আপডেট :নভেম্বর ১১, ২০২৩, ০৬:৪৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ বাংলাদেশের হার
মার্শের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় হার বাংলাদেশের
বিশ্বকাপ থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ
শঙ্কা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিয়ে। তবে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে বেশ কিছু সমীকরণ নিয়ে বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে ভারত-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
শনিবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। প্রথমে ব্যাট করে তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটিতে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৭৯ বলে ৭৪ রান করেন হৃদয়। ৩০৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
metafore online
দলীয় ১২ রানে ১১ বলে ১০ রানে আউট হন ট্র্যাভিস হেড। এরপর ক্রিজে আসা মিচেল মার্শ বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। এরপরও আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান এই দুই ব্যাটার। দুজনেই করেন ফিফটি। তবে দলীয় ১৩২ রানে ৬১ বলে ৫৩ করে আউট হন ওয়ার্নার।বাংলাদেশের হার
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসরে মাত্র দুটি জয়েই শেষ হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। মিচেল মার্শের তাণ্ডবে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে একপেশে পরাজয় বরণ করেছে বাংলাদেশ। একপেশে ম্যাচে টাইগারদের ছুঁড়ে দেওয়া ৩০৭ রানের লক্ষ্য অজিরা ৮ উইকেট হাতে রেখেই জড়ো করে ফেলে ৪৪.৪ ওভারে। পুনেতে একাদশে ২ পরিবর্তন নিয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।বাংলাদেশের হার
নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন ছিল
নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ইনজুরিতে স্কোয়াডে ভিড়লেও একাদশে সুযোগ পাননি এনামুল হক বিজয়। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। পাওয়ারপ্লের পুরোটা সময় কাটিয়ে ৭৬ রান সংগ্রহ করেন উদ্বোধনী জুটিতে। দুজনই অবশ্য ৩৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে। তামিম ৩৪ বলে ৩৬ রান করেন, লিটন মোকাবেলা করেন ৪৫ বল। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে তাওহীদ হৃদয় ধরেন দলের হাল। ৫৭ বলে ৪৫ রান করে থামে শান্তর অধিনায়কোচিত ইনিংস। তার বিদায়ে ক্রিজে এসেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শুরু করেন মারকুটে ব্যাটিং। যদিও রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৩২ রান করেন ২৮ বলের মোকাবেলায়।
clipping path tech
হৃদয়ের সামনে শতকের সুযোগ থাকলেও ৭৯ বলে ৭৪ রান করে বিদায় নেন এই তরুণ। শেষদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ২০ বলে ২৯ রানের ক্যামিওতে রেখেছেন বড় ভূমিকা। এছাড়া মুশফিকুর রহিম করেন ২১ রান। সব মিলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান দাঁড়ায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। অজিদের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন শন অ্যাবট ও অ্যাডাম জাম্পা। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের সাদামাটা বোলিংয়ের ফায়দা তুলে দ্রুত রান জড়ো করতে থাকে অজিরা। যদিও ১২ রানেই তাসকিনের স্বীকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ট্রাভিস হেডকে।বাংলাদেশের হার
দ্বিতীয় উইকেটে ১২০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। ৬১ বলে ৫৩ রান করে ওয়ার্নার বিদায় নিলে মার্শকে সঙ্গ দেন একাদশে ফেরা স্টিভ স্মিথ। মার্শ তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৭৭ রানে অপরাজিত থাকার দিনে হাকান ১৭ চার ও ৯ ছক্কা, মোকাবেলা করেন ১৩২ বল। এছারা ৬৪ বলে ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন স্মিথ। ৪৪.৪ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে বিশ্বকাপের সফলতম দলটি।