আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:২৫ এএম |  অনলাইন সংস্করণ কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন

কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন

 

উন্নয়নশীল আটটি দেশের জোট বা ডি-৮ ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষিপ্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য একটি ‘বহুদেশীয় সমন্বিত প্রকল্প’ নিতে বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। যার মাধ্যমে ডি-৮ভুক্ত এসব দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় উন্নত কৃষিপ্রযুক্তি বিষয়ে যৌথ গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ করা হবে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বিএআরসি) কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা শীর্ষক ৭ম ডি-৮ মন্ত্রীপর্যায়ের ভার্চুয়াল মিটিংয়ের শেষ দিনে আট দেশের কৃষিমন্ত্রীরা এ প্রস্তাব এবং ঢাকা ইনিসিয়েটিভ অনুমোদন করেন।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা যেমন, আইডিবি, এফএও, ইরি, ইফাদ প্রভৃতি থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পরিচালিত হবে। খুব শিগগির এই প্রকল্প প্রণয়নের কাজ শুরু হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ড. রাজ্জাক আরও বলেন, ডি-৮ দেশসমূহে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন খুবই জরুরি। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে এটি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

ডি-৮ভুক্ত দেশসমূহের কৃষিখাত ২৬% মানুষের কর্মসংস্থান করে থাকে আর জিডিপিতে অবদান প্রায় ১৩.৫০%। এছাড়া, এ জোটের দেশগুলোতে ৬০% মানুষ গ্রামে বসবাস করে এবং তারা মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল

clipping path tech

কাজেই, আজকের ঢাকা ইনিসিয়েটিভ ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন, বিনিময় এবং খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সভায় ডি-৮ এর মহাসচিব ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমাম, ইন্দোনেশিয়ার কৃষিমন্ত্রী সাইয়ারুল ইয়াসিন লিম্পু, ইরানের কৃষিমন্ত্রী সৈয়দ জেএস নেজাদ, মালয়েশিয়ার কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রী রোনাল্ড কিয়ান্দি, পাকিস্তানের ফেডারেল মন্ত্রী সৈয়দ ফখর ইমাম, তুরস্কের পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আকিফ ওজকাল্ডি, নাইজেরিয়ার কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন ফেডারেল মন্ত্রী মো. মাহমুদ আবুবকর এবং মিশরের এআরসির শিরীন আসেম কৃষিক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা, সম্ভাবনা, করণীয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, এফএও, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইএফএডি, ইরি ও সিমিটের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এখনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। শ্রমশক্তির ৪০.৬২ শতাংশ এখনও কৃষিকাজ নির্ভর (২০১৬-১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী)। অনেক ধরনের প্রতিকূলতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেও বাংলাদেশ বিগত ৫০ বছরে খাদ্য উৎপাদনে দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগতি অর্জন করেছে।

মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১৩.৪৭%। স্থিরমূল্যের ভিত্তিতে, ২০২০-২১)

metafore online

ক্রমহ্রাসমান কৃষি জমি, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদার বিপরীতে জিডিপিতে ধনাত্মক ধারা অব্যাহত রেখে যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের কৃষি তা একটা বিশ্ব অঙ্গনে বড় অর্জন। অন্যান্য দেশের তুলনায় মোট জমি কম হলেও সম্প্রতি কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব পর্যায়ে ধান, পাট, কাঁঠাল, আম, পেয়ারা, আলু, সবজি ও মাছ উৎপাদনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে ৩য়, পাট উৎপাদনে ২য়, পাট রপ্তানিতে ১ম, সবজি উৎপাদনে ৩য়, আলু ও আম উৎপাদনে ৭ম,

পেয়ারা উৎপাদনে ৮ম এবং মোট ফল উৎপাদনে ২৮তম স্থান র্অজন করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের যে ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক দুঃসময়ে দেশের হাল ধরে দূরদর্শী ও সাহসী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্ব দরবারে দেশকে এক বিশাল সফলতায় নিয়ে গেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই স্বল্পকালীন গত ১০-১২ বছরের শাসনের সাফল্যও অনেক। কৃষিতে সাফল্য বিবেচনায় প্রধান প্রধান কয়েকটি ফসলের ২০০৯ সালের সাথে তুলনায় ২০২০ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চালের উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩%, গমের ৪৫%, ভুট্টার ৭৭৫%, আলুতে ১০১%, ডালে ৩৭৫%, তেলবীজে ৮১%, সবজির ক্ষেত্রে ৫৭৮% যা বিশ্বে অভাবনীয়।

সম্পর্কিত খবর

সারিয়াকান্দিতে কৃষকের চারা উৎপাদন

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version