আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১৫ এএম |  অনলাইন সংস্করণ  ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২ হাজার

মরক্কোয় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়াল

মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে গত শুক্রবার রাতে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০১২ জনে দাঁড়িয়েছে। সেইসঙ্গে আহত হয়েছে ২০৫৯ জন। মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আজ রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, মারাক্কেশ শহর ছাড়াও দক্ষিণের কিছু শহরে বেশি মানুষ মারা গেছে। সেইসঙ্গে দেশটির কর্তৃপক্ষ তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এখনো অনেকে চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর আফটারশক হতে পারে-এমন আতঙ্কে দেশটির নারী, পুরুষ ও শিশুরা রাস্তায় অবস্থান করছেন। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে।

metafore online

স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে। ভূমিকম্পটির ১৯ মিনিট পর আবারও ৪ দশমিক ৯ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও রাস্তায় ধ্বংসস্তূপের ভিডিও দেখা যাচ্ছে, তবে এগুলোর সত্যতা সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিশেষ করে ভবন পড়ে যাচ্ছে এমন কিছু ভিডিও দেখা গেলেও বিবিসি এগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি

তবে লোকজনকে সতর্ক সংকেত শুনে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে দেখা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একজন বাসিন্দা বলেছেন, মারাক্কেশ শহরের পুরনো অংশে কিছু ভবন ধসে পড়েছে। আফ্রিকার দেশ মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে গত ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটি। ভূমিকম্পের পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়াও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে অনেকে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে মারাকেশসহ মরক্কোর বিস্তীর্ণ জনপদ এক রকম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।  রোববার কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ৬ দশমিক ৮ মাত্রায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এরপর আরও বেশ কয়েকবার মৃদু কম্পন (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। অনেক ভবনের দেয়াল ফেটে গেছে। বহু মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানার ১৯ মিনিট পর আবারও ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূ-কম্পন অনুভূত হয়

clipping path tech

দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি সমতল হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া রাজধানী রাবাতের পাশাপাশি কাসাব্লাঙ্কা, আগাদির এবং এসসাউইরাতেও কম্পন অনুভূত হয়। মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, পাহাড়ের গ্রামগুলোতে সাধারণ মাটির ইট, পাথর এবং কাঠের তৈরি বাড়িগুলো ভেঙে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধ্বংসের মাত্রা মূল্যায়ন করতে কিছুটা সময় লাগবে।  ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, তাদের খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের জায়গায় খাবার ও পানি পৌঁছানো কঠিন, পাহাড়ি রাস্তাগুলোতে পাথর এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকায় জরুরি পরিষেবার দলগুলোকে সেখানে পৌঁছতে পারছে না। 

এদিকে, ভূমিকম্পের পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। শেষ খবর অনুযায়ী উদ্ধার অভিযান চলছিল। মরক্কোর সহায়তায় এগিয়ে আসার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল আল-হাউস দেশটির অন্যতম প্রধান পর্যটন এলাকা মারাকেশ থেকে ৭২ কিলোমিটার (৪৫ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

সম্পর্কিত খবর

ট্রাম্প আপিল আদালতকে ফেডারেল নির্বাচনের বিদ্রোহের মামলায় গ্যাগ অর্ডার থামাতে বলেছেন

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version