আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:০৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ বিমানের জরুরি অবতরণ
বাভারিয়ার রাজধানী মিউনিক থেকে ছেড়ে যাওয়া ব্যাংককগামী একটি বিমান ভারতের দিল্লিতে জরুরি অবতরণ করেছে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিমানে থাকা এক দম্পতির তুমুল ঝগড়ার ফলে এমনটা করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। জার্মানির মিউনিখ শহর থেকে ব্যাংকক যাচ্ছিলো আন্তর্জাতিক বিমানটি। ওই বিমানে ছিলেন একজন জার্মান নাগরিক এবং তার থাইল্যান্ডবাসী স্ত্রী। মাঝ আকাশে তুমুল ঝগড়া বাধে তাদের মধ্যে। এক সময়ে পরিস্থিতি এতোটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে স্বামীর বিরুদ্ধে বিমানকর্মীদের কাছে অভিযোগ জানান ওই নারী। শুরুতে বিমানকর্মীরা ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, তাতে ব্যর্থ হন তারা।
এর পরেই বিমানটির জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। প্রথমে পাকিস্তানের একটি বিমানবন্দরে নামার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্ত, অনুমতি মেলেনি। এরপর দিল্লি বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাইলট। সবুজ সংকেত মেলায় ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে বিমানটি। জোর করে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় জার্মান নাগরিককে। তাকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। পরে অবশ্য ক্ষমা চান অভিযুক্ত। তাকে জার্মানিতে পাঠানোর বিষয়ে জার্মান দূতাবাসের সঙ্গে কথা চলছে নিরাপত্তারক্ষীদের। এদিকে খানিক বাদে গন্তব্য ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। বাভারিয়ার রাজধানী মিউনিক থেকে ছেড়ে যাওয়া ব্যাংককগামী একটি বিমান দিল্লিতে জরুরি অবতরণ করেছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিমানে থাকা এক দম্পতির তুমুল ঝগড়ার ফলে এমনটা করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দম্পতির একজন জার্মান ও ওপর নাগরিক থাই নাগরিক
মাঝ আকাশে ফ্লাইটে তারা ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। ঝগড়া ক্রমশ জটিল রুপ ধারণ করায় ফ্লাইটে থাকা ক্রুরা তা মেটাতে হিমশিম খান। ঘটনা বেগতিক পর্যায়ে চলে গেলে বিমানটি দিল্লির ইন্দিরাগান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হন পাইলট। পরে ওই দম্পতিকে বিমান থেকে নামিয়ে দিয়ে পুনরায় বিমান থাইল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করে। তবে এ বিষয়ে লুফথানসা এয়ারলাইনস গণমাধ্যমকে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য দেয়নি। নানা কারণে বিমান জরুরি অবতরণ করে, তাই বলে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার জেরে! ঝগড়ার কারণে যদি একটি যাত্রী ভর্তি বিমানকে জরুরি অবতরণ করাতে হয় তাহলে সেটি অবশ্য খবরে পরিণত হবে।
শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি বাস্তবেই এমন ঘটনা ঘটেছে। বুধবার এমন এক ঘটনা ঘটে মিউনিখ থেকে ব্যাংককগামী লুফথানসার একটি উড়োজাহাজে। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার কারণে সকাল ১০টা ২৬ মিনিটে দিল্লিতে অবতরণ করাতে হয় বিমানটি। এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানায়, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে, এটিসিকে জানাতে বাধ্য হন বিমানের পাইলট। পুলিশ সূত্রে জানায়, উড়োজাহাজে ৫৩ বছর বয়সী এক জার্মান নাগরিক তার স্ত্রীর সঙ্গে চিৎকার শুরু করেন। ঝগড়ার একপর্যায়ে লাইটার দিয়ে একটি কম্বল পোড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। পরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে ওই দম্পতিকে নামিয়ে দেওয়া হয়। বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, জার্মান ওই নাগরিকের স্ত্রী থাই নাগরিক। মাঝ আকাশে তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। ক্রমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্বামীর আচরণে আতঙ্কিত হয়ে প্লেনকর্মী এবং পাইলটের সাহায্য চান নারী। দম্পতিকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন কর্মীরা।
এই পরিস্থিতিতে প্রথমে পাকিস্তানের একটি বিমানবন্দরে নামাতে চেয়েছিলেন পাইলট। কিন্তু পাক বিমানবন্দর থেকে অনুমতি মেলেনি। পরে দিল্লিতে অবতরণের অনুমতি পান পাইলট। দিল্লিতে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে প্লেন থেকে নামিয়ে দিয়ে ফের উড়াল দেয় বিমানটি। পরে দিল্লিতে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ওই ব্যক্তি। এছাড়া তাকে জার্মানিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে জার্মান দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। চলন্ত বিমানে যাত্রীদের অভব্য আচরণ নতুন নয়। বরং ইদানীংকালে তা বাড়ছে। তবে লুফথানসা বিমানে সম্প্রতি যা ঘটল তা যেন সব সীমা অতিক্রম করে গেছে। জার্মানি থেকে ব্যাংকক যাচ্ছিল লুফথানসা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান।
কিন্তু যাত্রার সময় বিমানটি অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়ে
মাঝ আকাশে এক দম্পতির মধ্যে হঠাৎ ঝগড়া শুরু হয়। কথাকাটাকাটি একটা সময় পৌঁছে যায় হাতাহাতিতে। বিমানকর্মীরা অনেকভাবে চেষ্টা করেও তাদের থামাতে পারেননি। বিরক্ত হয়ে ওঠেন সহযাত্রীরাও। বাধ্য হয়ে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মতে, লুফথানসার একটি ফ্লাইট মিউনিখ (জার্মানি) থেকে ব্যাংকক যাচ্ছিল। মাঝ আকাশে ওই দম্পতির মধ্যে বিবাদ বাড়লে বিমানযাত্রীরা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। ঝগড়ার মধ্যে স্বামীর আচরণ স্ত্রীর প্রতি ক্রমেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে ফ্লাইট ক্রুরা হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন। কিন্তু তারাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন। বেগতিক বুঝে ফ্লাইট ক্রুরা ফ্লাইটের গতিপথ দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেন এবং সাহায্যের জন্য অবিলম্বে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সাথে যোগাযোগ করেন।
দিল্লি বিমানবন্দরের এভিয়েশন সিকিউরিটি কর্মকর্তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন যে, ঝগড়ার পেছনের কারণ এখনো তাদের কাছে অজানা। জানা গেছে, লুফথানসার বিমানটি প্রথমে পাকিস্তানের কোনো বিমানবন্দরে নামার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের করাচি এবং লাহোর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল জানিয়ে দেয় তাদের বিমানবন্দরগুলো ব্যস্ত আছে। অতিরিক্ত বিমান অবতরণের সুযোগ নেই। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সাথে সাথে অনুমতি দিয়ে দেয়। ফ্লাইটটি নিরাপদে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ওই দম্পতিকে বিমান থেকে নামিয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখনো পর্যন্ত, লুফথানসা এয়ারলাইন্স ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি।