আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ২২:৪৫ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ      মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির 

মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির পরও বড় হার বাংলাদেশের

মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির

বিজয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু। জয়ের আশায় নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ জয়তো দূরের কথা। কি হাল হলো টাইগারদের! শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশি বোলাররা। তবে ওইখানেই শেষ। এরপরের গল্পটা শুধুই হতাশার। কুইন্টন ডি ককের ১৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা। তার শতরানের ইনিংসের পরও ব্যাটিং ব্যর্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।

clipping path tech

এই নিয়ে বিশ্বকাপে টানা চতুর্থ হারের তেঁতো স্বাদ পেলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তানজিদ তামিম ১৭ বলে ১২ রান করেন। আর রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান নাজমুল হাসান শান্ত। মাত্র ১ রান করে আউট হন সাকিব আল হাসান। এরপরও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করতেই আরও তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একেবারে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপর ক্রিজে আসা হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। সাবলীল ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।

তবে দলীয় ১৫৯ রানে ২৫ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান হাসান। ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মাঝে এক লড়াই করে ১০৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ। সেঞ্চুরির পরও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ, তবে দলীয় ২২৭ রানে ১১১ বলে ১১১ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ের পর শেষ ব্যাটার হিসেবে মুস্তাফিজ আউট হলে ৪৬ ওভারে ৪ বলে ২৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জোড়া উইকেট তুলে স্বস্তিতে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। চেপে ধরেছে শুরুতেই। তুলে নিয়েছে জোড়া উইকেট।

ভাঙন ধরেছে প্রোটিয়াদের টপ অর্ডারে

 শরিফুলের পর মিরাজের আঘাত। স্বপ্নের পরিধি বাড়িয়ে তুলছে টাইগাররা। প্রথম আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন শরিফুল ইসলাম। ভেঙেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী জুটি। স্ট্যাম্প ভেঙে রেজা হেন্ড্রিকসকে দেখিয়েছেন সাজঘরের পথ। ৬.১ ওভারে ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। রেজা করেন ১৯ বলে ১২ রান। তবে উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না মিরাজকে। অষ্টম ওভারেই উইকেটের দেখা পেলেন তিনি। বাংলাদেশও পেল স্বস্তি। ৭.৫ ওভারে তিনি ফিরিয়েছেন ভেন ডার ডুসেনকে। ৭ বলে ১ রানে করে সাজঘরে এই প্রোটিয়া। এর আগে ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে মাঠে নামে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টসে হেরে আগে ফিল্ডিং করতে হচ্ছে টাইগারদের। এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নেই তাওহীদ হৃদয়। ৮ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ এখন ২ উইকেটে ৩৬ রান। ১৫৬ রানে অলআউট আফগানিস্তান 

বিশ্বকাপে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হতাশ হতে বারণ করেছিলেন। তবে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সাকিবের এমন বক্তব্য ভক্তদের আশা দেখালেও আজ মাঠে দেখা গিয়েছে ভিন্ন চিত্র। কুইন্টন ডি ককের বিধ্বংসী ১৭৪ রানের ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৩৮৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে টাইগারদের হয়ে একাই লড়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

শেষ পর্যন্ত সাইলেন্ট কিলারের শতকে লজ্জার হার এড়িয়ে ২৩৩ রানে থামে সাকিব বাহিনী

ফলে ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানের জয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে এইডেন মার্করামের দল। বিপিএল শুরুর তারিখ জানা গেল প্রোটিয়াদের দেয়া ৩৮৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। শুরুটা দেখেশুনে শুরু করেন এই দুই ওপেনার। ছয় ওভারে বিনা উইকেটে ৩০ রান তুলে লড়াইয়ের আভাস দেন দুই ওপেনার। তবে সেই গতি আর ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা সপ্তম ওভারে এসে জোড়া ধাক্কা খায় তারা।

metafore online

ইনিংসের সপ্তম ওভারে মার্কো ইয়ানসেন টানা দুই বলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তানজিদ তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৭ বলে ১২ রান করেন তামিম। অপরদিকে ক্রিজে নেমে শুরুতেই গোল্ডেন ডাক মেরে তামিমের পথে হাঁটেন শান্ত। এরপর উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক সাকিবও। ইনিংসের অষ্টম ওভারে লিজার্ড উইলিয়ামসের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৪ বলে ১ রান। ফলে ৩০ রানে বিনা উইকেট থেকে টাইগারদের স্কোরবোর্ড দাঁড়ায় ৩১ রানে ৩ উইকেট।

শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে চতুর্থ উইকেট জুটিতে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম কিছুটা আশা জাগালেও ব্যর্থ হন তারা

১২তম ওভারে ১৭ বলে ৮ রান করে ফিরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। অপরদিকে টাইগার ওপেনার লিটন দাস ক্রিজে থাকেন কেবলই লড়াইয়ের জন্য। তবে এই টাইগার ব্যাটারও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। ৪৪ বলে ২২ রান করে রাবাদার বলে ফেরার আগে তিনি খেলেন ৩৬টি ডট বল। নিয়মিত বিরতিতে উইকেটে হারিয়ে বিপাকে পড়তে থাকা টাইগার যখন বড় ব্যবধানে হারের লজ্জার রেকর্ডের শল্কায়। তখন টাইগার শিবিরে স্বস্তি হয়ে আসে রিয়াদের ব্যাটিং। তার ব্যাটে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ২৭৫ রানের রেকর্ড ব্যবধানের হার থেকে বাচে টাইগাররা।

একপ্রান্ত আগলে রেখে শেষ চেষ্টা করেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ৬৬ বলে চলতি আসরে নিজের প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি। তার ব্যাটে হারের ব্যবধান কমাতে লড়ে বাংলাদেশ। শেষ দিকে মুস্তাফিজুকে নিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক তুলেও নিয়ে থাকে রিয়াদ। তবে শতকে পর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকেননি তিনি। দলীয় ২২৭ রানে ১১১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ বলে হাতে রেখেই ২৩৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। প্রোটিয়াদের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন জেরাল্ড কোয়েৎজি।

সম্পর্কিত খবর:

 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version