আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬: ০০   |  অনলাইন সংস্করণ  গানের জন্য চাকরি ছেড়েছি
গানের জন্য চাকরি ছেড়েছি

  গানের জন্য চাকরি ছেড়েছি

‘যন্ত্রণা’ ও ‘কমলা রকেট’ সিনেমার গান ‘মোমবাতি’—মাত্র দুটি গান প্রকাশিত হয়েছে আপনার।

মাঝে চার বছর আপনার কোনো গান আসেনি কেন?  এর মধ্যে আমি কানাডায় পড়তে গিয়েছিলাম। পড়াশোনা শেষ করে ২০২২ সালে দেশে ফিরেছি। আমার লেখা ও সুর করা ৪০টির মতো গান রয়েছে। এ বছর পাঁচটি গান প্রকাশ করব। তিনটি গান আমি গাইব, বাকি দুই গান গাইব আমি ও জেফার রহমান। তিন গানের রেকর্ডিংও শেষ হয়েছে, মিউজিক ভিডিওর কাজ শেষ করেই প্রকাশ করব।এই দুই গানের বাইরে ‘জ্বলন্ত আগুন’, ‘প্রজাপতি’, ‘মূর্তি’সহ আপনার বেশ কয়েকটি গান স্পটিফাইয়ে পাওয়া যায়।  এই গানগুলো আসলে রেকর্ড করা হয়নি। গানগুলো বন্ধুদের ফোনে ফোনে আছে। কোনো গান করলে বন্ধুদের পাঠাই। আবার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় নিয়মিত গান করেছি।

metafore online

সেখান থেকেই গানগুলো প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো ২০২৫ সালে রেকর্ড করে প্রকাশ করব। কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর কী করছেন?  কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর একটা চাকরি করছিলাম। বেতনও ভালো ছিল। মিউজিক করার জন্য চাকরিটা ছেড়েছি। আমি চাকরি করতে চাই না, গানটাই করতে চাই। এখন উত্তরায় থাকি।কার গান আপনাকে অনুপ্রাণিত করে?  আর্টসেলের গান আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে।

রাহাত ফতেহ আলী খান, নুসরাত ফতেহ আলী খান, শচীন দেববর্মন, অর্ণব, জন কবিরের গান শুনে বেড়ে উঠেছি।

ইনস্টাগ্রামের বাইরে ইউটিউব, ফেসবুকে আপনি খুব একটা সক্রিয় নন, কেন?  ফেসবুকে আমার অ্যাকাউন্টটা হ্যাকড হওয়ার পর আর আগের মতো ফেসবুক ব্যবহার করি না। ইনস্টাগ্রামে সক্রিয় থাকি। মাস তিনেকের মধ্যে আমার নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলব। এই চ্যানেলেই গান প্রকাশ করব। অনেকে বলেন, আমি শুধু স্যাড সং গাই। সামনে সব ধরনের গানই গাইব। নিজের গানের পাশাপাশি আমার সুরে অন্যের গাওয়া গানও এখানে প্রকাশ করব।

আপনার জন্ম, বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা কোথায়?  আমার জন্ম সুইজারল্যান্ডের জুরিখে। আমার বাবা (শরীফ সান্টু), মা (শরীফ মনিকা) ও বড় ভাই (শরীফ মিরন) জুরিখে থাকতেন। ছয় বছর পর্যন্ত সেখানেই ছিলাম। পরে মা–বাবার কাছে শুনেছি, নির্ধারিত সময়ের আগেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আমার জন্ম হয়েছিল। জন্মের পর আমাকে ইনকিউবিটরে রাখতে হয়েছিল। চিকিৎসকেরা নাকি কিছুতেই কান্না থামাতে পারছিলেন না, ঘটনাক্রমে গান শোনালে নাকি আমি কান্না থামাতাম। আমার কান্নার সঙ্গে গানের একটা সখ্য হয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে বাড়ি আসার পরও কান্না থামাতে না পারলে মা–বাবা গান শোনাতেন। আমি চুপ করে শুনতাম।

clipping path tech

ছয় বছর বয়সে ঢাকায় আসি। কান্নাকাটি থামাতে না পারলে আমাকে গান শোনানো হতো, আমিও গান শুনে কান্না থামাতাম। শৈশবেই বাবা গানের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। ঢাকার একটি বেসরকারি স্কুল ও কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করি। পরে ঢাকার দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও দু-তিন দিনের বেশি ক্লাস করিনি। ২০১৯ সালে কানাডায় পড়তে যাই। ভিএফএক্স নিয়ে পড়াশোনা করেছি, পড়াশোনা শেষ করে চাকরির প্রস্তাবও পেয়েছিলাম। তবে থাকিনি, দেশে চলে আসি। আপনার স্বপ্ন কী?  বাংলা গান করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেতে চাই। বাংলা গান করে বিলবোর্ডের তালিকায় আসতে চাই।

সম্পর্কিত খবর:

ভারতের ভিসা না পাওয়া বশিরের পাশে রোহিত-স্টোকস

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version