আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:০ এএম | অনলাইন সংস্করণ ৫ মাস পর পোশাককর্মীর লাশ উদ্ধার
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় নিখোঁজের পাঁচ মাস পর একটি বাড়ির ভেতর মাটিতে পুঁতে রাখা পোশাককর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ধরঞ্জী গ্রামের সামছুল হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত পোশাককর্মী পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী নয়াপাড়া গ্রামের মাসুদ রানার ছেলে নাঈম (২৩)। প্রত্যক্ষদর্শী রাজমিস্ত্রি নবিউল ইসলাম বলেন, আমরা চারজন রাজমিস্ত্রি সামছুলের বাড়িতে কাজ করছি। টিউবওয়েলের পাশে কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তেই দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসে। একপর্যায়ে কোদালের সঙ্গে গর্তের ভেতর থেকে কোমরের বেল্ট ও প্যান্টের কিছু অংশ বের হয়।
তখন বিষয়টা প্রধান মিস্ত্রিকে জানালে তিনি বাড়ির মালিককে জানান। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। নিহতের মামা ওহেদুল ইসলাম বলেন, ২২ এপ্রিল ঈদের দিন সন্ধ্যার দিকে আমার ভাগনের ফোনে কেউ একজন কল দিয়ে ধরঞ্জী বাজারে দেখা করতে বলে। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সন্ধান না পেয়ে ২৫ এপ্রিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নাঈমের পরিবার ৫ মাস পর পোশাককর্মীর লাশ উদ্ধার
নিহতের খালাতো ভাই তরিকুল বলেন, নিখোঁজের প্রায় পাঁচ মাস পরে পাশের গ্রামের সামছুলের বাড়ির ভেতরে টিউবওয়েলের পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল আমার ভাইকে। আমরা এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। এদিকে সামছুলের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পাওয়া গেলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান, তারা কেউই এখানে থাকেন না। সামছুলের দুই ছেলের একজন ফরিদপুর ও অন্যজন রাজশাহীতে পড়াশোনা করেন। শুধু তার মা আর ভাড়াটিয়া এখানে থাকত।
শনিবার বাড়িতে মিস্ত্রিরা কাজ করার সময় এমন ঘটনা দেখে আমাদের বললে আমরা পুলিশকে খবর দেই। পাঁচবিবি থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের অংশবিশেষ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে মামলা আমলে নেওয়া হবে। নিখোঁজের ৫দিন পরে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক খানজাহান (রহঃ)-এর মাজার সংলগ্ন দীঘি থেকে ভাসমান অবস্থায় প্রহলাদ কুমার দাস ওরফে ভোলা ( ৪৫) নামের এক ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে দীঘির পূর্ব পাড় দিয়ে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাশের শরীরে থাকা সোয়েটার, জামা ও লুঙ্গি দেখে পরিবারের সদস্যরা লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম
উদ্ধার হওয়া লাশ প্রহলাদ কুমার দাস ওরফে ভোলা কচুয়া উপজেলার সাংদিয়া গ্রামের পরিতোষ কুমার দাসের ছেলে। বৃহস্পতিবার (৩০ নবেম্বর) দুপুরে বাড়ি থেকে ভ্যান চালানোর উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফেরেনি তিনি। পরে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাতে কচুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন স্ত্রী দিপিতা রানী দাস। এদিকে লাশ উদ্ধারের খবরে দীঘির পূর্ব পাড়ে উৎসুক জনতা ভীড় জমায়। দীঘির পূর্বপাড়ের বাসিন্দা সুমনা আক্তার জুথি বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দুকে থালা-বাসন ধোয়ার জন্য বাড়ির সামনে থাকা দীঘির ঘাটে যাই। তখন দীঘির মধ্যে অনেক দূরে একটি লাশ ভাসতে দেখি। পরবর্তীতে সবাইকে জানাই।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা মটদেহটি উদ্ধার করেছি। লাশের বেশির ভাগ অংশ পচে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ৫-৬দিন আগে মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। ওসি আরও বলেন, নিহতের বাবা পরিতোষ কুমার দাস ও ভাই থানায় এসেছেন। শরীরের কাপড় দেখে নিহতকে ভ্যান চালক প্রহলাদ কুমার দাস ওরফে ভোলা হিসেবে শনাক্ত করেছেন তার বাবা পরিতোষ কুমার দাস। ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।