আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:১৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ হিরো আলমের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা
বগুড়া জেলাজুড়ে ফোন করলেই মিলবে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা। শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার এরুলিয়ায় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তিনি নিজেই এ সেবা উদ্বোধন। উপহার হিসেবে পাওয়া একটি মাইক্রোবাস অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করতে শহরের বকশীবাজারের ‘ডিবিআর অটোমেটিভ কমপ্লিট অটো সেন্টার’ নামের ওয়ার্কশপে দেওয়া হয়েছিল। সংস্কারকাজ শেষে হিরো আলমের হাতে গাড়িটির চাবি হস্তান্তর করেন ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান।
এ ছাড়া বিশেষ এই অ্যাম্বুলেন্স জাতীয় পরিসেবা ‘৯৯৯’ এর সঙ্গেও যুক্ত থাকবে। ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা উদ্বোধন শেষে হিরো আলম বলেন, রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা আমার নেই। এমপি বা মন্ত্রী হওয়ার বাইরে আমার কোনো শখও নেই। আমি রাষ্ট্রপতি হবো বলে যারা প্রচার করছে, তারা গুজব ছড়াচ্ছে। আমি আর স্বতন্ত্র নির্বাচন করব না। এবার কোনো একটি দলের হয়ে ভোটে দাঁড়াব। তবে কোন দল তা প্রকাশ করছি না। আর নির্বাচনসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা শুরু করতে দেরি হয়েছে। অবশেষে এ কার্যক্রম শুরু হলো।
এটি বগুড়া সদর, কাহালু, নন্দীগ্রামসহ জেলার সবাই বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। আরও দুটি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার কথা আছে। সেটিও জনগণের সেবায় বিলিয়ে দেব
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি টয়োটা নোয়াহ ১৯৯৮ মডেলের গাড়িটি হিরো আলমকে উপহার হিসেবে দেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামের শিক্ষক মুখলিছুর রহমান। গাড়ি পাওয়ার পরপরই সেটিকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরের ঘোষণা দেন হিরো আলম। বগুড়া জেলাজুড়ে ফোন করলেই মিলবে হিরো আলম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা।
হিরো আলমের এই অ্যাম্বুলেন্সটি জাতীয় পরিসেবা ‘৯৯৯’ এর সঙ্গেও সংযুক্ত থাকবে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বগুড়া সদরের এরুলিয়ায় ফ্রি এই অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এর আগে উপহার হিসেবে পাওয়া হিরো আলমের মাইক্রোবাসটি অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করতে বগুড়া শহরের বকশিবাজারের ‘ডিবিআর অটোমেটিভ কমপ্লিট অটো সেন্টার’ নামের ওয়ার্কশপে নেওয়া হয়। সবকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর হিরো আলমের হাতে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান। এ সময় আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেন, রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা নেই। এমপি মন্ত্রী হওয়ার বাইরে আমার কোনো শখও নেই। আমি রাষ্ট্রপতি হবো বলে যারা প্রচার করছে তারা গুজব ছড়াচ্ছে।
হিরো আলম বলেন, আমি আর স্বতন্ত্র নির্বাচন করবো না। এবার কোনো এক দলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়াবো। তবে কোন দল তা এখনই প্রকাশ করছি না। আর নির্বাচনসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে অ্যাম্বুলেন্স কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হয়েছে। আজ থেকে কার্যক্রম শুরু হলো।
এটি বগুড়া সদর, কাহালু ও নন্দীগ্রামসহ জেলার সব জনগণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন
আরও দুটি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার কথা রয়েছে। সেটিও জনগণের সেবায় বিলিয়ে দেবো। বিএনপি নেতা রিজভী প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। আমি কাউকেই ছাড় দিয়ে কথা বলি না। তবে আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে গালি দেইনি। ডিবিআর অটোমেটিভ কমপ্লিট অটো সেন্টারের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান বলেন, হিরো আলমের সামাজিক কার্যক্রম আমাদের অবিভূত করে।
উনি অ্যাম্বুলেন্স বানানোর সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন৷ তাই আমরা উনার এই মহৎ কাজের সঙ্গে থেকেছি মাত্র। জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল। গত ৭ ফেব্রুয়ারি হিরো আলমকে উপহার হিসেবে টয়োটা নোয়াহ ১৯৯৮ মডেলের গাড়িটি দেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামের শিক্ষক মুখলিছুর রহমান। গাড়ি পাওয়ার পরপরই সেটিকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরের ঘোষণা দেন হিরো আলম। পরে চাহিদা অনুযায়ী গাড়িটি মেরামতের জন্য বগুড়া শহরের বকশিবাজার এলাকার ‘ডিবিআর অটোমেটিভ কমপ্লিট অটো সেন্টার’ নামের একটি ওয়ার্কশপে নেওয়া হয়। সকল কাজ শেষে শনিবার বিকেলে অ্যাম্বুলেন্সটি হিরো আলম বুঝে পান।