আপডেট :মঙ্গলবার ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩ ০৪:০০ অপরাহ্ন |  অনলাইন সংস্করণ    আতঙ্কজনক

তারা সত্যিকারের অর্থনীতিবিদ হলে ডাহা আতঙ্কজনক নম্বর দিতেন না: সিপিডি বিষয়ে মোমেন

আতঙ্কজনক

‘সিপিডিতে থাকা রাশিয়ান অর্থনীতিবিদরা ঘরে বসে অঙ্ক কষে বাহবা পাওয়ার জন্য আজগুবি নম্বর বের করেছেন।’

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে (সিপিডি) থাকা রাশিয়ান অর্থনীতিবিদরা ঘরে বসে অঙ্ক কষে বাহবা পাওয়ার জন্য আজগুবি নম্বর বের করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। আজ মঙ্গলবার সকালে সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকায় সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী গণসংযোগের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘রাশিয়া অনেক বড় দেশ ছিল, ইউএসএসআর (সোভিয়েত ইউনিয়ন) ধ্বংস হয়ে গেল রাশিয়ান অর্থনীতিবিদদের কারণে। ভেঙে ১৯টা রাষ্ট্র হলো।

metafore online

আনফরচুনেটলি সিপিডিতে যারা আছেন, তারা অনেকেই রাশিয়ান অর্থনীতিবিদ।’ ‘যদি সত্যি সত্যি উনাদের কিছু হিসাব থাকে, তথ্যভিত্তিক, বস্তুভিত্তিক, আমরা তাকে সম্মান করি, শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করব। কিন্তু তারা অনেক সময় একেকটা গল্প বানায়, আর সেই গল্পটাকে ছড়ায়’, বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উনারা বলেছেন যে সাড়ে ২৩ হাজার টাকা শ্রমিকদের মজুরি দিতে হবে।

তাহলে তো সব ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। আমেরিকাও তিন গুণ মজুরি দিতে পারবে না। নিউইয়র্কে এখন ১৫ ডলার মজুরি, সেটা যদি ৪৫ ডলারে বাড়ায়, তবে তো লোকের চাকরি থাকবে না।’ ড. মোমেন বলেন, ‘দেশটাকে ধ্বংসের জন্য তারা কিছু কাজকর্ম করছে, খুবই দুঃখজনক। তারা যদি সত্যিকারের অর্থনীতিবিদ হতেন, তাহলে এরকম ডাহা আতঙ্কজনক নম্বর দিতেন না। যদি সত্যি কথা বলতে পারতেন, তাহলে আমাদের উপকার হতো। আমরা সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নিতে পারতাম।’ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি সম্প্রতি জানিয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে ছোট-বড় ২৪টি অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে।

ররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘সিপিডিতে অনেক রাশিয়ান অর্থনীতিবিদ আছেন, যারা ঘরে বসে অঙ্ক কষে ব্যাংকিং খাতে ১৫ বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের মতো আজগুবি তথ্য দিয়েছেন।’

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে নগরের আম্বরখানা এলাকায় গণসংযোগ করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সিপিডির প্রতি সম্মান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার মতো বড় দেশের উনিশ টুকরো হয়ে যাওয়ার পেছনে তাদের অর্থনীতিবিদরা দায়ী।’ তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত সিপিডিতে যারা আছেন তাদের অনেকেই রাশান ইকোনোমিস্ট। তারা ঘরে বসে অঙ্ক কষে আজগুবি নাম্বার বের করেছে, বাহবা পাওয়ার জন্য। সিপিডির কাছে তথ্যবহুল ও বস্তুনিষ্ঠ হিসাব থাকলে, সরকার তা গ্রহণ করবে।’

এ সময়, গার্মেন্টকর্মীদের ২৩ হাজার টাকা মজুরি দাবির প্রসঙ্গ এনে সিপিডির সমালোচনা করে ড. মোমেন বলেন, ‘তাদের দাবি বাস্তবায়ন হলে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে।’দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:গত ১৫ বছরে দেশের ঋণ কেলেঙ্কারি ও অর্থ লোপাটের ঘটনাগুলো নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পর্যালোচনাকে আজগুবি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনে আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, সিপিডিতে অনেক অর্থনীতিবিদ আছেন যারা দেশের অর্থ লোপাট নিয়ে বাহবা পাওয়ার জন্য ঘরে বসে অংক কষে আজগুবি তথ্য দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরের আম্বরখানায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন এ কথা বলেন।

এর আগে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে দেশের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনাগুলো নিয়ে ১৫ বছরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পর্যালোচনা তুলে ধরে সিপিডি।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকায়। এ সময়ে নানা অনিয়মের মাধ্যমে ২৪টি বড় ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, ওরা (সিপিডি) একেক সময় একেক ধরনের গল্প বলে এবং ছড়ায়। দেশটাকে ধ্বংসের জন্য উনারা কিছু কাজ করেন। তবে তাদের কাছে তথ্যবহুল ও বস্তুনিষ্ঠ হিসাব থাকলে সরকার সেটা গ্রহণ করবে। সিপিডির প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, রাশিয়ার মতো বড় দেশের ১৯ টুকরো হয়ে যাওয়ার পেছনে তাদের অর্থনীতিবিদরা দায়ী।

clipping path tech

এ সময় গার্মেন্টসকর্মীদের ২৩ হাজার টাকা মজুরি দাবির প্রসঙ্গ টেনে ধরে সিপিডির সমালোচনা করে ড. মোমেন বলেন, তাদের দাবি বাস্তবায়ন হলে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। নির্বাচনের নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তা থাকবে শতভাগ। কোনো ভয়-আতঙ্ক নেই। যারা ভোট বর্জনের কথা বলছে, তাদের পরিমাণ নগণ্য। তারা শুধু টেলিভিশনে আর মিডিয়াতে। আর কোথাও তারা নেই। বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে ড. মোমেন বলেন, কিছু লোক প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, কয়দিন পরপর প্রোপাগান্ডা শোনেন।

একেকটা কাহিনি কয়দিন পরপর বের হয়। এগুলো একেবারে ভুয়া। এসব নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। গত ১৫ বছরে দেশের ঋণ কেলেঙ্কারি ও অর্থ লোপাটের ঘটনাগুলো নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পর্যালোচনাকে আজগুবি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনে আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, সিপিডিতে অনেক অর্থনীতিবিদ আছেন যারা দেশের অর্থ লোপাট নিয়ে বাহবা পাওয়ার জন্য ঘরে বসে অংক কষে আজগুবি তথ্য দিয়েছে।

সম্পর্কিত খবর:

নীলফামারী-৪: যেখানে নির্বাচনী প্রচারণা চলছে উর্দুতেও

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version