আপডেট: জুন ২, ২০২৩ ০২:৪৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ মন্ত্রিসভা 24 হাজার কোটি টাকার
স্কিমের লক্ষ্য বিশেষভাবে দুর্বল উপজাতীয় গোষ্ঠীগুলিকে (PVTGs) অনেকগুলি সুবিধা প্রদান করা। এর মধ্যে রয়েছে আবাসন, পানীয় জল এবং স্যানিটেশন, শিক্ষার অ্যাক্সেস, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, সড়ক ও টেলিকম সংযোগ এবং টেকসই জীবিকার সুযোগ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষিত 24,104 কোটি টাকার আদিবাসী কল্যাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছে। প্রধানমন্ত্রী জনজাতি আদিবাসী ন্যায় মহা অভিযান (PM-JANMAN) হল বৃহত্তম কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি এবং ব্যয়ের দিক থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সবচেয়ে বড়।
স্কিমের লক্ষ্য বিশেষভাবে দুর্বল উপজাতীয় গোষ্ঠীগুলিকে (PVTGs) অনেকগুলি সুবিধা প্রদান করা। মন্ত্রিসভা 24 হাজার কোটি টাকার
এর মধ্যে রয়েছে আবাসন, পানীয় জল এবং স্যানিটেশন, শিক্ষার অ্যাক্সেস, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, সড়ক ও টেলিকম সংযোগ এবং টেকসই জীবিকার সুযোগ। এই স্কিমটি প্রতি বাড়ি 2.39 লক্ষ টাকা খরচ করে প্রায় 4.9 লক্ষ পাকা বাড়ির জন্য সরবরাহ করে; প্রতি ইউনিটে 2.75 কোটি টাকায় 500টি হোস্টেল; 2,500 অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র; 3,000 গ্রামে মোবাইল টাওয়ার স্থাপন; এবং 8,000 কিলোমিটার সড়ক যোগাযোগ,
আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর বিকেল ৩টায় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার এই বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জাতীয় সংসদে তিনি ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক বাজের বক্তৃতা দেন। এটি দেশের ৫২তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম ও আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বড়।
বাজেটটি ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকার প্রাক্কলিত জিডিপির ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ। এবারের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। রাজস্ব হিসেবে ৫ লাখ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংগ্রহ করবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যন্য উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে আরও ৭০ হাজার কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, যা আগামী অর্থবছরের চেয়ে ৬৭ হাজার কোটি টাকা কম। প্রস্তাবির বাজেটে ব্যয়ের খাতগুলোর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৮১ কোটি টাকা এবং আগামী বাজেটে ১৩টি খাতে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে।
খাতভিত্তিক বরাদ্দ হলো—জনসেবা খাতে ২ লাখ ৭০ হাজার ২৭০ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৪৯ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা,
প্রতিরক্ষা খাতে ৪২ হাজার ১৪২ কোটি টাকা, জন নিরাপত্তা খাতে ৩২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ১ লাখ ৪ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা,
স্বাস্থ্য খাতে ৩৮ হাজার ৫০ কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৪০ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা, আবাসন খাতে ৭ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ৫ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ৮৭ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা,
কৃষি খাতে ৪৩ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা এবং বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম খাতে ব্যয় ৫ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। ‘মাথাপিছু আয় হবে ১২,৫০০ ডলার’ স্মার্ট বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। দারিদ্রসীমার নিচে থাকবে ৩ শতাংশের কম মানুষ। চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়।’