আপডেট :জুলাই ২, ২০২৩ , ১২:০০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ রনি
রনি
প্রাইভেটকার পার্কিং নিয়ে দ্বন্দে নাটোরের গুরুদাসপুরে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ তার বন্ধুরা হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারের সামনের ও পেছনের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় রনি রক্ষা পেলেও রাজু ও তহুরুল নামে তার দুই বন্ধু আহত হয়েছেন। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাতে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি ও তার ৫ বন্ধু সহ গুরুদাসপুর পৌর এলাকার চাঁচকৈড় এলাকায় বেড়াতে আসেন। রাত ৯টার দিকে রনির ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি পৌর এলাকার চাঁচকৈড় সিনেপ্লেক্সের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল।
এ সময় স্থানীয় চাতাল ব্যবসায়ী ছাবলু মোল্লার মোটরসাইকেলে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
এনিয়ে ছাবলু সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় রনি ও তার বন্ধুদের। এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ছাবলুর লোকজন ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে রনির গাড়িটির পেছন ও সামনের গ্লাস ভাঙচুর করে। এতে রনির কোনো ক্ষতি না হলেও গাড়িতে থাকা তার অপর দুই বন্ধু সামান্য আহত হন। এ ব্যাপারে রনির বন্ধু তহুরুল বাদী হয়ে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।নাটোরের গুরুদাসপুরে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর প্রতিবাদ করায় কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ তাঁর দুই বন্ধু হামলার শিকার হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের চাঁচকৈড় বাজারের একটি সিনেমা হলের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান তথ্যটি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে জানান, গাড়ি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় গতকাল রাতেই গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। রনির বন্ধু তহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় পৌর শহরের গাড়িষাপাড়া মহল্লার চাল ব্যবসায়ী ছাবলু মোল্লাকে (৪৫) প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় চার-পাঁচজনের নামোল্লেখসহ ছয়-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আলামিন মোল্লা (৩৩) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবু হেনা রনি তাঁর বন্ধুদের নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় চাঁচকৈড় বাজারের আনন্দ সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে এসেছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে সড়কের পাশের ফাঁকা জায়গায় তিনি তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িটি রেখে পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ছাবলু মোল্লা তাঁর প্রাইভেট কারটি বেপরোয়াভাবে চালাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে সড়কের পাশে দাঁড়ানো রনি ও তাঁর বন্ধুদের ওপর দিয়ে ছাবলুর গাড়িটি চালিয়ে দেওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ছাবলু মোল্লা তাঁর গাড়িটি থামিয়ে আবু হেনা রনি ও তাঁর বন্ধুদের গালমন্দ শুরু করেন। একপর্যায়ে ছাবলু মোল্লা ও তাঁর এক সহযোগী রনির দুই বন্ধু রাজু আহম্মেদ (৩৬) ও তহুরুল ইসলামকে (৩৫) মারধর করেন। তাঁদের রক্ষায় রনি ও তাঁর অন্য বন্ধুরা এগিয়ে এলে তাঁরাও হেনস্তার শিকার হন। স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এলেও ছাবলু মোল্লার দাপটের কারণে তাঁদের রক্ষা করা যায়নি।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজু আহম্মেদ (৩৬) ও তহুরুল ইসলামকে (৩৫) গুরুদাসপুর উপজেলা কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করা হলেও পরে ছাবলু মোল্লা মুঠোফোনে তাঁর আত্মীয়স্বজনকে ডেকে এনে সড়কের ওপর শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে আবু হেনার দুই বন্ধু রাজু আহম্মেদ ও তহুরুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে সড়কের পাশে রাখা আবু হেনা রনির ব্যক্তিগত গাড়িটির সামনের ও পেছনের কাচ ভেঙে ফেলেন তাঁরা। একপর্যায়ে গাড়ির চাবিটি নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে হামলার শিকার ব্যক্তি ও তাঁদের গাড়িটি থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আবু হেনা রনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা (ছাবলু মোল্লারা) স্থানীয় হওয়ায় তাঁদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। স্থানীয় বলেই তাঁরা এতটা দাপট দেখাবেন
, এটা মোটেও কাম্য নয়। এই অন্যায়ের বিচার দাবি করেন তিনি। অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ছাবলু মোল্লা বলেন, ‘তাঁর ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনায় তাঁর বেশ কিছু আত্মীয় এসে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যাবে, বুঝতে পারেননি তিনি। গুরুদাসপুর থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা চলে যান। পরে সেখান থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ভাঙা প্রাইভেট কারসহ বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে মিরাক্কেল খ্যাত জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির বন্ধুর গাড়িতে হামলা চালিয়ে তার দুই বন্ধুকে মারধর করে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারে অবস্থিত আনন্দ সিনেপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর পৌরসভার গারিষাপাড়া মহল্লার মৃত জমিন মোল্লার ছেলে চাতাল ব্যবসায়ী মো. ছাবলু মোল্লাসহ ৫ জন এবং অজ্ঞাত আরো ৫ থেকে ৭ জনের নামে রনির বন্ধু তহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে রাত সাড়ে ১১টায় মামলা দায়ের করেন। রনির সঙ্গে থাকা আহত দুই বন্ধু মো. তহুরুল ইসলাম (৩৬) ও রাজু আহম্মেদের (৩৫) বাড়ি পার্শ্ববর্তী সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামে।
অভিনেতা আবু হেনা রনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আবু হেনা রনিসহ তার চারজন বন্ধু আনন্দ সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখার জন্য এসেছিলেন।
তার বন্ধু রাজু আহম্মেদের প্রাইভেটকারটি রাস্তার পাশে পার্কিং করে তিনি সিনেমা হলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে তার বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল। এ সময় অপর একটি প্রাইভেটকারে স্থানীয় চাতাল ব্যবসায়ী ছাবলু মোল্লা এসে তাদের গাড়ি রাখা দেখে গালাগাল করতে থাকে। একপর্যায়ে আবু হেনা রনির বন্ধুরা ছাবলু মোল্লাকে গালাগাল করেত নিষেধ করায় ছাবলু মোল্লা গাড়ি থেকে নেমে তাদের ওপর চড়াও হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে বাধা দিলে ছাবলু মোল্লা উত্তেজিত হয়ে ফোনে স্বজনদের ডাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল এসে তার বন্ধুদের মারধর শুরু করলে দুই বন্ধু পালাতে পারলেও তহুরুল ইসলাম ও রাজু আহম্মেদকে ধরে বেধড়ক মারপিট করে জখম করে এবং তার প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে।
পরে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গুরুদাসপুর থানায় আসেন। এ ঘটনায় তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত চাতাল ব্যবসায়ী ছাবলু মোল্লা বলেন, তিনি তার ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে প্রাইভেটকারে আনন্দ সিনেপ্লেক্সের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। সিনেপ্লেক্সের পাশেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ৪-৫ জন। হর্ন দিলেও তারা সাইড না দেয়ায় বিরক্ত হয়ে স্বজনদের ফোন করে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। এরপর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারপিট শুরু হয়। তবে আবু হেনা রনিকে মারপিট করা হয়নি। গুরুদাসপুর থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ওই রাতেই সাবলু মোল্লার প্রতিবেশী মৃত হাকিম মোল্লার ছেলে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে শনিবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে তৎপরতা চলছে।