আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:৪৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার টাকা
শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার টাকার ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ৫ দলীয় বাম জোট। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। সমাবেশে বক্তব্য দেন, ৫ দলীয় জোটের শরীক দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান, বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্কসবাদী) সভাপতি কমরেড আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (মাওবাদী) সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিধান দাস, বাংলাদেশের সমতা পার্টির সভাপতি কমরেড সামছুল হক সরকার, জোট নেতা কমরেড রমজান আলী, কমরেড আলাউদ্দিন, কমরেড তারেক ইসলাম বিডি প্রমুখ।
নেতারা বলেন, দেশে সব প্রকার নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। শ্রমিকরা যে বেতন পায় তা দিয়ে তারা এখন অর্ধাহারে, অনাহারে অতিকষ্টে জীবনযাপন করছে। বাধ্য হয়েই পোশাক শ্রমিকরা তাদের বেতন বৃদ্ধি করে ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। তাদের ন্যায্য দাবি না মেনে সরকার ও মালিকপক্ষ পুলিশ ও পেটোয়া বাহিনী দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলা-গুলি চালিয়ে রাসেল হাওলাদার ও ইমরান নামের ২ জন শ্রমিককে হত্যা করেছে। অসংখ্য শ্রমিককে আহত করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার, নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা দাবি করছি এবং শ্রমিকদের ওপর গ্রেপ্তার দমন-পীড়ন বন্ধ করে তাদের ন্যায্য দাবি ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা দাবি জানাচ্ছি।
তারা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধীদলের সব নেতাকর্মীদের মুক্তি ও দমন-পীড়ন মামলা-হামলা বন্ধের দাবি জানান। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকদের দুরবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়ে ট্যানারি শিল্প সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ট্যানারি শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের টিকে থাকার জন্য বর্তমান অবস্থায় ন্যূনতম মজুরির বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের ঐতিহ্যবাহী এবং অত্যন্ত সম্ভাবনাময় চামড়াশিল্পের সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স ও পরিবেশগত সংকট কাটছে না
তা ছাড়া পুরনো ও দক্ষ লোকজনকে চাকরিচ্যুত করে মধ্যস্বত্বভোগী বেআইনি কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে নিয়োগ করা শ্রমিক দিয়ে কাজ করালে চামড়ার গুণগত মান ঠিক থাকে না।’ তিনি বলেন, ‘সব শেষে এই সেক্টরে ২০১৮ সালে সরকার ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। তখন সর্বনিম্ন পঞ্চম গ্রেডে মোট মজুরি ১৩ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে।
গেজেটের শর্ত অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের তারিখ থেকে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে মূল মজুরি বৃদ্ধির কথা ছিল। কিন্তু পাঁচ বছর হয়ে গেলেও ট্যানারি মালিকরা ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন করেনি।’ তিনি আরো বলেন, ‘চামড়াশিল্প একটি ঝুঁকিপূর্ণ শিল্প হওয়া সত্ত্বেও শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, শোভন কাজ ও কর্মপরিবেশের ব্যাপারে মালিকরা উদাসীন।
দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও আজ পর্যন্ত শ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল বা একটি চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়নি। শ্রমিক ছাঁটাই, হয়রানি ও নির্যাতন তো আছেই। 1 দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকরা অনেক কষ্টে আছে। সে কারণে তাঁদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করা হোক।’ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এসব দাবি হলো ট্যানারি শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করে অবিলম্বে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড পুনর্গঠন করা। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকদের দুরবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়ে ট্যানারি শিল্প সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ ও ঘোষণা করা।