আপডেট :এপ্রিল ৫, ২০২৩ ১২:০৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ লড়ছেন সাকিব
দলের বিপদের দিনে আরও একবার ঢাল হয়ে দাড়ালেন মুশফিকুর রহিম লড়ছেন সাকিব
ইতিমধ্যে ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন সাকিব আল হাসান।সাকিব-মুশফিকের ৫০ রানের জুটি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০০ পার ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুজনের জুটি ইতিমধ্যে ৫০ রান পার হয়েছে। আর বাংলাদেশের দলীয় রান ১০০ পার হয়েছে।
দলকে বিপদে রেখে ফিরে গেলেন শান্তও গ্লেন ফিলিপসের করা প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মাত্র ৭ রান করেন তিনি। ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে টাইগাররা বোলিংয়ে এসেই তামিমকে ফেরালেন ফার্গুসন প্রথম বলে লিটন ফেরার পর তানজীদ হাসান তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। লড়ছেন সাকিব
ইনিংসের অষ্টম ওভারে তামিমকে ফিরিয়ে সেই প্রতিরোধ ভাঙলেন কিউই পেসার লাকি ফার্গুসন। এই ডানহাতি বোলারকে ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তামিম। ৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্র ৪০ রান। জন্মদিনে প্রথম বলেই আউট লিটন জন্মদিনে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন লিটন। সেই ম্যাচেই কিনা প্রথম বলে আউট হয়ে ফিরে গেলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টকে মারতে গিয়ে ফাইন লেগে ম্যাট হেনরির ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি। লড়ছেন সাকিব
মুমিনুল হকের দ্রুত বিদায়ে খানিকটা চাপও বেড়েছিল
সেই চাপ যেন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে আগ্রাসী জুটিতে খেলার পরিস্থিতি বদলে দিলেন তিনি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ফিফটি করে সাকিব দলকে নিয়ে যাচ্ছেন দাপুটে অবস্থায়। সাকিবের মতো অতটা আগ্রাসী না খেললেও সাবলীল খেলে ফিফটি পেয়ে গেছেন মুশফিকও।
বুধবার মিরপুরে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন পুরোপুরি বাংলাদেশের। ২৭ ওভার খেলে ১ উইকেটে এই সেশনে ১৩৬ রান যোগ করেছে স্বাগতিকরা। ৩ উইকেটে ১৭০ রান নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া বাংলাদেশ পিছিয়ে আর কেবল ৪৪ রানে। ৭৪ বলে ৭৪ করে অপরাজিত আছেন সাকিব, ৭৭ বলে ৫৩ করে খেলছেন মুশফিক। ২ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ১২ রান নিয়ে ক্রিজে ছিলেন মুমিনুল। তার সঙ্গে সকালে ব্যাট করতে নামেন মুশফিক। মুশফিক সমঝে খেললেও পা হড়কে যায় মুমিনুলের।
দিনের তৃতীয় ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারকে লেগ স্টাম্প ছেড়ে গার্ড নিয়ে খেলছিলেন মুমিনুল
লেগ স্টাম্পের বল ব্যাটে নিতে না পেরে স্টাম্প খোয়ান তিনি। ৩৪ বলে ১৭ করে ফেরেন বাঁহাতি টপ অর্ডার। ৪০ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। পাঁচে নেমে এরপর আগ্রাসী ধরণে খেলতে থাকেন সাকিব। নেমেই পান বাউন্ডারি। চিরচেনা পথে বারবার ঝুঁকির দিতে যেতে দেখা যায় তাকে। আলগা বল পেলেই মেরেছেন বাউন্ডারি, মাঝে মাঝে বাউন্ডারি পেতে বাড়তি চেষ্টাও করছিলেন তিনি। আইরিশ বোলারদের আলগা বল কাজে লাগিয়ে রানের চাকা বাড়াতে থাকেন মুশফিক। চতুর্থ উইকেটে দ্রুতই পঞ্চাশ রানের জুটি পেয়ে গেছেন এই দুজন। বাউন্ডারির ঝলকানি ৪৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন সাকিব।
আইরিশ স্পিনাররা তেমন কোন হুমকি দিতে না পারায় রানের গতি ছিল চড়া। ওভারে তিনটা করে আলগা বল দিচ্ছিলেন তারা। যা সীমানা পার করতে বিন্দুমাত্র কষ্ট হচ্ছিল না বাংলাদেশের ব্যাটারদের। সাকিব-মুশফিক জুটিতে এসে গেছে শতরান। তাতে হয়েছে একটি রেকর্ডও। টেস্টে জাভেদ ওমর-হাবিবুল বাশারের সর্বোচ্চ পাঁচটি শতরানের জুটি স্পর্শ করেছেন তারা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব-মুশফিক এই নিয়ে ১২টি শতরানের জুটি এসেছে তাদের। যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।