আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ২৩:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ  ইসরায়েলকে বয়কটে

ইসরায়েলকে বয়কটে মুসলিম বিশ্বের প্রতি ইরানের আহ্বান

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসরায়েলে তেল ও খাদ্য রপ্তানি স্থগিত রাখতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে বয়কট করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।  খামেনি বলেছেন, ‘‘গাজায় বোমা হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে ইহুদিবাদী ইসরায়েলে তেল ও খাদ্য রপ্তানির পথ বন্ধ করতে হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ এই নেতা বলেছেন, ‘‘গাজায় চলমান মানিবক বিপর্যয়ের জন্য কেবল পশ্চিমারা দায়ী। বিশ্ব জনমতের কাছে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে পশ্চিমারা। গাজার জনগণ তাদের ধৈর্যের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে মানুষের বিবেককে সংগঠিত করেছে। চোখ খুলে দেখুন, বিশ্বে কী ঘটছে?’ আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রে অসংখ্য মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। তারা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। ইসরায়েলি হামলার পক্ষে কোনও ধরনের সাফাই তারা গাইতে পারবে না।

Buy Database Online – classy database

‘‘ইসলামিক বিশ্বের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, কেবল ইহুদিবাদী ইসরায়েলই নয়; বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যও গাজার নিপীড়িত জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে উপত্যকায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান এই হামরায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৫২৫ জনে পৌঁছেছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী। চলমান এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৪২ শিশু ও ২ হাজার ১৮৭ নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২১ হাজার ৫৪৩ ফিলিস্তিনি।

আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলিদের প্রাণহানির সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ৩২৬ সৈন্য রয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসরাইলে তেল ও খাদ্য রফতানি স্থগিত রাখতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। একই সাথে ইসরাইলকে বয়কট করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

clipping path tech

বুধবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খামেনি বলেছেন, ‘গাজায় বোমা হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে… ইসরাইলে তেল ও খাদ্য রফতানির পথ বন্ধ করতে হবে।

 ইরানের সর্বোচ্চ এই নেতা বলেছেন, ‘গাজায় চলমান মানিবক বিপর্যয়ের জন্য কেবল পশ্চিমারা দায়ী। বিশ্ব জনমতের কাছে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে পশ্চিমারা। গাজার জনগণ তাদের ধৈর্যের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে মানুষের বিবেককে সংগঠিত করেছে। চোখ খুলে দেখুন, বিশ্বে কী ঘটছে?’

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রে অসংখ্য মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন এবং ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সেøাগান দিচ্ছেন। তারা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। ইসরাইলি হামলার পক্ষে কোনো ধরনের সাফাই তারা গাইতে পারবে না। ‘ইসলামিক বিশ্বের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, কেবল ইহুদিবাদী ইসরাইলই নয়; বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনও গাজার নিপীড়িত জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।

গাজা উপত্যকায় বোমা হামলার মধ্যে ইসরায়েলকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করতে মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের কাছে তেল ও খাদ্যপণ্য রফতানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার এক বক্তৃতায় খামেনি বলেছেন, ‘গাজায় বোমা হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইহুদিবাদী শাসকদের কাছে তেল ও খাদ্য রফতানির পথ বন্ধ করা উচিত।

ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে খামেনি বলেন, ‘ধৈর্যধারণের মাধ্যমে গাজার জনগণ বিশ্ববাসীর বিবেককে জাগ্রত করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়াতে কী ঘটছে দেখুন। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইতালিসহ খোদ যুক্তরাষ্ট্রের বহু মানুষ রাস্তায় নেমে স্লোগান দিচ্ছে। এসব দেশের নেতারা জনতার কাছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে সমর্থন করতে পারে না তারা।

মুসলিম বিশ্বকে উদ্দেশ করে খামেনি বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, শুধু ইহুদিই নয়, গাজার নিপীড়িত সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যও দাঁড়িয়েছে। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা দক্ষিণ ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতিতে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, ‘ইসরায়েলের দ্বারা সংঘটিত এই সব অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গোষ্ঠী ও আন্দোলনকারীরা নীরব থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।

metafore online
কারও পরামর্শের জন্যও অপেক্ষা করবে না তারা। তাই যুদ্ধ বন্ধে আমাদের অবশিষ্ট রাজনৈতিক সুযোগগুলো ব্যবহার করতে হবে। পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে’ বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলার পর গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ৪০৫ জন নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক জিম্মিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছে। এই হামালার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নজিরবিহীন বোমা হামলা এবং উপত্যকাটিতে অবরোধ আরোপ করেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় আট হাজার ৮০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় ধ্বংসস্তুপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা।

ফলে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এ আগ্রাসন বন্ধ না হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে তেহরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো পদক্ষেপ নিতে পিছ পা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের ধর্মীয় শাসকরা।

সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স, তাসনিম নিউজ এজেন্সি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version