আপডেট : জুলাই ২১, ২০২২,০২:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অবেশেষে শুটিং শেষ হলো বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’র।
২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সরকারি অনুদান পেয়েছিল ছবিটি। নূরুল আলম আতিকের কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল এবং গৌরিপুরের বিভিন্ন জায়গায় এই চলচ্চিত্রের শুটিং হয়।
ছবিটির শুটিং শেষ করতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা। তিনি বলেন, ‘শুটিং শেষ করতে পারলাম এটাই খুশির খবর। এখন ডাবিং এডিটিং অন্যান্য কাজ শেষ করে ঠিকঠাক মতো দর্শকের সামনে হাজির করতে চাই সিনেমাটা। যেটুকু শুট করতে পেরেছি তাতে আমি আনন্দিত। আমার পুরো ইউনিট দরদ দিয়ে কাজটা করেছে।’
২০১৬ সালে শুটিং শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের গল্পের এই ছবির। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ দর্শকদের দেখাতে চান নির্মাতা।
পাণ্ডুলিপি কারখানার ব্যানারে এই ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন লায়লা হাসান, আহমেদ রুবেল, অশোক ব্যাপারী, আশীষ খন্দকার, জয়রাজ, শিল্পি সরকার, ইলোরা গওহর, জ্যোতিকা জ্যোতি, ভাবনা, দিলরুবা দোয়েল, স্বাগতা, শাহজাহান সম্রাট, দীপক সুমন, খলিলুর রহমান কাদেরী, সৈকত, যুবায়ের, অনন্ত, মতিউল আলম, হাসিমুনসহ কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল এবং গৌরিপুরের জনগণ।
কানাডার টরন্টোতে মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয় নূরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ চলচ্চিত্রটি। উৎসবে সিনেমাটি দেখে নিজের প্রতিক্রিয়া লিখেছেন কানাডা প্রবাসী লেখক ফরিদ আহমেদ। বিবিএসবাংলার পাঠকের জন্য লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো।টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন হয়েছে গতকাল বিকেলে।
এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেছে টরন্টো ফিল্ম ফোরাম, যা সংক্ষেপে টিএফএফ নামে পরিচিত। উদ্বোধনী দিনে শেষ প্রদর্শন হিসেবে দেখানো হয়েছে নূরুল আলম আতিক পরিচালিত ছবি ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। নূরুল আলম আতিক আমার একজন অত্যন্ত পছন্দের পরিচালক।
বাংলাদেশে যাঁরা এখনো শিল্প সাহিত্য নিয়ে নিবেদিতপ্রাণ, ভালো কিছু করার জন্য নিরন্তর তাড়া অনুভব করেন নিজেদের মধ্যে, আতিক তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
আতিককে আমি প্রথম দেখেছিলাম প্রথম আলোর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। না, সামনাসামনি সেই অনুষ্ঠান দেখি নাই আমি। সেটার রেকর্ডেড ভিডিও দেখেছিলাম। তাঁর প্রথম নাটকের জন্য ক্রিটিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন তিনি। নাটকের নাম মনে নেই আমার। সেই নাটকটা প্রখ্যাত কোনো একজন সাহিত্যিকের গল্প থেকে নেওয়া হয়েছিলো।পুরস্কার নিতে গিয়ে আতিক বলেছিলেন মূল গল্পটা অনেক ভালো।
তিনি সেটাকে ঠিকভাবে তুলতে পারেন নাই পর্দায়। উপস্থাপক এর উত্তরে বলেছিলেন, ঠিকভাবে না তুলতে পেরেই এই অবস্থা, তুলতে পারলে না জানি কী হতো। আতিক লাজুক হাসি দিয়েছিলেন উপস্থাপকের কথা শুনে। যে ঘটনার কথা বললাম, সেটা অনেক বছর আগের ঘটনা। স্মৃতি থেকে লিখেছি। কাজেই কোনো তথ্য ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।
বসবাস একা একা করতে ভালো লাগলেও, মুভি দেখতে হয় দলবেঁধে।
সবাই এক বাক্যে রাজি হয়ে গেলো। টিএফএফের সাথে যোগাযোগ করে টিকেটের ব্যবস্থাও করে ফেললাম আমি। মুভি দেখানোর জন্য সিনেপ্লেক্সের একটা হল ভাড়া নিয়েছিলো টিএফএফ। প্রায় তিনশো ক্যাপাসিটির হলের পুরোটাই দর্শকে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো এই ছবি দেখার জন্য। ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ক্যানভাস বিশাল। বিশাল বলেই অনেক সময় সেটাকে চলচ্চিত্রে তুলে আনা দুঃসাধ্য একটা ব্যাপার। কিন্তু, বিশাল ক্যানভাসের আবার সুবিধাও আছে।