আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ২২: ৩০ পিএম |  অনলাইন সংস্করণ    ১২৫ কোটি

২০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৫ কোটি ডলার


প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১২৫ কোটি ৭০ হাজার ডলার। গড়ে দৈনিক রেমিট্যান্স আসছে ৬ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।  তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অক্টোবরের ২০ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১০ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।  ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে গত সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছিল।

ওই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। এর পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে এখন ১১৫ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে।

metafore online

ফলে গত মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে বড় পতন দেখা গেলেও চলতি মাসে তা কিছুটা গতি পেয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেল, অর্থাৎ বৈধ পথে চলতি অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১২৫ কোটি মার্কিন ডলার। এই আয় গত মাসের পুরো সময়ের তুলনায় মাত্র ৯ কোটি ডলার কম। ফলে চলতি মাসের প্রবাসী আয় গত মাসের ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের আয়কে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ মাসের প্রথম ২০ দিনে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়।

বাকি ১৫ কোটি ডলার এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত, বিশেষায়িত ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে

বৈধপথে প্রবাসী আয় নিয়ে এলে সরকার আগে থেকেই ব্যাংকের মাধ্যমে আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিত। দেশে ডলার–সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এখন এই আড়াই শতাংশের পাশাপাশি ব্যাংকগুলো চাইলে অতিরিক্ত আরও আড়াই শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা দিয়ে প্রবাসী আয় আনতে পারবে। এর ফলে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আনলে গ্রাহকেরা প্রতি ডলারে কমবেশি ১১৫ টাকা পাচ্ছেন। আগে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারে আরও কম টাকা পাওয়া যেত। কারণ, তখন প্রবাসী আয়ে ডলারের একটা দাম বেঁধে দেওয়া ছিল। তাতে প্রতি ডলারে মিলত ১১০ টাকা।

clipping path tech

তবে ডলার–সংকটের কারণে কোনো কোনো ব্যাংক এর চেয়ে বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনত। এখন নতুন নিয়মে সরকারি প্রণোদনার সঙ্গে ব্যাংকের প্রণোদনা যোগ হওয়ার ফলে গ্রাহকেরা ভালো দাম পাচ্ছেন। তাতে প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাংকিং চ্যানেলে বেশি করে প্রবাসী আয় পাঠানোর প্রবণতা বাড়ছে। তবে কোনো কোনো ব্যাংকার বলছেন, এখন কিছুটা আশা দেখা গেলেও প্রবাসী আয় যে খুব বেশি বেড়েছে, তা বলা যাবে না। কারণ, যে হারে প্রবাসী আয় আসছে, তাতে অক্টোবর মাসের শেষে প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়ানোর সম্ভাবনা কম।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে কমেছিল। তবে ডলার-সংকটের কারণে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ে বড় ধাক্কা লাগে। তখন গত সাড়ে ৩ বছর বা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় আসে, যা পরিমাণে ১৩৪ কোটি ডলার। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। বর্তমান অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৭ কোটি ডলার, যা আগস্টে কমে ১৬০ কোটি ডলারে নামে। সব মিলিয়ে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবাসী আয় কমেছে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version