আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০, ১২:৫৭এএম| অনলাইন সংস্করণ রাত জেগেই কাটছে অমিতাভের
রাত জেগেই কাটছে অমিতাভের
প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বর্য রাই বচ্চনরা হাসপাতালে ভর্তি হলেও প্রত্যেকে রয়েছেন পৃথক ওয়ার্ডে। ফলে প্রায় গত ২ সপ্তাহ ধরে কারও সঙ্গে কারও দেখা নেই বললেও চলে। ফলে হাসপাতালে ভর্তি থেকে একলা থাকার যন্ত্রণা যেন ক্রমশ গ্রাস করছে বিগ বি-কে।
ফলে একলা থাকার যন্ত্রণার মধ্যে যেন তার বাবাকেই বেশি করে মনে পড়ছে বলে জানান বিগ বি। একা থাকার কষ্ট ব্লগে অমিতাভ লিখেছেন এভাবে- ‘রাতের অন্ধকার… ঠাণ্ডা ঘর…একা আমি…চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ার আপ্রাণ চেষ্টা। কিন্তু ঘুম নেই চোখে! চারপাশে কেউ কোথাও নেই… ভাবনাগুলো স্বাধীনভাবে ডানা মেলার সুযোগ পেয়েছে যেন এই সময়ে।
অনেকটাই যেন ‘সিলসিলা’র সেই ‘ম্যায় ঔর মেরে তনহাই অকসর ইয়ে বাতে করতে হ্যায়….’।
অমিতাভ জানেন, একা একা লড়ার রোগ কোভিড শুধু শরীরে নয়, মনেও ছাপ ফেলে। কারণ এই লড়াইয়ে কেউ পাশে থাকে না। তার পাশেও গত ১৫ দিন ধরে কেউ নেই! তিনি একা লড়ছেন এই বৃদ্ধ বয়সে। তার আরও আক্ষেপ, সবাই তার সুস্থ হয়ে ওঠার প্রার্থনা জানাচ্ছেন। তার পরও তার লড়াইটা শুধু তারই। ব্লগে সেই লড়াইয়ের বর্ণনায় অমিতাভ জানিয়েছেন, ‘কাছের মানুষ বলতে এখন ডাক্তার বাবু।
যিনি আমার দেখভাল করছেন। তিনি ছাড়া আর কারও ঘেঁষার অনুমতি নেই।
তাই চোখ ভিজে উঠলেও মুছিয়ে দেয়ার মতো কোনো হাত আমার পাশে নেই। একা থাকার এই ভয়, হতাশা মনে ক্ষত তৈরি করতে পারে যে কোনো সময়। শরীরের মতো মনকেও কাবু করে দেয় দেখতে দেখতে।
এই ক্ষত সারানোর জন্যও আলাদা যত্ন দরকার। দরকার কাউন্সেলিংয়ের, যা একা লড়াইয়ের দিনগুলোকে আস্তে আস্তে ভুলে যেতে সাহায্য করবে।এদিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর অভিষেক, ঐশ্বর্য, আরাধ্যারা কেমন আছেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও, বর্তমানে বচ্চন পরিবারের সদস্যদের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা যাচ্ছে।
‘‘রাতের অন্ধকার…ঠান্ডা ঘর…একা আমি…চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ার আপ্রাণ চেষ্টা। কিন্তু ঘুম নেই চোখে! চারপাশে কেউ কোত্থাও নেই…ভাবনাগুলো স্বাধীন ভাবে ডানা মেলার সুযোগ পেয়েছে যেন এই সময়ে। অনেকটাই যেন ‘সিলসিলা’র সেই ‘ম্যায় ঔর মেরে তনহাই অকসর ইয়ে বাতে করতে হ্যায়….’’এভাবেই দিন-রাত কাটছে অমিতাভ বচ্চনের।
নানাবতী হাসপাতালে কোভিড সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর। প্রতিদিন ব্লগে নিজের শরীরের খবর দিচ্ছেন ভক্তদের। মনের অবস্থা এই প্রথম এত খোলামেলা ভাবে মেলে ধরলেন সবার সামনে।বিগ বি-র সেই ব্লগ যেন এক টুকরো কবিতা। ৭৭ বছরে ‘রাগী যুবক’কে শরীরের সুস্থতার জন্য মনের জোরও যে ধরে রাখতে হচ্ছে, ব্লগে এ কথা স্পষ্ট। তাই দ্বিধা না করে স্পষ্ট ভাষায় অমিতাভের স্বীকারোক্তি, একা একা লড়ার রোগ কোভিড শুধু শরীরে নয়, মনেও ছাপ ফেলে।
কারণ, এই লড়াইয়ে কেউ পাশে থাকে না। তাঁর পাশেও গত ১৫ দিন ধরে কেউ নেই! তিনি একা লড়ছেন এই বয়সে।a এই একাকিত্ব কি যন্ত্রণার মনে হয় তাঁর কাছে? ‘‘যন্ত্রণার না হলেও কঠিন তো বটেই’’, জানিয়েছেন অমিতাভ। আরও আক্ষেপ, সবাই তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার প্রার্থনা জানাচ্ছেন। তারপরেও তাঁর লড়াইটা শুধু তাঁরই।
সম্পর্কিত খবর:
BTS সদস্য RM, Jimin, V এবং Jung Kuok দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক পরিষেবার জন্য তালিকাভুক্ত