সংঘাত ও সহিংসতা

মুন্সীগঞ্জে একজনের মৃত্যু, চট্টগ্রামে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, চট্টগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনে অনিয়ম, সংঘাত ও জোর করে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে কয়েকটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। জোর করে সিল মারার অভিযোগে একজন মন্ত্রীর ছেলেকে আটকের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ওই অভিযোগে একটি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়েছে দিনের শুরুতেই।এছাড়া জাল ভোট দেয়ার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন আসন থেকে মোট ১০ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

clipping path tech

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলাকে এ তথ্য জানান জেলার স্থানীয় সাংবাদিক মাসুক হৃদয়। কক্সবাজার-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান এমপি ও নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেছেন, “আজ দুপুর ১২টার পর থেকে একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা ও বিজিবি, তারা সকলে কেন্দ্র দখল করে আমার এজেন্টদের পিটিয়ে বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে।

” “এটা প্রতিহত করতে গিয়ে প্রাণহানির চেয়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম,” ভিডিও বার্তায় বলেছেন তিনি।

চট্টগ্রাম-১২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক অভিযোগ করেছেন যে অন্তত বিশটি কেন্দ্রে তার এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি বা বের করে দেয়া হয়েছে। মি. হক একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য ও হুইপ। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। ওদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ”আমরা যেটা আশঙ্কা করছি সেটা হলো, আমাদেরকে ভোটে নিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত কোরবানি দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করা হয় কি না। এটা নিয়ে আমরা একটু শঙ্কিত।” নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে হরতাল পালন করছে বিএনপি।

metafore online

চট্টগ্রামে হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ফরিদপুর-৩ আসনের অনেক কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদ।

একটি কেন্দ্রে তাকে ঘেরাও করা হয়েছে বলে অভিযোগও করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে।নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে, সারা দেশে ভোটে ৩৭টি স্থানে অনিয়ম ও গোলযোগের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। জাল ভোটের অভিযোগে আটক করা হয়েছে ছয় জনকে। দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বরগুনায় একজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের একজন মহিলা চেয়ারম্যান আটক করা হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর:

যেভাবে শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হল সাতই জানুয়ারির নির্বাচন

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version