আপডেট: ১৭:০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৪ |  অনলাইন সংস্করণ  যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

শীর্ষ চার হুতি নেতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য চার শীর্ষ হুতি নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।  

বৃহস্পতিবার এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।   ইরান-সমর্থিত এ সশস্ত্র গোষ্ঠী সম্প্রতি লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।   মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।   বিবৃতিতে তিনি বলেন, লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ এবং তাদের বেসামরিক ক্রুদের ওপর হুতিদের হামলার কারণে আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া তারা নৌ চলাচলের অধিকার ও স্বাধীনতা লঙ্ঘন করেছে।   ইয়েমেনের হুতিরা নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে তাদের আক্রমণের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শিপিং মার্কেট এবং সরবরাহ ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। তারা জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা করছে, পাশাপাশি তারা বেশ কয়েকটি জাহাজ লুট করেছে।

metafore online

এতে মালামাল সরবরাহে খরচ বেড়েছে। প্রধান শিপিং সংস্থাগুলো দক্ষিণ লোহিত সাগর এড়িয়ে চলেছে। বিকল্প হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার আশপাশে আরও দীর্ঘ পথ দিয়ে ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক জাহাজগুলো চলাচল করছে।   বৃহস্পতিবার একটি টেলিভিশন ভাষণে হুতিদের নেতা আব্দুল মালিক আল-হুতি বলেন, গাজার নাগরিকদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ না আসা পর্যন্ত এবং ইসরায়েলি অপরাধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হামলা শেষ হবে না।   মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট যে চার হুতি নেতাকে নিষেধাজ্ঞার জন্য চিহ্নিত করেছে, তারা হলেন-মোহাম্মদ আল-আতিফি, মুহাম্মদ ফাদল আবদ আল-নবী, মোহাম্মদ আলী আল-কাদিরি ও মুহাম্মদ আহমেদ আল-তালিবি।   একই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও পৃথক বিবৃতি দিয়েছে।

এর আগেও ১১ হুতি নেতা ও হুতিদের দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দেশ দুটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে যা এখনও বলবৎ রযেছে।  

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এক বিবৃতিতে বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে হুতিদের বিরুদ্ধে তাদের শক্তিশালী অবস্থা স্পষ্ট করেছে।লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলায় জড়িত অভিযোগে ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠন হুতির শীর্ষস্থানীয় চার নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা পাওয়া এই হুতি যোদ্ধাদের যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে। তারা যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করতে পারবে না। অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখিও হতে হবে তাদের।  

একই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও পৃথক বিবৃতি দিয়েছে। এর আগেও ১১ হুতি নেতা ও হুতিদের দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দেশ দুটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে যা এখনও বলবৎ রযেছে।   নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উভয় দেশ জানিয়েছে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের সুরক্ষায় নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

খবর-রয়টার্স   যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের ওপর যেসব ‘অগ্রহণযোগ্য ও বেআইনি’ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে হুতিদের জন্য আমাদের সুস্পষ্ট বার্তা এবারের নিষেধাজ্ঞা।   লোহিত সাগর ভূমধ্যসাগর এবং ভারত মহাসাগরের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ, যা ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে সংক্ষিপ্ততম বাণিজ্য পথ। ইরানসমর্থিত হুতি যোদ্ধাদের একের পর এক জাহাজে হামলা যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।  

clipping path tech

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে সম্প্রতি যেসব হামলা চালিয়ে আসছে তার জবাবে হুতিদের লক্ষ্য করে সরাসরি এ হামলা চালালো দেশ দুটির সেনাবাহিনী। রাজধানী সানার হুদাইদাহে হুতি লোহিত সাগর বন্দর, ধামার ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হুতিদের শক্ত ঘাঁটিতে হামলার খবর পাওয়া গেছে।

হুতির পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে এজন্য চরম মূল্য দিতে হবে।  

হুতিদের ঠেকাতে লোহিত সাগর এলাকায় বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলো। ওই এলাকায় হুতিরা পশ্চিমা দেশগুলোর বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যে পরিণত করায় ব্যাপক লোকসানে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। নতুন এ টাস্কফোর্সের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন প্রোসপারিটি গার্ডিয়ান, যা জাহাজ সুরক্ষায় কাজ করা বৈশ্বিক সংস্থা কম্বাইন্ড মেরিটাইম ফোর্সেসের অধীনে কাজ করবে।  

বর্তমানে ইসরায়েল সফররত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন এ নিরাপত্তা প্রচেষ্টার অংশীদার হয়েছে যুক্তরাজ্য, বাহরাইন, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সিসিলি ও স্পেন। অপারেশন প্রোসপারিটি গার্ডিয়ান মূলত লোহিত সাগর, ইয়েমেন উপকূলের বাব আল-মানদেব প্রাণালি ও অ্যাডেন উপসাগর এলাকার নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবে। গাজায় হামলার প্রতিবাদে এসব এলাকায় ইসরায়েলের জাহাজগুলোকে টার্গেট করছে হুতি।

সম্পর্কিত খবর:

ধর্ষণ মামলায় হারলেন ট্রাম্প, ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version