার পরিবারসহ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে কাজ করার কারণে সামশুল হক চৌধুরী এমপির ভাইদের রোষানলের শিকার আমার ছেলে। আমি এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করব।  পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান হাসপাতালে গিয়ে আহত সাজ্জাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, সাজ্জাদের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত খবর:

আমার কাছে তথ্য আছে, যেখানে যাব সেখানেই তারা বিশৃঙ্খলা করবে

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version