আপডেট: ১৩:২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩| অনলাইন সংস্করণ    ইশতেহার মানে
আ.লীগের ইশতেহার মানে- স্মার্ট বাংলাদেশের নামে শ্মশান বাংলাদেশ

ইশতেহার মানে

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ঘোষণা ‘শ্মশান বাংলাদেশে’ রূপান্তর হবে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোট। জোট নেতারা বলেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রতারণার ফাঁদপাতা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের সেই পুরনো ইশতেহারে জনগণের ১০ টাকা কেজি চাল, বিনামূল্যে সার, ঘরে ঘরে চাকরি- কোথায় গিয়েছে, সে প্রশ্নও করেছেন নেতারা। তারা বলেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়নের নামে ঋণ করে ঘি খায়; দেশের বাইরে অর্থ পাচার করে।

metafore online

তাই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার মানে- স্মার্ট বাংলাদেশের নামে শ্মশান বাংলাদেশ।

জোট নেতারা আরও বলেন, দেশের ৫৭ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যের তালিকায় রেখে কীভাবে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ ভোট চাইতে যায়? সাধারণ মানুষের পেটে ভাত নাই! কৃষকের সার নাই, শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নাই! বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান নাই। তারপরেও আওয়ামী লীগ জনগণের সাথে প্রতারণার পুরনো ফাঁদ পাততে চায়। তবে আগামী ৭ জানুয়ারি জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ভোট বর্জনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল এলাকায় অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণের সময় জোট নেতারা এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। তিনি বলেন, জনগণ শেখ হাসিনার অধীনে ৭ তারিখের ভোট বর্জনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। মানুষ এখন শেখ হাসিনার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানতে চায়। সরকারের এখনও সময় আছে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। অন্যথায় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বাংলার জনগণ পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবে। ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও ১২ দলীয় জোটসহ বিরোধী দলগুলোর সাথে খেলায় হেরে গিয়ে আওয়ামী লীগ এখন নিজেদের ঘরে জুতা মারামারির খেলা শুরু করেছে। এই খেলায় আওয়ামী লীগকে বিদায় করতেই হবে।

clipping path tech

দেশের জনগণ আগামী ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগের সার্কাস খেলা দেখতে ভোট কেন্দ্রে যাবে না।

জোটের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।

উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির মিজানুর রহমান পিন্টু, মো, ফরিদ উদ্দিন, আতাউর রহমান খান ভন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, এম. কাশেম ইসলামাবাদী, বেরিত হোসেন শামীম ভন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, আবুল মনসুর, গাজী ওমর ফারুক ভন – জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), শরিফুল ইসলাম ভন বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির শফিকুল ইসলাম, যুব জগপাল নজরুল। ইসলাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, ছাত্রসমাজ কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত খবর:

আমি-ডামির নির্বাচন বর্জন করুন নজরুল ইসলাম

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version