বাংলাদেশে বিদেশি দূতাবাসগুলোতে বিভন্ন দেশের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ইস্যুতে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি ভিয়েনা কনভেনশনের আলোকে কূটনীতিকদের নিরাপত্তার ওপর জোর দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
ওই সংবাদ ব্রিফিংয়ে মিলারের উদ্দেশে একজন সাংবাদিক বলেন, শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তার বিষয়ে কিছু অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার পরও তিনি একই কাজ করেছিলেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বসে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেন।
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয়রা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের দাবি করেছে এবং বর্তমান শাসক হাসিনা শেখ ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন। আমেরিকা কি জানে, ভারতীয় প্রভাবের কারণে আওয়ামী লীগ ও হাসিনার প্রতি ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে? এমন অবস্থায় বাংলাদেশি জনগণের ভোটাধিকার থাকা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়া পুরোপুরি অসম্ভব।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমরা সহিংসতার ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। আমরা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের (স্টেকহোল্ডার) সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার জন্য, শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাতে যুক্ত আছি এবং আমরা আমাদের এই কাজ চালিয়ে যাব।
পরে আরেক সাংবাদিক বলেন, আমার Bangla News দুটি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন আছে– বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত জোট সারাদেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। বিরোধী দল বিএনপি সারাদেশে সড়ক, রেলপথ অবরোধের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, এতে আরও সহিংসতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিএনপি আসন্ন সাধারণ নির্বাচন বানচালের জন্য সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে বলে দেশবাসী মনে করে। পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর করা হয়েছে। এমন অবস্থায় দায়ীদের বিরুদ্ধে আপনারা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবেন?