গত অর্থবছর (২০২২-২৩) শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৩১৩ কোটি টাকায়। অর্থ বিভাগের গত মাসে প্রকাশিত ডেবট বুলেটিনের এ হিসাব অনুযায়ী গত এক অর্থবছরে সরকারের ঋণের স্থিতি বেড়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, যা এ সময় সরকারের আহরিত মোট রাজস্বের প্রায় ৮৩ শতাংশের সমপরিমাণ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা।
রাজস্ব ও ঋণের এ অসামঞ্জস্যতায় চাপ বাড়ছে সরকারের কোষাগারে। বাড়ছে ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধিত অর্থের পরিমাণও। গত অর্থবছরে সরকারকে ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে এ বাবদ বরাদ্দের চেয়ে বেশি। গত অর্থবছরে বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৯০ হাজার ১৩ কোটি টাকা। যদিও পরিশোধ করতে হয়েছে ৯২ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা।
টাকার অবমূল্যায়ন ও ডলারের সংকটজনিত কারণে এ ঝুঁকি আরো প্রকট হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে না পারলে দেশী-বিদেশী উৎস থেকে নেয়া ঋণ এক সময় বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। ঋণ-জিডিপি অনুপাত এখনো সহনীয় অবস্থানে থাকলেও এখানে ঋণ-রাজস্ব অনুপাত সমজাতীয় অর্থনীতিগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।