বগুড়ার শাজাহানপুরে সৎ মা ও ছেলের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শনিবার বিকেলে উভয় পক্ষের আইনজীবি, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বৈঠক শেষে সমাধান না হওয়ায় উভয় পক্ষকে আইন-শৃংখলা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছে থানা পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ আগষ্ট সকালে শাজাহানপুর উপজেলার অন্তর্গত বগুড়া পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড বেতগাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মাদ আলীর তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী ও কন্যা ওয়ারিশ সূত্রে জমি দাবী করে বেতগাড়ী এলাকায় তার স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দুই ছেলে শাহ জালাল (২৬) ও শাহ আলমের (২৪) দখলীয় জমিতে ভাড়া করা লোকজন নিয়ে গিয়ে ইটের প্রাচীর ও গাছের চারা লাগিয়ে দখলের চেষ্টা করেন। এসময় শাহ আলম ও শাহ জালাল বাধা প্রদান করলে দাঙ্গাবাজ বাহিনী তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এঘটনায় শাহ জালাল বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই দখলবাজরা স্থান ত্যাগ করেন। পরে শাহ আলম ও শাহ জালাল দুই ভাই জোরপূর্বক নির্মিত ইটের প্রাচীর ও গাছের চারা উপড়ে ফেলেন। এঘটনায় তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন।

শাহ জালাল জানান, তার বাবা ও মা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। তার এক বোন আছে। তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীও ছিল। বাবা বেঁচে থাকতেই তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়েছে। ওই পক্ষেও এক বোন আছে। বাবার তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী ও ১ মেয়ে রয়েছে। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর বাবার রেখে যাওয়া সমস্ত সম্পত্তি ওয়ারিশসূত্রে সবার মাঝে ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে। তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী ও মেয়ে ওয়ারিশ সূত্রে যে পরিমান জমি পায় তা রেখে অন্যান্য ওয়ারিশগণ তাদের জমি খাজনা খারিজ সম্পন্ন করে রেজিস্ট্রিমূলে হস্তান্তরও করেছেন। এমতাবস্থায় তার সৎ মা ও সৎ বোন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে হাত করে দাঙ্গাবাজদের ভাড়া করে তাদের দুই ভাইয়ের দখলীয় জমি জবর-দখলের চেষ্টা করছে।

তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী জানান, তার স্বামী মারা যাওয়ার দীর্ঘদিন পরও তার সৎ ছেলেরা জমি দিচ্ছিল না। তাই তার স্বামীর ওয়ারিশ হিসেবে স্বামীর রেখে যাওয়া জমিতে গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু তার সৎ ছেলেরা গাছগুলি উপড়ে ফেলেছে।

অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু হাসান জানান, ফৌজদারী অপরাধ সংঘটনের পূর্ব সূত্র চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে আইনজীবি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসে সমাধান করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে আইনী জটিলতায় সমাধান না হওয়ায় উভয় পক্ষকে আইন-শৃংখলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।

ক্রেডিট : শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিবেদক

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version