মৃতপ্রায় এক ব্যক্তির জীবন রক্ষা করতে তার দেহে শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন চিকিৎসকরা। পরীক্ষামূলকভাবে বিশ্বের দ্বিতীয় মানবের দেহে এই হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করে সাফল্যের মুখ দেখলেন তারা। 

মেরিল্যান্ডের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের দুই দিন পর সেই ব্যক্তি একটি চেয়ারে বসে কথা বলতে সক্ষম হয়েছেন। 

বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, মেরিল্যান্ড মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের মতে, ৫৮ বছর বয়সী নৌবাহিনীর প্রবীণ সদস্য লরেন্স ফসেট হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে প্রায় নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে পৌঁছে যান। তবে অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে তিনি একটি সাধারণ হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে যেতে সক্ষম হননি।

মেরিল্যান্ডের ফ্রেডেরিকের বাসিন্দা ফসেট জানান, এই অবস্থা থেকে আমি যে ফিরে আসব; সত্যিই তা আশা করিনি। এবার থেকে প্রতিটি শ্বাসের জন্য আমি লড়াই করব।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তারা ফসেটের দেহে শূকরের হৃদপিণ্ডের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দেখে রোমাঞ্চিত হয়েছেন। 

ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারির প্রধান চিকিৎসক বার্টলি গ্রিফিথ বলেছেন, ‘আমি শুধু ভাবছি, আমি এমন একজনের সঙ্গে কথা বলছি যার হৃদপিণ্ডটি শূকরের? তবে অপারেশনটি বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল।’

এর আগে গত বছর প্রথমবারের মতো মেরিল্যান্ড চিকিৎসকদের এই দলটি একজন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর দেহে জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত শূকরের হার্ট প্রতিস্থাপন করেছিলেন। ডেভিড বেনেট নামের ওই ব্যক্তি মাত্র দুই মাস বেঁচে ছিলেন। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর ফসেটের নতুন হৃদপিণ্ডটি কোনো সহায়ক যন্ত্রপাতি ছাড়াই ভালভাবে কাজ করছে। 

চিকিৎসক দলটির জেনোট্রান্সপ্লান্টেশন বিশেষজ্ঞ ডক্টর মুহাম্মদ মহিউদ্দিন বলছেন, একজন মানুষের মধ্যে শূকরের হৃদপিণ্ড কাজ করতে দেখে আশ্চর্যজনক অনুভূতি হচ্ছে। তবে এখনই কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করতে চাই না আমরা। প্রতিটি দিন একটি বিজয় হিসেবে দেখতে চাই।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version