আপডেট: ০০১০ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২০ |  অনলাইন সংস্করণ    এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যু

রামেক হিমঘরে এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ

বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে তার নিজ শহর রাজশাহী থমকে গেছে। নেমেছে শোকের ছায়া। এই করোনা পরিস্থিতিতেও তাকে দেখতে নগরীর মহিষবাথান এলাকায় ভক্তদের ভিড়। সেখানেই তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাস ও ভগ্নীপতি ডা. প্যাট্রিক বিপুলের বাসা-ক্লিনিক।

metafore online

৬ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ মহিষবাথান থেকে নগরীর লক্ষ্মীপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হিমঘরে নেওয়া হয়। তখনও লাশবাহী গাড়ির পেছনে ছিল ভক্ত ও আত্মীয়-স্বজনের মাতম। এদিকে রাজশাহীর এই কৃতিসন্তানের মৃত্যুতে নগরীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

শোক বার্তায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘রাজশাহীর উজ্জ্বল নক্ষত্র ও গর্ব প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। তার মৃত্যুতে দেশের মানুষ একজন কিংবদন্তি, বরেণ্য ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীকে হারালো। তার মৃত্যুতে দেশের সংগীত জগতের যে ক্ষতি হলো, তা অপূরণীয়। প্লেব্যাক সম্রাটখ্যাত দেশবরেণ্য শিল্পী এন্ড্রু কিশোর তার গানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

clipping path tech

এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো বলে উল্লেখ করেছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘এন্ড্রু কিশোর রাজশাহীর একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন।

তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সম্পদ। তার চলে যাওয়া সংগীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত করল। তার শূন্যতা কখনও পূরণ হওয়ার নয়।ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এই রাজনীতিক বলেন, ‘আমার ও তার বাড়ি পাশাপাশি ছিল। তিনি যখন রেওয়াজ করতেন, তন্ময় হয়ে তা শুনতাম। এখন থেকে সে রাজশাহীতেও আসবে না। তার রেওয়াজও শুনতে পাবো না।’ রাজশাহী শহরের এই হাসপাতালেই জীবনের শেষ ক’টা দিন কাটালেন এন্ড্রু কিশোরসম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রাজশাহীর সভাপতি ভাষা সৈনিক

আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার, রাজশাহী থিয়েটারের সভাপতি নিতাই কুমার সরকার, মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার রাজশাহী আবদুল লতিফ চঞ্চল, ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা. এফএমএ জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন মাসুদসহ অনেকেই শোক জানিয়েছেন।

Buy Database Online – classy database

এদিকে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিল্পীর এক ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক ও এক মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞা থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। তারা দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। টিকিট মিললেই চলে আসবেন দেশে।

তারা ফিরলেই এন্ড্রুর শেষকৃত্য হবে। শিল্পীকে সমাধিস্থ করা হবে নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায়। টানা ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে সোমবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটে রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এন্ড্রু কিশোর। প্রায় ১৫ হাজার গানে কণ্ঠ দেওয়া এই শিল্পী ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

সম্পর্কিত খবর:

মহাযানমের সাথে সবকিছু হারানোর পরে, সিটি রাজন এবং পরিবার মামুটির কান্নুর স্কোয়াড উপস্থাপন করে: রনি ডেভিড রাজ একটি পারিবারিক বিজয়ের গল্প বর্ণনা করেছেন
Share.
Leave A Reply

Exit mobile version