আপডেট :১৪ জুলাই ২০২৩, ১০:০১ এএম | অনলাইন সংস্করণ অভিনয়
অভিনয়
শেষ দফা আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর লেখকদের সঙ্গে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন হলিউডের অভিনয় শিল্পীরা। ৬৩ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতা ও লেখকরা একযোগে ধর্মঘট করছেন। এই ধর্মঘটে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে।মেরিল স্ট্রিপ, জেনিফার লরেন্সের মতো এ তালিকাভুক্ত তারকাসহ এক লাখ ৬০ হাজার অভিনয় শিল্পীর প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন দ্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড বলেছে, বেতন কমানো এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে কর্মক্ষেত্রে যে হুমকি তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে তাদের দাবির কোনো মীমাংসা হয়নি।
কোনো ঐকমত্য ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে।
ইউনিয়নের প্রধান আলোচক ডানকান ক্র্যাবট্রি-আয়ারল্যান্ড বলেছেন, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডের জাতীয় বোর্ড স্টুডিও ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) মধ্যরাত থেকে ধর্মঘট শুরু হবে। গ্রিনিচ সময় শুক্রবার সকাল থেকে অভিনয় শিল্পীরা লেখকদের সঙ্গে ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছেন। ১৯৬০ সালের পর থেকে এই প্রথমবারের মতো হলিউডে এমন একযোগে ধর্মঘট হচ্ছে। ১৯৮০ সালে অভিনেতাদের ইউনিয়ন ধর্মঘটে গিয়েছিল।
এটি তিন মাসের বেশি স্থায়ী হয়েছিল। টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের বিরুদ্ধে ও ভালো বেতনের দাবিতে লেখকেরা ১১ সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট করছেন। টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলো এ বছর দেরিতে শুরু হচ্ছে। ধর্মঘট চললে চলচ্চিত্রগুলোও আটকে যেতে পারে।শেষ দফা আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর লেখকদের সঙ্গে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন হলিউডের অভিনয় শিল্পীরা। ৬৩ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতা ও লেখকরা একযোগে ধর্মঘট করছেন।
এই ধর্মঘটে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। মেরিল স্ট্রিপ, জেনিফার লরেন্সের মতো এ তালিকাভুক্ত তারকাসহ এক লাখ ৬০ হাজার অভিনয় শিল্পীর প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন দ্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড বলেছে,
বেতন কমানো এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে কর্মক্ষেত্রে যে হুমকি তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে তাদের দাবির কোনো মীমাংসা হয়নি। কোনো ঐকমত্য ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। ইউনিয়নের প্রধান আলোচক ডানকান ক্র্যাবট্রি-আয়ারল্যান্ড বলেছেন, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডের জাতীয় বোর্ড স্টুডিও ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) মধ্যরাত থেকে ধর্মঘট শুরু হবে। গ্রিনিচ সময় শুক্রবার সকাল থেকে অভিনয় শিল্পীরা লেখকদের সঙ্গে ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছেন। ১৯৬০ সালের পর থেকে এই প্রথমবারের মতো হলিউডে এমন একযোগে ধর্মঘট হচ্ছে। ১৯৮০ সালে অভিনেতাদের ইউনিয়ন ধর্মঘটে গিয়েছিল।
এটি তিন মাসের বেশি স্থায়ী হয়েছিল। টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের বিরুদ্ধে ও ভালো বেতনের দাবিতে লেখকেরা ১১ সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট করছেন। টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলো এ বছর দেরিতে শুরু হচ্ছে। ধর্মঘট চললে চলচ্চিত্রগুলোও আটকে যেতে পারে। আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরে দ্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, স্ট্রিমিং ইকোসিস্টেমের কারণে ক্ষতিপূরণের হার কমে গেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃজনশীল কাজে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে নির্বাহীরা এতে একমত হননি। স্টুডিওর প্রতিনিধিত্বকারী দ্য অ্যালিয়েন্স অফ মোশন পিকচার ও টেলিভিশন প্রডিউসারস বলেছে, ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হতাশাজনক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে এটি ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত। তাদের নয়। লেখকদের ধর্মঘটের কারণে চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠানের সংখ্যা কমে গেছে। অভিনেতাদের ধর্মঘটের কারণে সব কিছুই অচল হয়ে যেতে পারে। কিছু অ্যানিমেশন ও টকশো চলতে পারে।হলিউডের বিগত ৬৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্দোলনে নেমেছিলেন চিত্রনাট্যকাররা। তাদের পদ অনুসরণ করলো হলিউডের অভিনেতাদের সংগঠন হলিউড অ্যাক্টরস ইউনিয়ন। বিভিন্ন দাবিতে স্টুডিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দাবির বনিবনা না হওয়ায় আন্দোলনে নামেন তারা। মুনাফা থেকে ন্যায্য পাওনা আর ভালো কর্ম পরিবেশের দাবিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অভিনয় শিল্পীদের সংগঠন দ্যা স্ক্রিন অ্যাক্টর গিল্ড বা এসএজি। ফলে আজ থেকে প্রায় এক লাখ ষাট হাজার শিল্পী কাজ বন্ধ করে দেয়ার কথা।
এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও টিভি প্রডাকশনের বড় অংশের কাজ স্থবির হয়ে যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।
ধর্মঘট ঘোষণার পর সিলিয়ান মারফি, ম্যাট ডামোন এবং এমিলি ব্লান্ট এর মতো শিল্পীরা লন্ডনে ক্রিস্টোফার নোলানের একটি চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো থেকে ফিরে গেছেন। এসএজির এই ধর্মঘট লসএঞ্জেলস সময়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে ক্যালিফোর্নিয়ায় নেটফ্লিক্স সদরদপ্তর ছাড়া প্যারামাউন্ট, ওয়ার্নার ব্রস ও ডিজনির সামনে শিল্পী কুশলীদের জড়ো হওয়ার কথা।
শিল্পীদের ইউনিয়ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কম্পিউটার জেনারেটেড চেহারা বা কণ্ঠ যেন শিল্পীদের জায়গায় ব্যবহার না করা হয়। ধর্মঘটের বিষয়ে ইউনিয়ন যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে অভিনয়শিল্পী ছাড়াও গান, নৃত্য, স্টান্ট পারফর্মার এবং পাপেট বা মোশন পিকচার নিয়ে যারা কাজ করেন তারাও এর আওতায় আছেন। মূলত স্টুডিওগুলোর সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় বুধবার দ্যা স্ক্রিন অ্যাক্টর গিল্ড-আমেরিকান ফেডারেশন অফ টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্ট বা এসএজি-আফট্রা জানিয়ে দেয় যে তারা স্টুডিওগুলোর সাথে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। ফলে আলোচনার জন্য তাদের কমিটি সর্বসম্মতভাবেই ধর্মঘটের প্রস্তাব করে। তবে স্টুডিওগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন- দ্যা অ্যালায়েন্স অফ মোশন পিকচার এন্ড টেলিভিশন প্রডিউচারস বা এএমপিটিপি এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে।
তারা বিবৃতি দিয়ে বলেছে ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত ইন্ডাস্ট্রির ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল হাজার হাজার মানুষকে সংকটের দিকে নিয়ে যাবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে এএমপিটিপি বলেছে তারা এ নিয়ে একটি ‘যুগান্তকারী প্রস্তাবে’ একমত হয়েছে যা অভিনয়শিল্পীদের ডিজিটাল প্রতিলিপি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুরক্ষা দেবে এবং কোন শিল্পীর ডিজিটাল রেপ্লিকা ব্যবহার করা হলে তার সম্মতি নিতে হবে। ওদিকে রাইটার্স গিল্ড অফ আমেরিকা আরেকটি ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে। এ সংগঠনের প্রায় সাড়ে এগার হাজার সদস্য আছে।
তারা পারিশ্রমিক বৃদ্ধি ও ভালো কর্ম পরিবেশের দাবিতে গত মে মাস থেকেই এই ধর্মঘটে আছে। লেখক এবং শিল্পীদের একযোগে দুটি ধর্মঘট ১৯৬০ সালের পর এই প্রথম। তখন এসএজির নেতৃত্বে ছিলেন অভিনেতা রোনাল্ড রিগ্যান, যিনি পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। আর অভিনয় শিল্পীরা সর্বশেষ ধর্মঘট করেছিলেন ১৯৮০ সালে। ওদিকে বৃহস্পতিবার ইউনিয়নগুলো ধর্মঘটের ডাক দেয়ার পর ডিজনির সিইও বব আইজার বলেছেন শিল্পী ও লেখকদের দাবিগুলো অবাস্তব এবং কোভিড অতিমারিতে ক্ষতি থেকে উত্তরণের চেষ্টায় থাকা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ক্ষতিকর। এদিকে তৃতীয় আরেকটি ইউনিয়ন দ্যা ডিরেক্টর গিল্ড অফ আমেরিকার সাথে গত জুনে আলোচনা সফল হওয়ায় তারা এ কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে না।