আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:০ এএম |  অনলাইন সংস্করণ  ৮ মিনিটে পদ্মা পাড়ি 

৮ মিনিটে পদ্মা পাড়ি দিল পরীক্ষামূলক ট্রেন

ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গার পথে ছুটছে প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন। যাত্রাপথে ৮ মিনিটে পদ্মা সেতু পার হয়েছে বিশেষ এই ট্রেনটি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে ট্রেনটি পদ্মা সেতুতে ওঠে। এরপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতু পার হতে সময় লাগে ৮ মিনিট। বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে বিশেষ এই ট্রেনটি জাজিরা প্রান্তে পৌঁছায়। এর আগে সকাল ১০টা ৭ মিনিটে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ ট্রেনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যাত্রী হয়েছেন। ট্রেনটি ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে।

রেলমন্ত্রীর সঙ্গে পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় আরও রয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। সরকারপ্রধান ওইদিন ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতুও পাড়ি দেবেন। এর প্রস্তুতি হিসেবে আজ ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এই পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হচ্ছে। পরীক্ষামূলক যাত্রায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবেন রেলওয়ে ও প্রকল্পের কর্মকর্তারা। এদিকে পরীক্ষামূলক যাত্রার জন্য প্রস্তুত করা ট্রেনটি বুধবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুরে আসে। এক মিনিট বিরতির পর সেটি আবার ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। এর আগে মঙ্গলবার ঈশ্বরদী থেকে রাজবাড়ী এসে পৌঁছায় ট্রেনটি।

 

metafore online

পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে প্রথমবার ফরিদপুরের ভাঙ্গার পথে ছুটছে ট্রেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৭ মিনিটে কমলাপুর থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ঠিক ১১টা ২৬ মিনিটে পদ্মা সেতুতে ট্রেন ওঠে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু ট্রেনে করে পাড়ি দিতে সময় লেগেছে ৮ মিনিট। ঠিক ১১টা ৩৪ মিনিটে পদ্মা সেতু পাড় হয়। 

পদ্মা সেতুতে আগামী ১০ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে একটি ট্রেন পদ্মা সেতু পার হয়ে ভাঙ্গায় যাচ্ছে।  রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ রেলওয়ে ও প্রকল্পের কর্মকর্তারা পরীক্ষামূলক এই যাত্রায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন।

  রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘এই রেললাইন উদ্বোধনের ফলে রেল যোগাযোগব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ জীবনযাত্রা সহজ হবে।’  পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে প্রথমবার ভাঙ্গা যাচ্ছে ট্রেন পদ্মা বহুমুখী সেতুতে সড়ক ও রেল একই সঙ্গে চলাচলের কথা ছিল। কিন্তু সড়ক অংশ চালু হলেও উদ্বোধন হয়নি রেল চলাচল। তবে আগামী ১০ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর এতে করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ আরও সহজ হবে।  মন্ত্রী গত সোমবার জানান, পদ্মা সেতু হয়ে রেলপথ উদ্বোধনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিয়েছেন ১০ অক্টোবর। সেদিন একটি সুধী সমাবেশও অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে একটি ট্রেন কমলাপুর থেকে ভাঙ্গা অংশ পর্যন্ত যাবে এবং ফিরে আসবে। 

পুরো প্রকল্প যশোর পর্যন্ত। সেটি উদ্বোধন হবে ২০২৪ সালের জুনে। আর এ বছর চালু হবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত। পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করছে রেলওয়ে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে।

clipping path tech

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর থেকে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা

শুরুতে একটি ট্রেন পরিচালনা করা হবে। প্রকল্প কার্যালয় থেকে ঢাকা-পদ্মা সেতু-রাজবাড়ী রুটে ট্রেন চালানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।  রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্বোধনের সময় সব স্টেশন এবং পুরো সংকেতব্যবস্থা হয়তো চালু করা যাবে না। শুরুতে তিনটি স্টেশনে ট্রেন থামার ব্যবস্থা থাকবে। স্টেশনগুলো হচ্ছে মাওয়া, পদ্মা (জাজিরা) ও শিবচর।

মুন্সিগঞ্জের নিমতলা স্টেশনটিও চালুর চেষ্টা চলছে।  প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুসারে, আগস্ট পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮২ শতাংশ। এই প্রকল্পে তিন অংশে বিভক্ত হয়ে কাজ চলমান। প্রথম অংশের ঢাকা-মাওয়া অংশে অগ্রগতি ৮০.৫০ শতাংশ। এই অংশে রেললাইন নির্মাণ শতভাগ হয়ে গেলেও নতুন ৪ স্টেশনের একটিরও শতভাগ কাজ হয়নি। কাজ বাকি ব্যালাস্টেড ট্রাক ও মেজর দুই ব্রিজের।  আর দ্বিতীয় অংশ মাওয়া-ভাঙ্গার কাজের অগ্রগতি ৯৬.৫০ শতাংশ। ব্যালাস্টেড ট্রাক ও সিগন্যালিংয়ের কাজ বাকি। নতুন ৪ স্টেশনের দুটির নির্মাণ শেষ। এ ছাড়া এই অংশের সব কাজই সম্পন্ন হয়েছে।  এই রেললাইন প্রকল্প নির্মাণে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়ন শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। জিটুজি পদ্ধতিতে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রেলসংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত খবর

‘সিন্ডিকেটের খেলায় আমি ক্লান্ত অসুস্থ’

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version