আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:২৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ দিল্লিতে স্থায়ীভাবে
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তানের দূতাবাসের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তানের দূতাবাস। বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত সরকারের ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের কারণে, নয়া দিল্লিতে আফগানিস্তানের দূতাবাস স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য আমরা দুঃখিত। ৩০ সেপ্টেম্বর দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করার সময় আফগানিস্তান সরকার আশা করছিলো, দূতাবাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফের চালু করার জন্য ভারত সরকার অনুকূল অবস্থান নেবে। কিন্তু আট সপ্তাহ অপেক্ষা করা সত্ত্বেও, আফগান কূটনীতিকদের ভিসা বাড়ানো হয়নি। ভারত সরকারের আচরণও পরিবর্তন হয়নি।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, দূতাবাসের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার জন্য আফগানিস্তানের তালেবান সরকার ও ভারত সরকার দুই পক্ষই ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিলো।
এই চাপের মুখে দূতাবাসকে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ভারতে আফগান দূতাবাসের সব কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কাবুল সরকার। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর দূতাবাসের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। খবর-এনডিটিভির। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,
ভারত সরকারের ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের কারণে, নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তানের দূতাবাস স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
এর জন্য আমরা দুঃখিত। এতে আরও বলা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করার সময় আফগানিস্তান সরকার আশা করছিল, দূতাবাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফের চালু করার জন্য ভারত সরকার অনুকূল অবস্থান নেবে। কিন্তু আট সপ্তাহ অপেক্ষা করা সত্ত্বেও, আফগান কূটনীতিকদের ভিসা বাড়ানো হয়নি। ভারত সরকারের আচরণও পরিবর্তন হয়নি। দূতাবাসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, দূতাবাসের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার জন্য আফগানিস্তানের তালেবান সরকার ও ভারত সরকার দুই পক্ষই ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল। এই চাপের মুখে দূতাবাসকে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। দুই বছর আগে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগে কাবুল থেকে নিজেদের কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছিল দেশটি। তখন থেকে আফগানিস্তানে কূটনৈতিক উপস্থিতি নেই ভারতের। তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেজাতিসংঘের নেতৃত্ব অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছে ভারত।ভারতের দিল্লিতে আফগানিস্তানের দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।আজ শুক্রবার দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
দিল্লিতে আফগান দূতাবাসটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকার নিযুক্ত কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছিল।
দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন আফগান প্রজাতন্ত্রের কোনো কূটনীতিক আর ভারতে নেই। রাষ্ট্রদূত ফরিদ মামুনদাজে ও দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা নিরাপদে তৃতীয় দেশে চলে গেছেন। আরও বলা হয়েছে, দিল্লিতে আফগান দূতাবাসের ভাগ্য এখন ভারত সরকারের ওপর নির্ভর করছে।
এটি বন্ধ রাখা হবে নাকি তালেবানের ‘কূটনীতিকদের’ কাছে হস্তান্তর করা হবে, তা ঠিক করবে ভারত সরকার। এ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আফগানিস্তানে তালেবানের পররাষ্ট্র দপ্তরের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসে তালেবান সরকার। তালেবান সরকারকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগে কাবুল থেকে নিজেদের কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছিল ভারত। সেই থেকে আফগানিস্তানে কূটনৈতিক উপস্থিতি নেই দিল্লির।দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘নয়াদিল্লিতে ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তানের দূতাবাসের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য ভারত সরকারের অবস্থান অনুকূলভাবে বিকশিত হবে এই প্রত্যাশা থেকেই পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।’ ‘কিন্তু আট সপ্তাহের মধ্যে দূতাবাসটি ‘নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়ার জন্য তালেবান এবং ভারত সরকারের উভয়ের ক্রমাগত চাপের কারণে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়।’
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। দুই বছর আগে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগে কাবুল থেকে নিজেদের কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছিল দেশটি। তখন থেকে আফগানিস্তানে কূটনৈতিক উপস্থিতি নেই ভারতের। তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তারা জাতিসঙ্ঘের নেতৃত্ব অনুসরণ করবে বলে জানিয়েছে ভারত। নয়া দিল্লিতে আফগান দূতাবাসটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সরকার নিযুক্ত কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হত।
শুক্রবার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আফগান প্রজাতন্ত্রের কোনো কূটনীতিক ভারতে নেই এবং যারা দূতাবাসে কাজ করেছেন তারা নিরাপদে তৃতীয় দেশে পৌঁছেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতে উপস্থিত একমাত্র ব্যক্তিরা হলেন তালেবানের সাথে যুক্ত কূটনীতিক,’ মিশনটি ভারত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিশনের ভাগ্য নির্ধারণ করা এখন ভারত সরকারের ওপর নির্ভর করছে, এটি বন্ধ রাখা হবে নাকি তালেবানের ‘কূটনীতিকদের’ কাছে হস্তান্তরের সম্ভাবনাসহ বিকল্পগুলোও বিবেচনা করা হবে।
জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, ভারতে নিবন্ধিত প্রায় ৪০ হাজার শরণার্থীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশই আফগান নাগরিক। যারা অন্যান্য সংস্থার নিবন্ধিতদের অন্তর্ভুক্ত নয়। আফগান দূতাবাস জানিয়েছে, গত দুই বছরে শরণার্থী, শিক্ষার্থী এবং অন্যান্যরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় ভারতে কমিউনিটি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০২১ সালের আগস্টের পর থেকে এই সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে এবং এই সময়ের মধ্যে খুব সীমিত ভিসা ইস্যু করা হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সূত্র- এনডিটিভি।