প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ সুনামগঞ্জে প্রাইভেট
রাজশাহী পুঠিয়ার ঝলমলিয়া এলাকায় প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে শোভন ইসলাম (২২) নামে রাজশাহী কলেজের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
রোববার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শোভন রাজশাহী নগরীর ভদ্রা এলাকার বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের ছেলে। রাজশাহী কলেজের বিবিএ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। শোভনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরো তিনজন আহত হয়েছেন।
তারা হলেন রাশেদুল ইসলাম (২১), ইমরান হোসেন (২২) এবং বেলাল হোসেন (২২)। তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা শোভনের সহপাঠী বলে রাজশাহী মেডিক্যাল পুলিশ বক্সের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শোভনসহ তার কয়েকজন বন্ধু মিলে প্রাইভেট কারে রোববার বিকেলে রাজশাহী থেকে ফরিদপুরে যাচ্ছিলেন বেড়াতে। এ সময় পুঠিয়ার ঝলমলিয়ায় প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গর্তে পড়ে যায়।
এর ফলে শোভনসহ চারজন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। তবে পথেই মারা যান শোভন। পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গর্তে পড়ে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সুনামগঞ্জের ছাতকে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় চার যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের রায় সন্তোষপুর এলাকায় তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মাহতাবপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তোফায়েল মিয়া (২৭), টুকেরবাজার শেখপাড়া আবাসিক এলাকার ছুুরাব মিয়ার ছেলে তায়েব আহমদ (৩৫), ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারের মো. ফয়জুল হকের ছেলে তারেক আহমদ (২৭) ও একই গ্রামের শাহজাহান মিয়া (৩২)। এ ঘটনায় আহত প্রাইভেটকারের চালক মাছুম আহমদকে (২৮) সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি ছাতক উপজেলার দশঘর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহতদের লাশ সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। জানা যায়, ছাতকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে প্রাইভেটকারে চার যুবক সিলেটের টুকেরবাজারে যাচ্ছিলেন। পথে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের রায় সন্তোষপুরে প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চার জনের মৃত্যু হয়।
আহত প্রাইভেটকার চালককে গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চারজন নিহত হয়েছেন। রবিবার ভোরে সোনারগাঁয়ের বৈরাবরটেক এলাকায় এশিয়ান হাইওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মাউরাদি গ্রামের কাজেম আলীর ছেলে ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল্লাহ মোক্তার (৫০), আড়াইহাজারের বাঘানগর গ্রামের সিজানুর রহমানের ছেলে মো. মোমেন (৫৫), একই উপজেলার ফাউসা গ্রামের জহর আলীর ছেলে মো. রাজু ড্রাইভার (৪৫) ও বড় ফাউসা গ্রামের ইবু বাবুর্চির ছেলে মো. ঘটনাস্থলেই রিপন (৩৫)কে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরিফুর রহমান রবিনকে (৩০) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোনালগাঁও থানার পুলিশ সুপার মোরশেদ আলম জানান, ঘন কুয়াশার কারণে সোনালগাঁও ভৈরবারটেক এলাকায় একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো সি, 15-5483) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে পানির নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
জনতার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙ্গার পূর্বেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন: সিলেট বিএনপি