আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের লুটপাটের শিকার এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। চলতি হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির লোকসান ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। Bd news Bangla 

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্পর্কিত খবর

সূত্র মতে, হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে এফএএস ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৩ টাকা ৬৩ পয়সা। এ হিসেবে নয় মাসে কোম্পানিটির মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০৩ কোটি ১৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা। গত বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১৭ টাকা ৭৯ পয়সা। এফএএস ফাইন্যান্স জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী প্রভিশন সংরক্ষণ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির লোকসান বড় হয়েছে।

metafore online

সমন্বিতভাবে এফএএস ফাইন্যান্সের সম্পদ মূল্য ঋণাত্মক (নেগেটিভ) রয়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ঋণাত্মক ৯৯ টাকা ৭৫ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য বলছে, এফএএস ফাইন্যান্সের লোকসান শুরু হয় ২০১৯ সালে। ওই বছর কোম্পানিটি ১৫০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা লোকসান দেয়। এরপর থেকে বাড়তে থাকে প্রতিষ্ঠানটির লোকসান। ২০২০ সালে কোম্পানিটির লোকসান বেড়ে দাঁড়ায় ২১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২০২১ সালেও ব্যাংক বহির্ভূত এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির লোকসান ছিল ২৯৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আর ২০২২ সালে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এফএএস ফাইন্যান্সের লোকসান ছিল ৭১৩ কোটি ১৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা।

এফএএস ফাইন্যান্স দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০৮ সালে। তালিকাভুক্তির পর গত ১৪ বছরের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দেয়নি। তবে তালিকাভুক্তির পর ২০১৩ ও ২০১৪ সাল ছাড়া ২০১৮ সাল পর্যন্ত বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আর ২০১৯ সালে লোকসান শুরু হওয়ায় গত চার বছরে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি এফএএস ফাইন্যান্স।

clipping path tech

দ্বাদশ নির্বাচন: ঋণ খেলাপি প্রার্থীদের তথ্য চায় বাংলাদেশ ব্যাংক

তথ্য বলছে, গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এফএএস ফাইন্যান্সের ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে ছিল। এই সময়ে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার। আর বাকি ৯ দশমিক ০২ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ধারণ করছে।

দ্বাদশ নির্বাচন: ঋণ খেলাপি প্রার্থীদের তথ্য চায় বাংলাদেশ ব্যাংক Bd news Bangla – 24NBN

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এমন প্রার্থীদের ব্যাংক ঋণের হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইন অনুযায়ী, কোনো ঋণ খেলাপি গ্রাহকের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে। সার্কুলারটি দেশে কার্যরত সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২–এর ১২ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী কোনো ঋণখেলাপি ব্যক্তি জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার যোগ্য হন না। ফলে খেলাপি হলে কেউ প্রার্থী হতে পারেন না। আগে নিয়ম ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাতদিন আগে খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিল করে নিয়মিত করতে হবে। ব্যাংকঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত বিধান ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সংশোধন করা হয়। আর বিলখেলাপি–সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করা হয় চলতি বছরের জুলাইয়ে। নতুন আইনে মনোনয়নপত্র জমার এক দিন আগে খেলাপি ঋণ পরিশোধ করলেই নির্বাচনে অংশ নেওয়া যায়। Bd news Bangla 

নানা ধরনের ছাড় দেওয়ার কারণে ঋণ খেলাপিদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া সহজ হয়ে গেছে

এখন আর ভোটে দাঁড়াতে আগের মতো ১০ শতাংশ নগদ অর্থ জমা দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল করতে হচ্ছে না। এর চেয়ে অনেক কম অর্থ জমা দিলেই হয়। তাছাড়া আগের মতো ঋণ পুনঃতফসিলের প্রস্তাবও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানোর দরকার পড়ে না। ফলে ব্যাংকগুলো যে যার মতো করে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করে দিচ্ছে।

Buy Database Online – classy database

বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঋণ খেলাপিদের আরও ছাড় দিতে চেয়েছিল। ঋণ খেলাপিদের জন্য নির্বাচনের পথ সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরো (সিআইবি) ছাড়পত্রের বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে চেয়েছিল ইসি। তারা চেয়েছিল খেলাপি ঋণ আদায়ে কেবল মামলা থাকলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। এ জন্য সিআইবির ছাড়পত্র লাগবে না। তাই গত বছরের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ইসি বৈঠক করে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর অসম্মতিতে নির্বাচন কমিশনের সেই চেষ্টা সফল হয়নি।

২০১৮ সালে ব্যাংকঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত বিধান, আর এ বছর বিলখেলাপি–সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করায় এমন সুযোগ তৈরি হয়েছে। Bd news Bangla 

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দুই বছরের বেশি সময় ঋণ পরিশোধে ছাড় দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন ঋণ শোধ বা কিস্তি না দিলেও কেউ খেলাপি হননি। এরপর গত বছরের জুলাইয়ে খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের নীতিমালা সংশোধন করে ছাড় দেওয়া হয়। যার ফলে এখন ব্যাংক নিজেই খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে পারছে। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে এখন জমা দিতে হচ্ছে বকেয়ার আড়াই থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৬ শতাংশ অর্থ। আগে যা ছিল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version