আপডেট: ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০৯ |  অনলাইন সংস্করণ    উস্তাদ রশিদ খানের কণ্ঠ

উস্তাদ রশিদ খানের কণ্ঠ থেমে গেল ৫৫ বছরেই

উস্তাদ রশিদ খানের কণ্ঠ

উপমহাদেশের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খান অসুস্থ হয়ে ২২ নভেম্বর দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন।

সেখানেই মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টায় মারা যান তিনি।  পরিবারের সদস্য, ঘনিষ্ঠজন আর লাখো ভক্ত-অনুরাগীর প্রার্থনা সত্ত্বেও থামানো গেল না উপমহাদেশের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খানকে। মাত্র ৫৫ বছর বয়সেই থেমে গেল ধ্রুপদী সংগীতে ভারতের অন্যতম সেরা এ শিল্পীর কণ্ঠস্বর।   অসুস্থ হয়ে গত ২২ নভেম্বর দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন উস্তাদ রশিদ খান। সেখানেই মঙ্গলবার বিকেল পৌনে চারটায় প্রয়াত হন তিনি।   মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্রকে রেখে গিয়েছেন এ শিল্পী।

clipping path tech

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। কয়েক বছর ধরে তিনি প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন। এর মধ্যে সম্প্রতি তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) হয়। সেখান থেকেই অবস্থার অবনতি শুরু। এক পর্যায়ে বুধবার তিনটা ৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে নিশ্চিত করেন তার চিকিৎসক।   মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তার মরদেহ হাসপাতালেই রাখা থাকবে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার অনলাইন। সেখান থেকে পরে পিসওয়ার্ল্ডে স্থানান্তরিত করা হবে। সারারাত সেখানে থাকার পর ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ দিতে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় রবীন্দ্র সদনে নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। তারপর তার বাড়িতে পৌঁছাবে শিল্পীর মরদেহ।

সেখান থেকে টালিগঞ্জ কবরস্থানে নিয়ে সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি।  

রাশিদ খানের মৃত্যুর খবরে ভারতের সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমেছে। শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের অগণিত সংগীতপিপাসুর মধ্যেও তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। শাস্ত্রীয় সংগীতের সূত্রে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেনও বিখ্যাত এ গায়ক।   রশিদের জন্ম ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই ভারতের উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে। তিনি রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী। এই ঘরানার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনায়েত হুসেন খাঁ-সাহিব। রশিদ তালিম নিয়েছেন এই ঘরানারই আরেক দিকপাল উস্তাদ নিসার হুসেন খাঁ-সাহিবের কাছ থেকে। সম্পর্কে তিনি ছিলেন রশিদের দাদু। মামা গোয়ালিয়র ঘরানার উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁ-সাহিবের থেকেও তালিম নিয়েছেন রশিদ।  

মূলত শাস্ত্রীয় সংগীত গাইলেও ফিউশন বা বলিউড ও টলিউডের ছবিতে বহু জনপ্রিয় গানও গেয়েছেন শিল্পী; পেয়েছেন সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার। পদ্মশ্রী সম্মান যেমন পেয়েছেন, তেমন বাংলা থেকেও ভূষিত হয়েছেন বঙ্গবিভূষণ সম্মানে।শেষ রক্ষা হল না। অনুরাগী, ভক্ত, পরিবারের সদস্য, ঘনিষ্ঠদের প্রার্থনা সত্ত্বেও আর ফিরলেন না রাশিদ খান। মাত্র ৫৫ বছরেই থেমে গেল ধ্রুপদী সঙ্গীতে দেশের অন্যতম সেরা শিল্পীর কণ্ঠস্বর। প্রয়াত রাশিদ খান। মঙ্গলবার দুপুর ৩টে ৪৫ মিনিটে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।  

বেশ কয়েক দিন ধরেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো নয় বলে খবর আসছিল। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শিল্পী। পরিবারের মানুষরা নিত্য সেখানে উপস্থিত থাকছিলেন। তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন, সে সম্পর্কে বাইরে খুব একটা খবর আসছিল না। কিন্তু অনুরাগীরা আন্দাজ করতে পারছিলেন, মোটেই ভালো নেই রাশিদ খান।

তবুও চলছিল নিরন্তর প্রার্থনা আর আশা নিয়ে অপেক্ষা। কিন্তু তার পরেও ফিরে এলেন না দেশের অন্যতম সেরা কণ্ঠশিল্পী।

  শিল্পীর প্রয়ানের খবর পেয়েই মূহ্যমান দেশের সঙ্গীতমহল। জয়নগর থেকে ফিরেই হাসপাতালে ছুটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।   ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী উস্তাদ রাশিদ খান। গত কয়েক বছর ধরে তিনি প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল।

metafore online

মাঝে শোনা যায়, শিল্পী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছিলেন বলেই শোনা গিয়েছিল সেই সময়ে। কিন্তু তার পরেও বিপদ পুরোপুরি কাটেনি।   কয়েক দিন আগে তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। অবস্থার অবনতি হতে শুরু। শিল্পীকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল বা পরিবারের সূত্রে কিছু জানানো হয়নি। তবে ঘনিষ্ঠ মহলের অনেকেরই ধারণা ছিল, তাঁর মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের সঙ্গে ক্যানসারের যোগ ছিল। আর সেই কারণেই বিষয়টি ভয়ঙ্কর আকার নেয়।   ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে জন্ম তাঁর।

তিনি রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী। এই ঘরানার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনায়েত হুসেন খাঁ। রাশিদ তালিম নেন উস্তাদ নিসার হুসেন খাঁয়ের কাছে। রাশিদের মামা গোয়ালিয়র ঘরানার উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁ। তাঁর থেকেও তালিম নিয়েছেন রাশিদ। মূলত ধ্রুপদী সঙ্গীত গাইলেও বলিউড এবং টলিউডের ছবিতে বহু জনপ্রিয় গানও গেয়েছেন শিল্পী।

সেগুলিও তাঁকে কম জনপ্রিয়তা দেয়নি।   উত্তর প্রদেশে জন্ম হলেও খুব কম বয়সেই কলকাতা চলে আসেন তিনি। থেকে যানএই শঙরেই। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, পদ্মশ্রী সম্মান যেমন পেয়েছেন, তেমন বাংলা থেকেও পেয়েছেন বঙ্গবিভূষণ সম্মান পেয়েছেন রাশিদ। শিল্পীর প্রয়ানে তাই শোকের ছায়া সব ধরনের সঙ্গীতপ্রেমীদের মধ্যেই। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রকে।

সম্পর্কিত খবর:

ক্যাটরিনার সংসারে অশান্তি, ‘কথা বন্ধ প্রায়ই’

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version