আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২০, ২২:০৮পিএম | অনলাইন সংস্করণ সৌমিত্রের মেয়ে
সৌমিত্রের মেয়ে
পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। গত ৩০ ঘণ্টার মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। পুরোপুরি লাইফ সাপোর্টেও তিনি ঠিকমতো সাড়া দিচ্ছেন না।এমন অবস্থায় শনিবার রাতে তার পরিবারের সদস্যদের হাসাপাতালে ডেকে পাঠান চিকিৎসকরা। পরে অন্যদের সঙ্গে বাবাকে দেখতে যান মেয়ে পৌলমী বোসও।
কিন্তু বাবাকে দেখার পর কাঁদতে কাঁদতেই হাসপাতাল ছেড়েছেন তিনি। জিনিউজ জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় ‘বাবা ভালো নেই’ বলেই গণমাধ্যম কর্মীদের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পৌলমী বোস। এর আগে শনিবার রাতে কলকাতার বেলভিউ নার্সিং হোমের চিকিৎসক অরিন্দম কর জানান, সৌমিত্রের সুস্থতার জন্য গত ৪০ দিন ধরে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে এত চেষ্টার পরও তার অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়েছে।তিনি বলেন, সৌমিত্রকে নিয়ে এখন অলৌকিকেই ভরসা করতে হবে আমাদের।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের তিন দিন আগে শ্বাসনালিতে অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার সফলও হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিকঠাক কাজ করছে। তবে তিনি খুব দুর্বল। শ্বাসনালিতে অস্ত্রোপচারের পর সৌমিত্রকে প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়েছিল। ৪০ দিন ধরে কলকাতার বেলভিউ নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গত ২৪ অক্টোবর রাত থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
এরপর ধীরে ধীরে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। গত ৬ অক্টোবর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর ১৪ অক্টোবর অভিনেতার কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু কোভিড এনসেফেলোপ্যাথির কারণে তার স্নায়ুতে প্রভাব পড়ে। এরপর থেকেই প্রায় অচেতন তিনি। মাঝে কয়েকদিন চোখ মেলে সাড়া দিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ আবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
‘বাবা ভালো নেই’, জি ২৪ ঘণ্টার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সৌমিত্র কন্যা পৌলমী বোস।
কাল রাত থেকেই অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে সৌমিত্রের। আজ দ্রুততর হয় তা। একের পর এক সকালেই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন আগামী ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি কার্যত মিরাকেলের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। চিকিৎসকরা বলেছিলেন চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
পরিস্থিতি চিকিৎসকদের প্রায় হাতের বাইরে। চিকিৎসকরা ‘মিরাকল’-এর কথাই বলেছেন। বর্ষীয়ান অভিনেতার মস্তিষ্ক প্রায় অচল। ব্রেন ডেথ কিনা এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি হাসপাতাল। মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়েছে। নানাভাবে সাপোর্ট দিয়ে লড়াই চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ডাঃ অরিন্দম কর আগেই জানিয়েছিলেন, “বিভিন্ন ভাবে সাপোর্ট দিয়ে তার অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল।” শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। সম্পূর্ণ অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে। ১০০% ফেডারেশন সাপোর্টে রেখে দেওয়া হয়েছে। প্লাসমাফেরেসিস বা ডায়ালিসিস তেমনভাবে কোন কাজ করছে না। পরিবারের লোকদের ডেকে পাঠানো হয়। বাবাকে দেখতে আসেন পৌলমী। শারীরিক অবস্থা দেখে কাঁদতে কাঁদতে হাসপাতাল ছাড়লেন তিনি।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের তিন দিন আগে শ্বাসনালিতে অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার সফলও হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিকঠাক কাজ করছে। তবে তিনি খুব দুর্বল। শ্বাসনালিতে অস্ত্রোপচারের পর সৌমিত্রকে প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়েছিল। ৪০ দিন ধরে কলকাতার বেলভিউ নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গত ২৪ অক্টোবর রাত থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। গত ৬ অক্টোবর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর ১৪ অক্টোবর অভিনেতার কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু কোভিড এনসেফেলোপ্যাথির কারণে তার স্নায়ুতে প্রভাব পড়ে। এরপর থেকেই প্রায় অচেতন তিনি। মাঝে কয়েকদিন চোখ মেলে সাড়া দিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ আবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।