আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:২৩ পিএম |  অনলাইন সংস্করণ  বাজার মূলধন বেড়েছে ১০৪০ কোটি টাকা

বাজার মূলধন বেড়েছে ১০৪০ কোটি টাকা


দেশের শেয়ারবাজারে গেলো সপ্তাহে সূচক কমেছে। এসময় বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। আলোচ্য সময়ে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৪০ কোটি ২১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। তথ্যমতে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গেলো সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ দিন বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৫২৮ কোটি ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। আলোচ্য সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ৪৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ১৯ হাজার টাকা।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গেলো সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩০১ কোটি ২ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষ দিন বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫৮০ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার টাকা। দুই স্টক এক্সচেঞ্জে বা পুরো শেয়ারবাজারে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৪০ কোটি ২১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ডিএসইতে গেলো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৯৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে লেনদেন বেড়েছে ৩৫৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা

clipping path tech

ডিএসইতে গেলো সপ্তাহে মোট ৩৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে বেড়েছে ৭০টি, কমেছে ৭৯টি এবং অপরিবর্তিত ছিল ২২৯টির শেয়ার ও ইউনিট দর। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৬৭ পয়েন্টে, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিকে, গেলো সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৫৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫৬৩ কোটি ৩৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৭৩ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স ১ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ১০৮ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে গেলো সপ্তাহে মোট ২৪৫ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১২৪টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে মার্কিন ডলারের দাম

ফলে ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রা টাকা মান হারাচ্ছে। এক দিনেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান ক‌মে গে‌ছে ৫০ পয়সা। চলতি অর্থবছরে চার মাসে টাকার দরপতন হয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা, আর এক বছরে কমেছে প্রায় ১০ টাকা। নভেম্বরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানিকারকদের থেকে প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে আমদানিকারকদের কাছে ১১১ টাকায় বিক্রি করবে ব্যাংকগুলো। আন্তঃব্যাংকে ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১১৪ টাকা। গেল মাস অক্টোবরে ১১০ টাকায় ডলার কিনে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রির সিদ্ধান্ত ছিল। তবে ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করছে এর চেয়ে তিন থেকে পাঁচ টাকা বেশি দরে

metafore online

ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে ১১৮ থেকে ১১৯ টাকায়। শিক্ষার্থী, রোগী ও পর্যটক বিদেশে যাওয়ায় সময় নগদ ডলার কিনতে গেলে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১২০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে। টাকার মান কমলে সমস্যা কোথায়? ডলারের বিপরীতে টাকার মান যখন কমে যায় তখন বিদেশি ঋণ পরিশোধে সরকারের চাপ বাড়ে। এক বছরের যদি ডলারের দাম ১০ টাকা বাড়ছে। তার মানে আগের তুলনায় এখন বিদেশি ঋণ সরকারকে ১০ টাকা বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে। ভর্তুকির পেছনে ব্যয় ও প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে মুদ্রার মান নির্ধারণ হয় অর্থের ক্রয়ক্ষমতা দিয়ে। দ্রব্যের দামের সঙ্গে মুদ্রার মানের সম্পর্ক বিপরীত।

দ্রব্যের দাম কমলে মুদ্রার মান বাড়ে, বিপরীত-ক্রমে দ্রব্যের দাম বাড়লে টাকার মান কমে। যেকোনো রাষ্ট্রের অর্থের আন্তর্জাতিক মূল্য নির্ধারিত হয় তার জোগান এবং চাহিদার ওপরে নির্ভর করে। এদিকে ডলার সংকটে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। কমছে টাকার মানও। ডলার বাঁচাতে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। যদিও মূলধনী যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা এবং নিষ্পত্তির হার কমেছে। এতে উৎপাদন খাত শিথিল হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটেই চলেছে।

সম্পর্কিত খবর:

‘প্রতিবেশী দেশের চেয়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সম্ভাবনাময়’

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version