আপডেট :২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩: ২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ ফেরত দিতে টাকা দাবি
ফেরত দিতে টাকা দাবি
যাত্রীর ফেলে যাওয়া পাসপোর্ট ফেরত দিতে চাঁদা দাবির অভিযোগে ঢাকা কাস্টম হাউসের এক সিপাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার সিপাহির নাম আছাদুল্লাহ হাবিব (৩০)। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা টাকা নেওয়ার সময় তাঁকে হাতেনাতে আটক করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে একটি উড়োজাহাজে করে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন সজীব আহমেদ (২৮) নামের এক যুবক। তিনি সঙ্গে করে পাঁচটি মুঠোফোন আনেন। এ জন্য তাঁকে শুল্ক দিতে বলেন বিমানবন্দরে কর্তব্যরত শুল্ক কর্মকর্তারা। এরপর তিনি ৭৯ হাজার ১৫২ টাকা শুল্কও পরিশোধ করেন। তবে ভুলবশত নিজের পাসপোর্টটি শুল্ক এলাকায় ফেলে চলে যান তিনি। পুলিশ জানায়, পাসপোর্ট ফেলেই বাসায় চলে যান দুবাই ফেরত সজীব।
এরপর তাঁর মুঠোফোনে হোয়াটসঅ্যাপে ভারতীয় একটি নম্বর থেকে কল আসে। পাসপোর্টটি ফেরত দিতে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সিপাহি আছাদুল্লাহ। দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সজীব এপিবিএনকে লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর বিমান বন্দরে কর্মরত এপিবিএনের সদস্যরা সজীবকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালান।
তাঁরা দক্ষিণখান থানার পয়সা বাজার এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় সজীবের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় এপিবিএন আছাদুল্লাহকে আটক করে।
পরে তাঁকে দক্ষিণখান থানায় সোপর্দ করা হয়।ওসি বলেন, সজীব দক্ষিণখান থানায় আছাদুল্লাহর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।বিদেশ থেকে আগত যাত্রীর পাসপোর্ট আটকে রেখে চাঁদা দাবির ঘটনায় ঢাকা কাস্টম হাউসের সিপাহি আছাদুল্লাহ্ হাবিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে হাতেনাতে আটক করা হয়। ওই সময় তিনি এক যাত্রীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা নিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় দক্ষিণখান থানায় মামলা করেছেন দুবাইফেরত সজীব আহমেদ।জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর দুবাই থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সজীব আহমেদ (২৮)।
সঙ্গে পাঁচটি মোবাইল ফোন এনেছিলেন। ফোনগুলোর জন্য বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমস কর্মকর্তারা শুল্ক দিতে বলেন। যাত্রী সজীব আহমেদ ৭৯ হাজার ১৫২ টাকা শুল্ক দেন। কিন্তু ভুলবশত পাসপোর্টটি কাস্টমস এলাকায় ফেলে চলে আসেন। বাসায় ফেরার পর তাঁর মোবাইল ফোনে ভারতীয় একটি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কল আসে। পাসপোর্টটি ফেরত দিতে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন কাস্টমসের সিপাহি আছাদুল্লাহ্ হাবিব (৩০)। টাকা নেওয়ার সময় তাঁকে হাতেনাতে আটক করেন আর্মড পুলিশ সদস্যরা। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, যাত্রী সজীব আহমেদের মোবাইল ফোনে ভারতীয় নম্বর ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে জানানো হয়, ‘আপনার পাসপোর্টটি আমার কাছে আছে।’ এক লাখ টাকা না দিলে পাসপোর্টটি নষ্ট করে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
আতঙ্কে এক লাখ টাকা দিতে রাজি হন সজীব। তাঁকে টাকা নিয়ে দক্ষিণখান থানাধীন আশিয়ান সিটি পয়সা বাজারে যেতে বলা হয়।
এজাহারে বলা আরও হয়েছে, এ ঘটনার বিষয়ে সজীব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে লিখিত অভিযোগ দেন। ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে সজীবকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। দক্ষিণখান থানা এলাকার আশিয়ান সিটি পয়সা বাজার এলাকায় অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরা। সজীব আহমেদ সঙ্গে দেখা করতে আসেন এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তি তাঁকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। তাঁকে এক লাখ টাকা দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।
ওই ব্যক্তি ঢাকা কাস্টম হাউসের সিপাহি আছাদুল্লাহ্ হাবিব, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত। ডিএমপির দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একজন যাত্রীর পাসপোর্ট আটকে রেখে কাস্টমের একজন সিপাহি এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। পরে সেই টাকা নেওয়ার সময় বিমানবন্দর এপিবিএন তাকে হাতেনাতে আটক করে দক্ষিণখান থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যাত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘মামলার পর বিষয়টি কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।’