আপডেট: ২৯, ২০২৩, ০৭:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ  প্রতি টন ৮০০ ডলার

পেঁয়াজ রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা ভারতের, প্রতি টন ৮০০ ডলার

আভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছে ভারত। শনিবার (২৯ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তর (ডিজিএফটি) জানিয়েছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৯ অক্টোবর থেকে সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য কার্যকর করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। রপ্তানির জন্য প্রক্রিয়াধীন থাকা পেঁয়াজ এবং ইতিমধ্যে দেশটির কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা পেঁয়াজ নতুন এই মূল্যসীমার আওতা মুক্ত থাকবে।

Buy Database Online – classy database

বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অতিরিক্ত আরও দুই লাখ টন পেঁয়াজ কেনার ঘোষণা দিয়েছে।

এর আগে আরও পাঁচ লাখ টন পেঁয়াজ কিনেছে ভারতের সরকার। জানাগেছে গত এক সপ্তাহে দেশটির বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। গত সপ্তাহে দিল্লির পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের বাজারে ভাল মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দাম ৫০ রুপি ছুঁয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম গুলো জানিয়েছে শনিবার দিল্লিতে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৮০ রুপিতে বিক্রি হয়েছে। দুই মাস পর বাজারে শীতকালীন ফসল বাজারে আসার আগে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছে ভারত দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছে ভারত। শনিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। নতুন এই মূল্যসীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তর (ডিজিএফটি)। ডিজিএফটি বলেছে, প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে; যা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

clipping path tech

পেঁয়াজের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন এই রপ্তানি মূল্য রোববার (২৯ অক্টোবর) থেকেই কার্যকর করা হবে বলে ডিজিএফটির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

তবে রপ্তানির জন্য প্রক্রিয়াধীন এবং ইতিমধ্যে দেশটির কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা পেঁয়াজ নতুন এই মূল্যসীমা থেকে ছাড় পাবে।  ডিজিএফটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই প্রজ্ঞাপন জারি করার আগে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা পেঁয়াজের চালান এবং কাস্টমস স্টেশনে পৌঁছানো পেঁয়াজ নতুন মূল্যসীমা থেকে অব্যাহতি পাবে। মহারাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক লাসালগাঁও এপিএমসিতে পেঁয়াজের গড় পাইকারি দাম গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আর গত এক সপ্তাহেই দেশটির বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। গত বুধবার দেশটির রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের কিছু বাজারে সেরা মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দাম ৫০ রুপি ছুঁয়েছে। তবে দেশটিতে পেঁয়াজের দাম আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় দুই মাস বিলম্বের পর বাজারে শীতকালীন এই ফসল আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। শনিবার দিল্লিতে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৮০ রুপিতে বিক্রি হয়েছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ভারতজুড়ে ৪০০ খুচরা দোকান রয়েছে দেশটির মাদার ডায়েরি নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের।

metafore online

ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে মূল্যসীমা বেঁধে দেয়ার খবরে দেশে পেঁয়াজের বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

যদিও দেশের বাজারে এই বর্ধিত মূল্যের পেঁয়াজ আসেনি। পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম মণপ্রতি বেড়েছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এর ব্যাখ্যা হিসেবে ব্যবসায়ীরা ভারতে পণ্যটির দাম বৃদ্ধি এবং দেশে সরবরাহ কমে যাওয়াকে যুক্তি হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অসাধু সিন্ডিকেটই পেঁয়াজের হঠাৎ দাম বৃদ্ধির কারসাজিতে জড়িত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিবার দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ে নতুন আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া রোববার পুরোনো ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। বাজারে চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আছে, তবে সরবরাহ নেই বললেই চলে।

এগুলোর দামও ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। শনিবার এসব পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ টাকা। জানা গেছে, সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছে ভারত। শনিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। নতুন এই মূল্যসীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তর (ডিজিএফটি)।

পেঁয়াজের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন এই রপ্তানি মূল্য রবিবার থেকেই কার্যকর করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে রপ্তানির জন্য প্রক্রিয়াধীন এবং ইতোমধ্যে দেশটির কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা পেঁয়াজ নতুন এই মূল্যসীমা থেকে ছাড় পাবে। জানতে চাইলে চাক্তাইয়ের আফরা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আলাউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগে ভারত সর্বনিম্ন ৪০০ ডলারে পেঁয়াজ রপ্তানি করত। এখন হঠাৎ ৮০০ ডলার করে দিয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে বাজারে।

শনিবার পেঁয়াজের দাম ছিল থেকে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। রোববার বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভারতের বর্ধিত মূল্যের পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি। এখন তো বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি আছে। কোনো অজুহাত পেলেই তারা দাম বৃদ্ধি করে দেবে, এটাই স্বাভাবিক।

 

সূত্র: রয়টার্স, ইকোনমিক টাইমস।

সম্পর্কিত খবর

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস

শেষ হলো ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’র শুটিং

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version