আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০২৩, ১৪:১৩, এএম |  অনলাইন সংস্করণ  কার্যক্রম ৫ দিন বন্ধ

ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের ব্যাংকিং কার্যক্রম ৫ দিন বন্ধ

ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের ডাটা সেন্টার স্থানান্তরের জন্য ব্যাংকের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে

দেশের কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, ডাটা সেন্টার স্থানান্তরের জন্য ১৯ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ অপারেশনস) সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। রোববার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাটি চিঠি আকারে বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ছুটির তা‌লিকার মধ্যে রয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস, ২৬ ফেব্রুয়ারি শব-ই-বরাত, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন ও শিশু দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ৫ এপ্রিল জুমাতুল বিদা, ৭ এপ্রিল শব-ই-ক্বদর, ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল ঈদ-উল-ফিতর, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১ মে -মে দিবস, ২২ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা (বৈশমাখী পূর্ণিমা), ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন ঈদ-উল-আযহা, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে, ১৭ জুলাই আশুরা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ১৬ সেপ্টেম্বর ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.), ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন (বড় দিন), ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে। এসব দিবস ও তারিখে ব্যাংক বন্ধ থাকবে, অর্থাৎ এসব দিনগুলোতে কোন ব্যাংক লেনদেন হবে না।

clipping path tech

ধর্মীয় বিভিন্ন দিবস উপলক্ষ্যে আগামী বছরের ছুটির তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও চাঁদ দেখার ওপর এটি পরিবর্তন হতে পারে। ব্যাংকটির কান্ট্রি হেড জানান, ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে প্রায় ৯৮ শতাংশ ঋণের টাকা উঠাতে না পারায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের গুলশান শাখা। বাংলাদেশে নিজেদের শাখা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (এনবিপি)। ব্যাংকটির কান্ট্রি হেড জানান, ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে প্রায় ৯৮ শতাংশ ঋণের টাকা উঠাতে না পারায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পাকিস্তানের সরকারি মালিকানাধীন এনবিপি ব্যাংকের সারা বিশ্বের ২১ টি দেশে শাখা ও ২০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ রয়েছে

বাংলাদেশে এনবিপি ব্যাংক তাদের কার্যক্রম শুরু করে ১৯৯৪ সাল থেকে। দেশের তিনটি শহরে তাদের চারটি শাখা এবং ৮ হাজার গ্রাহক রয়েছে। বিভিন্ন ঋণগ্রহীতা, বিশেষ করে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প খাতের জন্য নেয়া ঋণগুলো ফেরত না পাওয়ায় সমস্যার পড়েছে দেশে এনবিপি-বিডি নামে পরিচিত এই ব্যাংক। গত বছরের ডিসেম্বরে এনবিপি-বিডির বকেয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬৪ মিলিয়ন ডলার যা তাদের মোট ঋণের ৯৭ দশমিক ৭ শতাংশ। ব্যাংকের সিলেট শাখার চীফ এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “আমরা কিছু অনিবার্য কারণে সিলেট শাখা বন্ধ করে দিতে যাচ্ছি। পাকিস্তানে প্রধান কার্যালয় থেকে এর অনুমোদন দিয়ে দেয়া হয়েছে। ব্যাংক বন্ধের প্রক্রিয়া চলছে এখন।”

গত ছয় বছরে ব্যাংকটি তাদের ২৩ মিলিয়ন ডলারের মত ঋণের টাকা উদ্ধারের জন্য ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে ১৪৩ টি মামলা করেছে

কামরুজ্জামান আরো জানালেন যে বর্তমানে ব্যাংকটি মামলা-মোকদ্দমা ছাড়াই আরো ঋণ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং গত বছরেই আরো ঋণ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য এখন নন-পারফর্মিং ঋণগুলো উদ্ধার করা।

metafore online

সেই সাথে তারা অলটারনেটিভ ডিসপিউট রিসল্যুশন (এডিআর) প্রক্রিয়ায় যাবেন যেন ক্লায়েন্টদের সাথে বসে আপসে সমস্যা সমাধান করা যায়। কামরুজ্জামান বলেন, “সুখবর হচ্ছে এই যে আমরা এডিআর প্রক্রিয়ায় কিছু ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। ব্যাংক এক্ষেত্রে তাদের খেলাপি থেকে ছাড় দিবে এবং বিনিময়ে তারা নতুন ব্যাংকিং ক্রেডিট রেকর্ড পাবে।

তবে আগের রেকর্ড না ক্লিয়ার করা পর্যন্ত তারা অন্য কোন ব্যাংক থেকে ভবিষ্যতে আর ঋণ নিতে পারবে না।” ইব্রাহিম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনজুরুল আলম এনবিপি-বিডি থেকে ৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছিলেন ২০১২-১৩ অর্থবছরে। তিনি জানান ব্যাংকের সাথে তার সমঝোতা চলছে। আলম বলেন, “আমরা সমঝোতা চলাকালে ব্যাংককে ১৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার দিতে চেয়েছি।

এই প্রস্তাব আমরা ২০১৯ এর ডিসেম্বরে দিয়েছিলাম যখন করোনার জন্যে কোনো কাজ ছিলনা আমাদের। ব্যাংকের সাথে তিন সপ্তাহ আগে আমার কথা হয়েছে এবং তারা আমাকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে তারা আমাদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করবে।”

সম্পর্কিত খবর

বাজার মূলধন বেড়েছে ১০৪০ কোটি টাকা

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version