আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৭ পিএম |  অনলাইন সংস্করণ    আলু মাইকিং করে বিক্রি

বগুড়ায় ৩৩ টাকা কেজি দরে ১০০০ মণ আলু মাইকিং করে বিক্রি

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় হিমাগারে মজুত করা ৪০ হাজার ৫০০ কেজি (৬৭৫ বস্তা) আলু প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এই আলু বিক্রির ঘোষণা দিয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মহাস্থান বাজারে মাইকিংও করা হয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার(২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সরকার–নির্ধারিত দামে আলু কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। উপজেলা প্রশাসন সূত্র আরও জানায়, পাইকারী ব্যবসায়ীরা ৩৩ টাকা কেজি দরে খুচরা ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের কাছে এই আলু বিক্রি করেছেন।

metafore online

এখন খুচরা ব্যবসায়ীরা এই আলু সরকার–নির্ধারিত ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গতকাল শিবগঞ্জের সাহা হিমাগার লিমিটেড ও হিমাদ্রি লিমিটেড হিমাগারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে সাহা হিমাগারে মজুত করা পরিতোষ কুমার নামের একজন ব্যবসায়ীর ১৯০ বস্তা, অর্জুন সরকারের কাছে ২৮৫ ও হিমাদ্রি হিমাগারে আফজাল হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ীর সংরক্ষণ করা ৩০০ বস্তা আলু পাওয়া যায়।

এসব আলু তাৎক্ষণিক মহাস্থান হাটের ৯ জন পাইকারি ব্যবসায়ীকে ডেকে সাড়ে ২৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়ে থাকে।

এরপর ৩৩ টাকা কেজি দরে সেই আলু পাইকারি বাজারে বিক্রির ঘোষণা দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় মহাস্থান বাজারে মাইকিং করা হয়েছে।এদিকে বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে মহাস্থান হাটে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই আলু ৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।

clipping path tech

মাথাপিছু ৫ কেজি থেকে এক মণ পর্যন্ত আলু কিনে নেন ক্রেতারা। মহাস্থান হাটে ৩৩ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি কার্যক্রম তদারক করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিমুজ্জামান সেখানে উপস্থিত রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল মন্ডল বলেন, হাটে খুচরা পর্যায়ে এখনো ৪৫ টাকা কেজি দরে সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সেই আলু ৩৩ টাকা কেজি দরে কিনতে পেরে খুশি ভোক্তারা। প্রশাসনের এই ধরনের উদ্যোগ সাধারণ মানুষের প্রশংসাকে কড়ে নিয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বগুড়া এবং জয়পুরহাটে গত মৌসুমে ৯৪ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়। আলু উৎপাদিত হয়েছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮০ মেট্রিক টন। এবার দুই জেলার ৫৬টি হিমাগারে ৫ লাখ ৫ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করেছেন মজুতদারেরা। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল উপজেলার দুটি হিমাগারে অভিযান চালিয়ে তিন মজুতদারের কাছে ৬৭৫ বস্তা আলু পাওয়া যায়।

Buy Database Online – classy database

এই আলু হিমাগার থেকে সাড়ে ২৮ টাকা কেজি দরে মহাস্থান হাটের ৯ জন পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এরপর এলাকায় মাইকিং করে পাইকারি ৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বৃহস্প্রতিবার সকালে মহাস্থান হাটে ২৭০ বস্তা (১৬ হাজার ২০০ কেজি) আলু ৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। কাল অবশিষ্ট আলু বিক্রি করা হবে। মজুতদারদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে সব হিমাগারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version