আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৪১ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ  কে এস ফি‌রোজ আর নেই

অভিনেতা কে এস ফিরোজ আর নেই

কে এস ফিরোজ আর নেই

পর্দার পরিচিত মুখ অভিনেতা কে এস ফিরোজ মারা গেছেন। আজ বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা গেছেন।। মৃত্যুকালে এই অভিনেতা স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। অভিনেতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘গতকাল তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকরা নিউমোনিয়া হওয়ার কথা বলেছিলেন। এরপর ইনজেকশন দিলে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থান তিনি মারা যান। আমার অনেক নাটকেই এই গুণী শিল্পী অভিনয় করেছেন। সকাল বেলাই এমন দুঃসংবাদ মেনে নিতে পারছি না।’বাংলা নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও ফিরোজের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। তবে তার শুরুটা হয়েছিল মঞ্চনাটক দিয়ে। নাট্যদল ‘থিয়েটার’-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয় শুরু করেন তিনি।

Buy Database Online – classy database

কাজ করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, কিংলিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ মঞ্চনাটকে। কে এস ফিরোজ টেলিভিশনে প্রথম অভিনয় করেন ‘দীপ তবুও জ্বলে’ নাটকে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন ডলি ইব্রাহীম। বরিশালে জন্ম নেওয়া এই অভিনেতা ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পদে চাকরি পান। ১৯৭৭ সালে মেজর পদে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। কে এস ফিরোজের প্রথম সিনেমা ‘লাওয়ারিশ’। আরও অভিনয় করেছেন ‘শঙ্খনাদ’, ‘ বাঁশি’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’তে।

নাট্যদল ‘থিয়েটার’–এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয়ে কে এস ফিরোজের পথচলা শুরু। এই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, ‘কিং লিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ নাটকে। আজ বুধবার ভোর ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।অভিনেতা কে এস ফিরোজ আর নেই। আজ বুধবার ভোর ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এ অভিনেতার মৃত্যুর খবর প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর বড় মেয়ে নাদিয়া ফিরোজ।

clipping path tech

কে এস ফিরোজ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। নিউমোনিয়ায় তাঁর ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছিল।

নাদিয়া ফিরোজ জানান, আজ জোহরের নামাজের পর বনানী কবরস্থানে কে এস ফিরোজকে দাফন করা হবে। কে এস ফিরোজ ১৯৬৭ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। মেজর হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭৭ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। তাঁর পুরো নাম খন্দকার শহীদ উদ্দিন ফিরোজ। তিনি ১৯৪৬ সালের ৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। বরিশালের উজিরপুরের মশাং গ্রামে তাঁদের আদি নিবাস হলেও ফিরোজের জন্ম ঢাকার লালবাগে। তাঁর বাবার নাম এ জে এম সাইদুর রহমান। তবে এলাকার মানুষ তাঁর বাবাকে উজির মিয়া নামেই চিনতেন। কে এস ফিরোজের মা রাবেয়া খাতুন। ফিরোজ ১৯৭৪ সালের ১ নভেম্বর বিয়ে করেন। তিনি স্ত্রী মাধবী ফিরোজ এবং তিন মেয়ে রেখে গেছেন।

metafore online

নাট্যদল ‘থিয়েটার’–এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয়ে কে এস ফিরোজের পথচলা শুরু। এই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, ‘কিং লিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ নাটকে। সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের নাট্যরূপে কামাল উদ্দিন নীলুর নির্দেশনায় ‘কিং লিয়ার’ নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন কে এস ফিরোজ। টিভিতে তিনি প্রথম অভিনয় করেন দিলারা জামানের স্বামী শফিউজ্জামানের রচনায় ও জামান আলী খানের প্রযোজনায় ‘দীপ তবুও জ্বলে’ নাটকে। এতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন ডলি ইব্রাহীম। কে এস ফিরোজ প্রথম ‘লাওয়ারিশ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর বহুদিন বিরতি নেন চলচ্চিত্র থেকে। আবু সাইয়ীদের ‘শঙ্খনাদ’, ‘বাঁশি’, মুরাদ পারভেজের ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’তে অভিনয় করেন। টিভিতে তাঁর প্রথম আলোচিত নাটক জিয়া আনসারী প্রযোজিত ‘প্রতিশ্রুতি’। কে এস ফিরোজের মৃত্যুতে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, অভিনয় শিল্পী সংঘসহ বেশ কিছু সংগঠনের পক্ষে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকেই।

সম্পর্কিত খবর:

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মুম্বাইতে 6 কোটি টাকার অ্যাপার্টমেন্ট উড়তা পাঞ্জাবের পরিচালক অভিষেক চৌবেকে অফলোড করেছেন

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version